একসঙ্গে মৃত্যুর ইচ্ছা পূরণ হলো দম্পতির, শায়িত হলেন পাশাপাশি

একসঙ্গে কাটিয়েছেন দীর্ঘ ৬০ বছর। এ দীর্ঘ সময়ের পথচলায় ছিল একে অপরের প্রতি অগাধ ভালোবাসা। বেঁচে থাকতে সবসময় কামনা করতেন একসঙ্গে মৃত্যুর এবং পাশাপাশি সমাধিস্থ হওয়ার। তাদের সেই ইচ্ছাই পূরণ হয়েছে এ দম্পতির। একই দিনে পৃথিবী ছেড়ে চির বিদায় নিলেন তার, দাফনও হলেন পাশাপাশি।

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) ভোরে রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের ইন্দিরাপাড়া গ্রামের আজগার আলী (৮০) এবং রাত আটটার দিকে তার স্ত্রী তহিদা খাতুন (৭২) ইন্তেকাল করেন।

জানা গেছে, সেহরি খেয়ে বুধবার (১৩ মার্চ) দিবাগত রাতের খাবার একসঙ্গে খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন ওই দম্পতি। সকাল আটটার দিকে ঘুম থেকে জেগে ওঠেন তহিদা খাতুন। এ সময় ডাকাডাকি করেও স্বামীর সাড়া পাননি। তার কান্না শুনে বাড়ির অন্য লোকজন ছুটে আসেন। তখন তারা বুঝতে পারেন আজগর আলী মারা গেছেন। জানাজা ও দাফনকার্যে অংশগ্রহণকারী স্বজনদের অনেকটা শক্ত মনে বিদায় দেন তহিদা খাতুন। রাত আটটার দিকে বাড়িতে হঠাৎ মাথা ঘুরে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে তাৎক্ষণিক মারা যান তহিদাও। পরে মধ্যরাতে জানাজা শেষে স্বামীর কবরের পাশেই তাকে দাফন করা হয়।

তাদের সন্তান লাভলু মিয়া বলেন, ‘আমার বাবা-মায়ের মধ্যে যে ভালোবাসা ও বন্ধুত্ব ছিল, তা এ যুগের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দেখতে পাই না। জীবদ্দশায় বাবা-মা সবসময় কামনা করতেন একসঙ্গে মৃত্যুর। আল্লাহ তাদের সেই মনোবাসনা পূর্ণ করেছেন।’

ট্যাগ:

বন্দরে মেধাবৃত্তি পুরস্কার বিতরণীতে বক্তারা বন্দরের শিক্ষাঙ্গনে সোহরাব মিয়া অমর হয়ে থাকবেন

একসঙ্গে মৃত্যুর ইচ্ছা পূরণ হলো দম্পতির, শায়িত হলেন পাশাপাশি

প্রকাশঃ 02:54:21 pm, Friday, 15 March 2024

একসঙ্গে কাটিয়েছেন দীর্ঘ ৬০ বছর। এ দীর্ঘ সময়ের পথচলায় ছিল একে অপরের প্রতি অগাধ ভালোবাসা। বেঁচে থাকতে সবসময় কামনা করতেন একসঙ্গে মৃত্যুর এবং পাশাপাশি সমাধিস্থ হওয়ার। তাদের সেই ইচ্ছাই পূরণ হয়েছে এ দম্পতির। একই দিনে পৃথিবী ছেড়ে চির বিদায় নিলেন তার, দাফনও হলেন পাশাপাশি।

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) ভোরে রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের ইন্দিরাপাড়া গ্রামের আজগার আলী (৮০) এবং রাত আটটার দিকে তার স্ত্রী তহিদা খাতুন (৭২) ইন্তেকাল করেন।

জানা গেছে, সেহরি খেয়ে বুধবার (১৩ মার্চ) দিবাগত রাতের খাবার একসঙ্গে খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন ওই দম্পতি। সকাল আটটার দিকে ঘুম থেকে জেগে ওঠেন তহিদা খাতুন। এ সময় ডাকাডাকি করেও স্বামীর সাড়া পাননি। তার কান্না শুনে বাড়ির অন্য লোকজন ছুটে আসেন। তখন তারা বুঝতে পারেন আজগর আলী মারা গেছেন। জানাজা ও দাফনকার্যে অংশগ্রহণকারী স্বজনদের অনেকটা শক্ত মনে বিদায় দেন তহিদা খাতুন। রাত আটটার দিকে বাড়িতে হঠাৎ মাথা ঘুরে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে তাৎক্ষণিক মারা যান তহিদাও। পরে মধ্যরাতে জানাজা শেষে স্বামীর কবরের পাশেই তাকে দাফন করা হয়।

তাদের সন্তান লাভলু মিয়া বলেন, ‘আমার বাবা-মায়ের মধ্যে যে ভালোবাসা ও বন্ধুত্ব ছিল, তা এ যুগের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দেখতে পাই না। জীবদ্দশায় বাবা-মা সবসময় কামনা করতেন একসঙ্গে মৃত্যুর। আল্লাহ তাদের সেই মনোবাসনা পূর্ণ করেছেন।’