নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে টেনশন গ্রুপের ৬ সদস্য ও ডেভিল এক্সো গ্রুপের ১১ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন।
সোমবার (২৫ মার্চ) দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান র্যাব ১১ এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল তানভীর মাহমুদ পাশা।
এর আগে রাতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন মিজমিজি মাদ্রাসা রোড কবরস্থান এলাকা থেকে টেনশন গ্রুপের ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরা হলো- গ্রুপ লিডার মিজমিজি দক্ষিন পাড়ার শফিকুল ইসলামের ছেলে রাইসুল ইসলাম সীমান্ত (২২), সিদ্ধিরগঞ্জ পুল এলাকার তাজুল ইসলামের ছেলে আরিফুল ইসলাম (২৬), হিরাঝিল এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে হুমায়ুন হোসেন (২৪), মিজমিজি কান্দাপাড়া এলাকার আমিন উদ্দিনের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন (২৬), বন্দরের লাঙ্গলবন্দরের খোকন শেখের ছেলে রাব্বি (২৫) ও হিরাঝিল আবাসিক এলাকার মনিরুল ইসলামের (জেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক) ছেলে প্রিতম ওরফে রোবায়েতি ইসফাক (২৯)।
একই সাথে আরেক উঠতি বয়সী গ্যাং ডেভিল এক্সো গ্রুপের ১১ জনকেও গ্রেপ্তার করা হয়। এরা হলো- মিজমিজি এলাকার শফিকুল ইসলাম শফিকের ছেলে মোঃ সারিব (১৯), মিজমিজি পশ্চিমপাড়া এলাকার হারুনের ছেলে আশিক (১৯), পাগারমাথা এলাকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে নাঈম (১৯), মিজমিজি মাদ্রাসা রোড এলাকার আজাদ সিকদারের ছেলে তুহিন হোসেন (১৮), একই এলাকার খন্দকার মোহাম্মদ নুরুল্লাহের ছেলে রোসমান (১৯), একই এলাকার মোঃ বাক্কির ছেলে শাহাদৎ (১৯), মিজমিজি কান্দাপাড়ার তাজুল ইসলামের ছেলে সৌরভ (২০), সানারপাড় কান্দাপাড়ার নূর নবীর ছেলে মাহিন (২০), মিজমিজি দক্ষিনপাড়ার ইমান আলীর ছেলে তুষার (২০), মিজমিজি আমজাদ মার্কেটের নবীর হোসেনের ছেলে সৌরভ (১৯) ও মিজমিজি দক্ষিনপাড়া এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে আরিফ (১৯)।
র্যাব জানায়, গ্রেপ্তারকৃত “টেনশন গ্রুপ” এবং “ডেভিল এক্সো গ্রুপ” এর আসামিদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, রাইসুল ইসলাম সীমান্ত “টেনশন গ্রুপ” এর দলনেতা এবং মোঃ সারিব “ডেভিল এক্সো গ্রুপ” এর দলনেতা। আসামিরা রাস্তায় চলাচলরত জনগণের মালামাল ছিনতাই, বিভিন্ন ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান, মালবাহী ও যাত্রীবাহী পরিবহণে নিয়মিতভাবে ছিনতাই ও চাঁদাবাজি করে থাকে। আসামিরা বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পরিকল্পিতভাবে দলবদ্ধ হয়ে শক্তির মহড়া বা দাপট প্রদর্শন করে জনমনে ভয়ভীতি বা ত্রাস সৃষ্টি করে। এলাকাবাসী তাদের হিংস্রতা, অত্যাচার ও নির্যাতনের ভয়ে প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না।
এর মধ্যে টেনশন গ্রুপের দলনেতা রাইসুল ইসলাম সীমান্ত (২২) এবং সদস্য মোঃ প্রিতম ওরফে রোবায়েতি ইসফাক (২৯) ও ডেভিল এক্সো গ্রুপের সদস্য মোঃ আশিক (১৯) এবং মোঃ নাঈম (১৯) বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে মামলা চলমান রয়েছে।