নারায়ণগঞ্জের মেধাবী ছাত্র তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যা মামলার গ্রেপ্তার আব্দুল্লাহ্ আল মামুনের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রবিবার (৬ অক্টোবর) সকালে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত সাহারা বিথীর আদালতে আসামিকে হাজির করে পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত শুনানি শেষে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ড প্রাপ্ত আসামি আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাই এলাকার আব্দুল রহিমের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ঢাকায় আত্মগোপনে ছিলেন।
গত সোমবার ১ অক্টোবর ঢাকা থেকে খাগড়াছড়ি যাওয়ার পথে শিমরাইল এলাকায় একটি বাস থেকে গতকাল রাত দেড়টার দিকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজীতে অবস্থিত র্যাব-১১ মিডিয়া অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার সনদ বড়ুড়া স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
গত ২২ দিনে ত্বকী হত্যা মামলার তদন্তকারী সংস্থা র্যাব ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে অভিযান চালিয়ে আজমেরী ওসমানের গাড়িচালক মো. জামশেদসহ ৬ ঘনিষ্ঠ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এর মধ্যে আজমেরী ওসমানের সহযোগী কাজল হাওলাদার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
অন্য দুই আসামি শাফায়েত হোসেন (শিপন) ও মামুন মিয়াকে দুই দফায় ৯ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। গাড়িচালক জামশেদকে ৫ দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ইয়ার মোহাম্মদ কারাগারে আছেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানায়, আগে ত্বকী হত্যা মামলার তদন্তের দায়িত্বে ছিল নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা–পুলিশ। উচ্চ আদালতের নির্দেশে মামলার তদন্তভার র্যাব-১১ এর কাছে অর্পণ করা হয়।
ত্বকী হত্যা মামলায় সম্পৃক্ততা প্রাপ্তি সাপেক্ষে সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল এলাকা থেকে আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে জামাই মামুনকে গ্রেপ্তার করা হয়।