শনি. সেপ্টে ২১, ২০২৪

বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা ফের তদন্তে কমিশন গঠন চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলসের (বিডিআর) সদর দপ্তর রাজধানীর পিলখানায় বিদ্রোহের সময় সেনা অফিসারদের হত্যার ঘটনা ফের তদন্তের জন্য বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠন করতে আইনি নোটিশ দেওয়া হয়েছে। 

আজ (বুধবার) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সোলায়মান তুষার ৯ জন আইনজীবী ও একজন ব্যবসায়ীর পক্ষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইজিপি ও র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের ডিজিকে ই-মেইলযোগে এই নোটিশ পাঠান। নোটিশ দাতারা হলেন— সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সোলায়মান তুষার, ব্যারিস্টার মাহদী জামান (বনি), ব্যারিস্টার  শেখ মঈনুল করিম, ব্যারিস্টার আহমেদ ফারজাদ, অ্যাডভোকেট বায়েজীদ হোসাইন, অ্যাডভোকেট  মো. শাহেদ সিদ্দিকী, ব্যারিস্টার সলিম উল্লাহ, অ্যাডভোকেট লোকমান হাকিম, ব্যারিস্টার ও সলিসিটর মো. কাউসার ও ব্যবসায়ী মাহফুজুল ইসলাম।

বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা ফের তদন্ত করতে নোটিশ পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠন ও ওই ঘটনায় নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ ও আহতদের ২ কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে নোটিশে। উল্লেখ্য, বিদ্রোহের ঘটনায় বিডিআরের তৎকালীন মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদসহ মোট ৭৪ জন প্রাণ হারান।

আইনি নোটিশে বলা হয়, সম্প্রতি বিভিন্ন দেশি-বিদেশি সংবাদপত্র ও টেলিভিশনে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা সঠিকভাবে তদন্ত করা হয়নি। ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা শাস্তির আওতায় আসেনি। অনেক নিরীহ মানুষকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) জেনারেল মঈন উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বিডিআর সদর দপ্তরের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত ঘটনা জনগণ জানতে পারেনি।

আইনি নোটিশে আরও বলা হয়,  সেনা অফিসারদের জীবন রক্ষা করার দায়িত্ব ছিল নোটিশ গ্রহীতাদের। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩২ অনুযায়ী এ দায়িত্ব রক্ষায় নোটিশ গ্রহীতা ব্যর্থ হয়েছে। তারা তাদের দায়িত্ব এড়াতে পারেন না। 

এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সোলায়মান তুষার বলেন, বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনাটি অত্যন্ত বেদনাদায়ক। তাতে ৫৭ জন সেনা অফিসারসহ ৭৪ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য ওই ঘটনা সুষ্ঠু তদন্ত করা হয়নি। ঘটনার সঙ্গে জড়িত মূল অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হয়নি। আবার অনেক নিরপরাধ মানুষকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।  

By admin

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *