টাইমস নারায়ণগঞ্জ: ১৮ ডিসেম্বর টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমার মাঠে হামলায় জড়িতরাসহ মামলার সকল আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের বরাবর স্মারকলিপি প্রধান করেছে নারায়ণগঞ্জের উলামা-মাশায়েখ ও সর্বস্তরের তাউহীদী জনতা।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে ৬ দফা দাবি নিয়ে স্মারকলিপি জমাদেন তারা। এসময় সাদপন্থী সন্ত্রাসবাদীদের মধ্যে সরাসরি সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সাথে জড়িত তথা হুকুমদাতা ও উস্কানীদাতাদের দ্রুত গ্রেফতার, তাদের কাকরাইল মসজিদে প্রবেশ এবং তুরাগ নদীর তীরে বিশ্ব ইজতেমার মাঠে সকল কার্যক্রম স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করার আবেদন জানান তারা।
স্মারকলিপি পাঠকের সুবিধার্থে হুবহু তুলে ধরা হলো।
বরাবর,
পুলিশ সুপার
নারায়ণগঞ্জ জেলা
বিষয়: সাদপন্থী সন্ত্রাসবাদীদের মধ্যে সরাসরি সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সাথে জড়িত তথা হুকুমদাতা ও উস্কানীদাতাদের দ্রুত গ্রেফতার, তাদের কাকরাইল মসজিদে প্রবেশ এবং তুরাগ নদীর তীরে বিশ্ব ইজতেমার মাঠে সকল কার্যক্রম স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করার আবেদন।
জনাব,
বিনীত নিবেদন এই যে, আমরা আপনার পরিচালনাধীন নারায়ণগঞ্জ জেলার উলামা-মাশায়েখ ও সর্বস্তরের তাউহীদী জনতা। গত ১৮-১২-২০২৪ইং তারিখে ঘটে যাওয়া সাদপন্থী সন্ত্রাসবাদীদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সম্পর্কে আপনি অবগত। ইতোমধ্যে আমাদের চারজন ভাই শাহাদাত বরণ করেছেন। অসংখ্য সাথী গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে আছেন। তাদের অনেকের অবস্থা এখনো আশংকাজনক। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে আমাদের কিছু দাবি আপনার সদয় বিবেচনায় পেশ করছি:
দাবি-১: রাতের আঁধারে তাবলীগের ঘুমন্ত নিরীহ মুখলেস সাথীদের উপর অতর্কিত হামলাকারী সাদপন্থী সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও ফাঁসির ব্যবস্থা করতে হবে।
দাবি-২: নারায়ণগঞ্জ জেলার সকল মসজিদে তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে।
দাবি-৩: নারায়ণগঞ্জ শহর থেকে কালিবাজার, আড়াইহাজার ও রূপগঞ্জ মারকায নামে সাদপন্থীদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনার আখড়া স্থায়ীভাবে বন্ধ ঘোষণা করতে হবে।
দাবি-৪: নারায়ণগঞ্জ জেলা থেকে যেসব সন্ত্রাসী টঙ্গীর নৃশংস হত্যাকাণ্ডে অংশগ্রহণ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে এবং যারা তাদের মদদ জুগিয়েছে তথা শাহীন ইবরাহীম, মনির টাওয়ারের মনির, আসাদ, আবু তাহের, ইঞ্জি. মিঠু, আবিদ, সোহেল, জালালুদ্দীন রাসেল, আক্তার, মোফাজ্জল, আজিজুল হক গং-এর বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নিয়ে অনতিবিলম্বে তাদেরকে গ্রেফতার করতে হবে।
দাবি-৫: সন্ত্রাসীদের গডফাদার ইঞ্জিনিয়ার ওয়াসিফ, তার ছেলে উসামা, মুআয বিন নূর, জিয়া বিন কাসেম, আব্দুল্লাহ মনসুর, রেজা আরিফসহ সকল গডফাদারকে দ্রুত গ্রেফতার ও ফাঁসির আওতায় আনতে হবে।
দাবি-৬: কাকরাইল মসজিদে প্রবেশ ও তুরাগ নদীর তীরে বিশ্ব ইজতেমার মাঠে তাদের কার্যক্রম স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
আমাদের কাছে সংবাদ আছে, টঙ্গীর তুরাগ নদীর পশ্চিম পার্শ্বে মসজিদে বেলালে বর্তমানে সন্ত্রাসীরা অবস্থান করছে। তারা আবারো সুযোগ বুঝে হামলা করতে ওঁত পেতে আছে। অতি দ্রুত সেখানে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে খুনীদের গ্রেফতার করে বেলাল মসজিদ আলেমগণের কাছে বুঝিয়ে দিতে হবে।