পল্লী কবি জসীম উদ্দীন ‘বেদের মেয়ে’ মঞ্চায়ন

বিনোদন ডেস্ক : হিরণ কিরণ থিয়েটারের আলোচিত প্রযোজনা ‘বেদের মেয়ে’। ৯ জুন সন্ধ্যা ৭টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমির মুন্সীগঞ্জের মিলনায়তনে প্রদর্শিত হলো নাটকটি।

নাটক রচনা করেছেন পল্লী কবি জসিম উদ্দিন। নির্দেশনায় রয়েছেন জাহাঙ্গীর আলম ঢালী। গল্প প্রসঙ্গে এ নির্দেশক জানান, বেদের মেয়ে চম্পাবতীর করুণ জীবন কাহিনির মধ্য দিয়ে গ্রাম বাংলার বেদে জাতির জীবনযাত্রার চালচিত্র এই নাটকে তুলে ধরা হয়েছে। চম্পাবতী আদর্শ বেদে নারীর প্রতীক। তার রূপে গুণে মোহাচ্ছন্ন হয়ে লোভী মোড়ল তার লাঠিয়ালের জোরে চম্পাবতীকে কেড়ে নেয়। অসহায় চম্পাবতীর স্বামী গয়ার প্রতিবাদ কোনো  কাজে আসে না। নিরুপায় হয়ে গয়া চম্পাবতীকে রেখে বেদে দল নিয়ে চলে যায়। গয়া আবার বিয়ে করে সংসারী হয়। অপরদিকে চম্পাবতীর বেদে জীবনের উচ্ছ্বলতা, হাসি-আনন্দ আটকে পড়ে মোড়লের ঘরে, এক আবদ্ধ জীবনে।

একসময় মোড়লের কাছে চম্পাবতীর প্রয়োজন ফুরিয়ে যায়। বিতাড়িত হয়ে চম্পাবতী আবার ফিরে আসে তার শেকড়ে, তার বেদে জাতির কাছে। কিন্তু গয়া তাকে স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে পারে না। অসহায় চম্পাবতী তার স্বামীর সান্নিধ্যে  থাকার চেষ্টা করে। কিন্তু সেখানেও তার একসময় স্থান হয় না। স্বামীর অবহেলা আর গঞ্জনা বুকে নিয়ে চম্পাবতী অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি দেয়। কিন্তু যখনই শুনতে পায় তার স্বামী সাপের কামড়ে মৃত্যু শয্যায়, তখনই সেসব ভুলে ফিরে আসে। স্বামীর শরীর থেকে সব বিষ চুষে নিয়ে স্বামীকে বাঁচিয়ে চম্পাবতী জীবনের অবসান ঘটায়।
রচনায় : পল্লী কবি জসীম উদ্দীন।


কোরিওগ্রাফি ও নির্দেশনা – জাহাঙ্গীর আলম ঢালি।
পরিবেশনা – হিরণ কিরণ থিয়েটার, মুন্সীগঞ্জ।
নাটকটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করছেন
কুশিলব –
চম্পা : সুস্মিতা রানী মল্লিক
গয়া বাইদ্দা : তুষার চন্দ্র রায়।
মোড়ল : এড. মুজিবুর রহমান শেখ।
বৈরাগী : মোহাম্মদ শামীম শেখ।
মাইনকা : মাহামুদুল হাসান অপু
আসমানি : তাসফিহা তন্নী
বিবি সাহেব : শ্রাবণী রানী মল্লিক
টুনার মা : মুকুল রানী সাহা
ছটু : অর্জুন
বড়ু : ফাতিহা

অন্যান্ন : রথিন দাস, সোহানুর রহমান মাহিম
মোট ২৭ জন শিল্পি অভিনয় করেছেন।

ট্যাগ:

গজারিয়ায় রেনেসাঁ ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে মাদক বিরোধী র‍্যালী

পল্লী কবি জসীম উদ্দীন ‘বেদের মেয়ে’ মঞ্চায়ন

প্রকাশঃ 05:04:42 pm, Monday, 10 June 2024

বিনোদন ডেস্ক : হিরণ কিরণ থিয়েটারের আলোচিত প্রযোজনা ‘বেদের মেয়ে’। ৯ জুন সন্ধ্যা ৭টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমির মুন্সীগঞ্জের মিলনায়তনে প্রদর্শিত হলো নাটকটি।

নাটক রচনা করেছেন পল্লী কবি জসিম উদ্দিন। নির্দেশনায় রয়েছেন জাহাঙ্গীর আলম ঢালী। গল্প প্রসঙ্গে এ নির্দেশক জানান, বেদের মেয়ে চম্পাবতীর করুণ জীবন কাহিনির মধ্য দিয়ে গ্রাম বাংলার বেদে জাতির জীবনযাত্রার চালচিত্র এই নাটকে তুলে ধরা হয়েছে। চম্পাবতী আদর্শ বেদে নারীর প্রতীক। তার রূপে গুণে মোহাচ্ছন্ন হয়ে লোভী মোড়ল তার লাঠিয়ালের জোরে চম্পাবতীকে কেড়ে নেয়। অসহায় চম্পাবতীর স্বামী গয়ার প্রতিবাদ কোনো  কাজে আসে না। নিরুপায় হয়ে গয়া চম্পাবতীকে রেখে বেদে দল নিয়ে চলে যায়। গয়া আবার বিয়ে করে সংসারী হয়। অপরদিকে চম্পাবতীর বেদে জীবনের উচ্ছ্বলতা, হাসি-আনন্দ আটকে পড়ে মোড়লের ঘরে, এক আবদ্ধ জীবনে।

একসময় মোড়লের কাছে চম্পাবতীর প্রয়োজন ফুরিয়ে যায়। বিতাড়িত হয়ে চম্পাবতী আবার ফিরে আসে তার শেকড়ে, তার বেদে জাতির কাছে। কিন্তু গয়া তাকে স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে পারে না। অসহায় চম্পাবতী তার স্বামীর সান্নিধ্যে  থাকার চেষ্টা করে। কিন্তু সেখানেও তার একসময় স্থান হয় না। স্বামীর অবহেলা আর গঞ্জনা বুকে নিয়ে চম্পাবতী অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি দেয়। কিন্তু যখনই শুনতে পায় তার স্বামী সাপের কামড়ে মৃত্যু শয্যায়, তখনই সেসব ভুলে ফিরে আসে। স্বামীর শরীর থেকে সব বিষ চুষে নিয়ে স্বামীকে বাঁচিয়ে চম্পাবতী জীবনের অবসান ঘটায়।
রচনায় : পল্লী কবি জসীম উদ্দীন।


কোরিওগ্রাফি ও নির্দেশনা – জাহাঙ্গীর আলম ঢালি।
পরিবেশনা – হিরণ কিরণ থিয়েটার, মুন্সীগঞ্জ।
নাটকটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করছেন
কুশিলব –
চম্পা : সুস্মিতা রানী মল্লিক
গয়া বাইদ্দা : তুষার চন্দ্র রায়।
মোড়ল : এড. মুজিবুর রহমান শেখ।
বৈরাগী : মোহাম্মদ শামীম শেখ।
মাইনকা : মাহামুদুল হাসান অপু
আসমানি : তাসফিহা তন্নী
বিবি সাহেব : শ্রাবণী রানী মল্লিক
টুনার মা : মুকুল রানী সাহা
ছটু : অর্জুন
বড়ু : ফাতিহা

অন্যান্ন : রথিন দাস, সোহানুর রহমান মাহিম
মোট ২৭ জন শিল্পি অভিনয় করেছেন।