ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে দুর্বৃত্তদের নাশকতার জেরে এক মাসের বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকার পর আজ রোববার (২৫ আগস্ট) থেকে আবারও শুরু হয়েছে মেট্রোরেল চলাচল। তবে নাশকতায় ক্ষতিগ্রস্ত মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনে আপাতত থামছে না মেট্রোরেল।
এ বিষয়ে গতকাল মেট্রোরেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ আবদুর রউফ সাংবাদিকদের জানান, গত বৃহস্পতিবার থেকে আজ শনিবার পর্যন্ত মেট্রোরেল ট্রায়াল (পরীক্ষামূলকভাবে চালানো) দেওয়া হয়েছে। রোববার থেকে মেট্রোরেল চালু হচ্ছে।
ডিএমটিসিএল প্রকাশিত সূচি অনুযায়ী, আজ উত্তরা থেকে সকাল ৭টা ১০ মিনিটে প্রথম মেট্রোরেল ছাড়ে। এখান থেকে সর্বশেষ মেট্রোরেল ছাড়া হবে রাত ৮টা ৩০ মিনিটে। এ ছাড়া মতিঝিল থেকে প্রথম মেট্রোরেল ছাড়ে সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে। এখান থেকে সর্বশেষ ছাড়বে রাত সোয়া ৯টায়। যাত্রীচাপ বিবেচনায় প্রতি ১০ মিনিট, আট মিনিট ও ১২ মিনিট পরপর ছাড়া হচ্ছে মেট্রোরেল।
ছাত্র-জনতার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় গত ১৮ জুলাই মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বর এলাকায় মেট্রো লাইনের নিচের পুলিশ বক্সে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। সেই আগুনের মধ্য দিয়েই ট্রেন ছুটে যায়। পরে জননিরাপত্তার স্বার্থে ওই দিন বিকেল সাড়ে ৫টার পর মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
নতুন অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর ১১ আগস্ট উপদেষ্টা পরিষদের এক বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, ১৭ আগস্ট থেকে মেট্রোরেল চালু হবে। উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল স্বাভাবিক নিয়মে চলাচল করবে। তবে মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনে আপাতত ট্রেন থামবে না। কারণ, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় এ দুটি স্টেশন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে এর মধ্যে কর্মচারীরা বেতন বৈষম্যের দাবি তুলে কর্মবিরতি ঘোষণা করে। পরে তাদের সাথে কর্তৃপক্ষের বৈঠকের পর কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
২০২২ সালের ২৯ ডিসেম্বর মেট্রোরেলের উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশ পর্যন্ত সর্বসাধারণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। এরপর ২০২৩ সালের ৪ নভেম্বর চালু করা হয় আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশ। উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলে প্রতিদিন প্রায় তিন লাখ যাত্রী যাতায়াত করে থাকেন।