আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে সাত মন্ত্রী

দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতি নিয়ে আনইশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন সরকারের সাত মন্ত্রী। সোমবার (৩০ জুলাই) বিকেল ৩টার দিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই বৈঠক শুরু হয়।

পুলিশপ্রধানসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নিয়েছেন পুলিশপ্রধানসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল; আইনমন্ত্রী আনিসুল হক; তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী আলি আরাফাত; ডাক, টেলিযোগাযোগ ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পালক; শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মোঃ নজরুল ইসলাম চৌধুরী।

এছাড়া বৈঠকে পররাষ্ট্র সচিব, বাণিজ্য সবিচ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব এবং সুরক্ষা বিভাগের সচিব অংশ নিয়েছেন।

এর আগে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের বিষয়ে কথা বলতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি জানান, নির্বাহী আদেশে আগামীকাল বুধবারের (৩১ জুলাই) মধ্যেই জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হবে।

কোন প্রক্রিয়ায় জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করা হবে, সে বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের মধ্যে এ প্রশ্নের জবাব রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন, বুধবারের মধ্যেই একটা ব্যবস্থা নেয়ার।

কোন আইনে জামায়াত নিষিদ্ধ করা হবে, তা নির্ধারণ করতে বিকেলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে তার বৈঠক হবে বলেও জানান আনিসুল হক। মন্ত্রী বলেন, ‘আমি কিছুক্ষণ পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বসবো। সেখানে আমরা সিদ্ধান্ত নেবো কোন আইনি প্রক্রিয়ায় হবে। সেটা যখন আমরা সিদ্ধান্ত নেবো, তখন বলবো।’

আন্দোলন চলমান রয়েছে, এর মধ্যে জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ করে পরবর্তী সময় সরকার আবার ঝামেলায় পড়বে কি না, এ বিষয়ে আনিসুল হক বলেন, ‘দেখেন এই যে নৃশংসতা, যেটি গত ১৬ জুলাই থেকে চালানো হয়েছে। কোটা আন্দোলনের নামে যে সহিংসতা চালানো হয়েছে, যারা কোটা আন্দোলন করছেন তারা কিন্তু জানিয়েছেন এ সহিংসতার সঙ্গে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই…। সেক্ষেত্রে আমাদের কাছে তথ্য উপাত্ত আছে, জামায়াত-বিএনপি ও ইসলামী ছাত্রশিবির, ছাত্রদলের যারা জঙ্গি তারাই এটা করেছে।’

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এই দলটাকে যদি নিষিদ্ধ করা হয় তাহলে আইনশৃঙ্খলা এবং দেশের রাজনীতিরও অনেক উন্নতি হবে।‌ কোনো দলকে যদি নিষিদ্ধ করা হয়, তখন সেটি নির্বাহী আদেশেই হয়। সেটি কোনো বিচার বিভাগীয় আদেশে হয় না।’

আদিকে আজ রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত যৌথসভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানান, জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধে ১৪ দলের নেতারা একমত হয়েছেন। এখন এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবে সরকার। আইনগত দিক সঠিকভাবে দেখে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে, যাতে কোনো ফাঁকফোকর দিয়ে তারা আর কোনো সুযোগ না পায়।

ট্যাগ:

মুন্সীগঞ্জে কম্বল ও সেলাই মেশিনে পেলো হতদরিদ্র ৫ শতাধিক পরিবার

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে সাত মন্ত্রী

প্রকাশঃ 12:54:01 pm, Tuesday, 30 July 2024

দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতি নিয়ে আনইশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন সরকারের সাত মন্ত্রী। সোমবার (৩০ জুলাই) বিকেল ৩টার দিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই বৈঠক শুরু হয়।

পুলিশপ্রধানসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নিয়েছেন পুলিশপ্রধানসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল; আইনমন্ত্রী আনিসুল হক; তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী আলি আরাফাত; ডাক, টেলিযোগাযোগ ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পালক; শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মোঃ নজরুল ইসলাম চৌধুরী।

এছাড়া বৈঠকে পররাষ্ট্র সচিব, বাণিজ্য সবিচ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব এবং সুরক্ষা বিভাগের সচিব অংশ নিয়েছেন।

এর আগে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের বিষয়ে কথা বলতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি জানান, নির্বাহী আদেশে আগামীকাল বুধবারের (৩১ জুলাই) মধ্যেই জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হবে।

কোন প্রক্রিয়ায় জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করা হবে, সে বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের মধ্যে এ প্রশ্নের জবাব রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন, বুধবারের মধ্যেই একটা ব্যবস্থা নেয়ার।

কোন আইনে জামায়াত নিষিদ্ধ করা হবে, তা নির্ধারণ করতে বিকেলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে তার বৈঠক হবে বলেও জানান আনিসুল হক। মন্ত্রী বলেন, ‘আমি কিছুক্ষণ পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বসবো। সেখানে আমরা সিদ্ধান্ত নেবো কোন আইনি প্রক্রিয়ায় হবে। সেটা যখন আমরা সিদ্ধান্ত নেবো, তখন বলবো।’

আন্দোলন চলমান রয়েছে, এর মধ্যে জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ করে পরবর্তী সময় সরকার আবার ঝামেলায় পড়বে কি না, এ বিষয়ে আনিসুল হক বলেন, ‘দেখেন এই যে নৃশংসতা, যেটি গত ১৬ জুলাই থেকে চালানো হয়েছে। কোটা আন্দোলনের নামে যে সহিংসতা চালানো হয়েছে, যারা কোটা আন্দোলন করছেন তারা কিন্তু জানিয়েছেন এ সহিংসতার সঙ্গে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই…। সেক্ষেত্রে আমাদের কাছে তথ্য উপাত্ত আছে, জামায়াত-বিএনপি ও ইসলামী ছাত্রশিবির, ছাত্রদলের যারা জঙ্গি তারাই এটা করেছে।’

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এই দলটাকে যদি নিষিদ্ধ করা হয় তাহলে আইনশৃঙ্খলা এবং দেশের রাজনীতিরও অনেক উন্নতি হবে।‌ কোনো দলকে যদি নিষিদ্ধ করা হয়, তখন সেটি নির্বাহী আদেশেই হয়। সেটি কোনো বিচার বিভাগীয় আদেশে হয় না।’

আদিকে আজ রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত যৌথসভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানান, জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধে ১৪ দলের নেতারা একমত হয়েছেন। এখন এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবে সরকার। আইনগত দিক সঠিকভাবে দেখে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে, যাতে কোনো ফাঁকফোকর দিয়ে তারা আর কোনো সুযোগ না পায়।