রমজান এলেই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করে জনগনের পকেট কেটে নিয়ে যায় এক শ্রেণীর ব্যবসায়ী। নির্বাচনের পর থেকে চাল, ডাল, তেল, চিনি, পেঁয়াজসহ দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া নিয়ন্ত্রণহীন। ফলে রমজান মাসে জনগণের নাভিশ্বাস উঠে যাবে। এসব বিষয় উল্লেখ করে রমজানে দ্রব্যমূল্যের নিয়ন্ত্রণে রাখতে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (বাংলাদেশ ন্যাপ)।
দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ ন্যাপ।
রোববার (১০ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এ আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, কয়েক মাস ধরে দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি চলছে। রমজান মাস আসতে আর খুব বেশী সময় বাকি নেই। এ অবস্থায় মুনাফাখোর সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে ভয়াবহ সংকট তৈরী হবে এতে কোনো সন্দেহ নেই।
প্রতি বছর সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার কথা বলে, প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট বসিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণের কথা বলে; কিন্তু বাস্তবে এর কোনো প্রতিফলন দেখা যায় না। মুনাফাখোর ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট এতটাই শক্তিশালী যে, তাদের কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয় না বলে বিবৃতিতে জানানো হয়।
নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গেলে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হন খেটে খাওয়া ও নিম্নআয়ের শ্রমজীবী মানুষ। পাশাপাশি মধ্যবিত্ত শ্রেণিও ভোগান্তির শিকার হন। এবারের রমজান মাসে যাতে জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং শ্রমজীবীসহ সব স্তরের মানুষ যাতে উপকৃত হয়, সেজন্য দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত বলে মনে করেন ন্যাপ নেতারা।
রমজানে খাদ্যদ্রব্যের মূ্ল্যবৃদ্ধি না করতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, এই মাসটি পরস্পরের প্রতি সাহায্য-সহানুভুতির মাস। নিত্যপণ্যের দাম চড়া থাকলে সমাজের গরিব, এতিম, অসহায় ও সাধারণ অনেক রোজাদার চাইলেও মনমতো ইফতার ও সেহরি করতে পারে না। তাই রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রেখে রোজাদারদের ইফতার সেহরিতে বিশেষ সহায়তা করার আহ্বান জানানো হয়।
বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে রোজার সময় নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে চিন্তিত সাধারণ মানুষ। কারণ বাজার দীর্ঘদিন ধরে অস্বাভাবিক চড়া। কোনো পণ্যের দাম কমছে না। এমনকি দেশের বাজারে নিত্যপণ্যের দাম কমার কোনো সুখবরও নেই বেশ দীর্ঘ সময়। টিসিবি মাধ্যমে সুলভে পণ্য বিক্রি করলেও ভোক্তার দুর্ভোগ কমেনি।
মূলত রমজান মাসে নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়া এক শ্রেণীর ব্যবসায়ীর অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। সরকারের দায়িত্বশীলরাও ব্যবসায়ীদের এ ধরনের তৎপরতায় এক ধরনের অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছিলেন। তাই ভোক্তাদের দুর্ভোগ বিবেচনায় রমজানে নিয়মিত বাজার তদারকি অব্যাহত রাখার জন্য সরকারকে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানায় বাংলাদেশ ন্যাপ।