প্রিয় ঋতু শরৎ বিদায়ের পথে। তার আগে বাংলার মাঠ-প্রান্তর টানা বৃষ্টিতে ভিজেছে। পাহাড়ি ঢলে দেশের বিভিন্ন জেলায় বন্যাও দেখা দিয়েছে। জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে নিম্নাঞ্চলগুলোতে। আগামী তিন দিনও দেশে মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টির শঙ্কা রয়েছে। তবে সুখের খবর এই, এরপর থেকে বৃষ্টির প্রবণতা কমে আসবে। আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে মৌসুমি বায়ু সারা দেশ থেকে বিদায় নিতে পারে।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় আবহাওয়ার পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আবহাওয়া দপ্তরের সিনপটিক প্রতিবেদন অনুযায়ী- মৌসুমি বায়ুর অক্ষ বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। বর্তমানে মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে। তবে তা আগামী পাঁচদিনের মধ্যে বিদায় নিতে পারে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
এ সময় সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
এ ছাড়া আজ (৯ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রংপুর, ময়মনসিংহ, খুলনা ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সে সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
তা ছাড়া বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সে সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
বর্ধিত ৫ দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দক্ষিণপশ্চিম মৌসুমি বায়ু দেশের ওপর থেকে বিদায় নিতে পারে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় ৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে, আর ময়মনসিংহের নেত্রকোনায় সর্বোচ্চ ৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। সেখানকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, এবং রংপুরের সৈয়দপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।