জাকির খানের মুক্তির দাবিতে শহরে বিক্ষোভ মিছিল

ব্যবসায়ী সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলায় জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খানকে হাজিরা দিতে আদালতে আনা হয়নি।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (প্রথম আদালত) উম্মে সারবান তাহুরার আদালতে তাকে হাজির করার কথা থাকলেও নিরাপত্তার কারণে এদিন তাকে ঢাকা গাজীপুর কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারারগার থেকে নারায়ণগঞ্জ আদালতে আনা হয়নি।

আসামি পক্ষের আইনজীবী এড. রাজীব মন্ডল জানান, ঢাকায় কোটা আন্দোলনের কারণে নিরাপত্তার স্বার্থে কাশিমপুর কারাগার থেকে জাকির খানকে আজ (মঙ্গলবার) আদালতে আনা হয়নি। তবে আজও আমরা আদালতে জাকির খানের চিকিৎসার আবেদন করেছি। আদালত তা মঞ্জুর করে পরবর্তি তারিখের মধ্যে জাকির খানকে চিকিৎসা দিয়ে তার প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করার জন্য কারাগার কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা প্রদান করেছেন। এ মামলার পরবর্তি তারিখ ২৮ জুলাই।

এদিকে আদালতে জাকির খানের হাজির হওয়ার তারিখ থাকায় এদিনও আদালতপাড়ায় তার শত শত কর্মীসমর্থকরা ভীড় জমায়। কিন্তু জাকির খানকে না আনায় আদালতপাড়ার বাইরে থেকে বিশাল মিছিল বের করে জাকির খানের কর্মীসমর্থকরা। মিছিলটি নারায়ণগঞ্জের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা ও মহানগর বিএনপির সাবেক কার্যালয়ের সামনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্যদিয়ে শেষ হয়।

সমাবেশে বক্তরা বলেন, সাব্বির আলমের পরিবারের সাথে জমি জমা নিয়ে তৈমূরের সাথে বিরোধ ছিলো। তারাই হয়তো সাব্বির আলমকে হত্যা করে আমাদের নেতা জাকির খানের নাম দিচ্ছে। আমরা এ মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার চাই। জাকির খানের মুক্তি চাই। এ সময় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ‘মুক্তি মুক্তি চাই, জাকির খানের মুক্তি চাই’ স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে গোটা শহর।

মিছিল ও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, জাকির খান মুক্তি পরিষদের আহ্বায়ক সলিমুল্লাহ্ করিম সেলিম, যুগ্ম আহ্বায়ক মির্জা খোকেন, মো: শাহজাহান, মো: নাসির, মো: সেন্টু, সদস্য মো: মহিউদ্দিন, মো: আহম্মদ হোসেন, সদর থানা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক লিংকন খান, যুবদল নেতা সনেট আহমেদ, জেলা মৎস্যজীবী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক এইচএম হোসেন, মহানগর মৎস্যজীবী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক শ্রী ঋষিকেশ মন্ডল মিঠু, জেলা যুবদলের সাবেক সহ সভাপতি পারভেজ মল্লিক, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) জিয়াউর রহমান জিয়া, সদর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক কাঞ্চন আহমেদ, লিমন ভূঁইয়া, এলকে রনী, জেলা গার্মেন্টস শ্রমিক দলের সভাপতি কাউসার আহমেদ, জেলা মৎস্যজীবী দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মুন্সী মোহাম্মদ শাহজালাল, ফতুল্লা থানা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি সলিমুল্লাহ্ হৃদয়, সাধারণ সম্পাদক জুনায়েদ শুভ, বন্দর উপজেলা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি হাসান মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক মো: রুবেল, সদর থানা গার্মেন্টস শ্রমিক দলের সভাপতি এজাজ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মো: রাসেল বেপারী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ সালেহ্ আহমেদ রনি, সাংগঠনিক সম্পাদক দাদা সুমন, মো: খোকন সরদার, পরিবহন শ্রমিক দল নেতা মো: সুমন, টুক্কু হাসান, জামাই মনির, আয়নাল, মাহি ও শামীমসহ আড়াইহাজার, রূপগঞ্জ ও সোনারগাঁও উপজেলা মৎস্যজীবী দলের নেতৃবৃন্দ।

ট্যাগ:

মুন্সীগঞ্জে জার্মান বিএনপির নেতা দেলোয়ার মোল্লাকে সংবর্ধনা

জাকির খানের মুক্তির দাবিতে শহরে বিক্ষোভ মিছিল

প্রকাশঃ 03:29:56 pm, Tuesday, 16 July 2024

ব্যবসায়ী সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলায় জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খানকে হাজিরা দিতে আদালতে আনা হয়নি।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (প্রথম আদালত) উম্মে সারবান তাহুরার আদালতে তাকে হাজির করার কথা থাকলেও নিরাপত্তার কারণে এদিন তাকে ঢাকা গাজীপুর কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারারগার থেকে নারায়ণগঞ্জ আদালতে আনা হয়নি।

আসামি পক্ষের আইনজীবী এড. রাজীব মন্ডল জানান, ঢাকায় কোটা আন্দোলনের কারণে নিরাপত্তার স্বার্থে কাশিমপুর কারাগার থেকে জাকির খানকে আজ (মঙ্গলবার) আদালতে আনা হয়নি। তবে আজও আমরা আদালতে জাকির খানের চিকিৎসার আবেদন করেছি। আদালত তা মঞ্জুর করে পরবর্তি তারিখের মধ্যে জাকির খানকে চিকিৎসা দিয়ে তার প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করার জন্য কারাগার কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা প্রদান করেছেন। এ মামলার পরবর্তি তারিখ ২৮ জুলাই।

এদিকে আদালতে জাকির খানের হাজির হওয়ার তারিখ থাকায় এদিনও আদালতপাড়ায় তার শত শত কর্মীসমর্থকরা ভীড় জমায়। কিন্তু জাকির খানকে না আনায় আদালতপাড়ার বাইরে থেকে বিশাল মিছিল বের করে জাকির খানের কর্মীসমর্থকরা। মিছিলটি নারায়ণগঞ্জের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা ও মহানগর বিএনপির সাবেক কার্যালয়ের সামনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্যদিয়ে শেষ হয়।

সমাবেশে বক্তরা বলেন, সাব্বির আলমের পরিবারের সাথে জমি জমা নিয়ে তৈমূরের সাথে বিরোধ ছিলো। তারাই হয়তো সাব্বির আলমকে হত্যা করে আমাদের নেতা জাকির খানের নাম দিচ্ছে। আমরা এ মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার চাই। জাকির খানের মুক্তি চাই। এ সময় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ‘মুক্তি মুক্তি চাই, জাকির খানের মুক্তি চাই’ স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে গোটা শহর।

মিছিল ও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, জাকির খান মুক্তি পরিষদের আহ্বায়ক সলিমুল্লাহ্ করিম সেলিম, যুগ্ম আহ্বায়ক মির্জা খোকেন, মো: শাহজাহান, মো: নাসির, মো: সেন্টু, সদস্য মো: মহিউদ্দিন, মো: আহম্মদ হোসেন, সদর থানা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক লিংকন খান, যুবদল নেতা সনেট আহমেদ, জেলা মৎস্যজীবী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক এইচএম হোসেন, মহানগর মৎস্যজীবী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক শ্রী ঋষিকেশ মন্ডল মিঠু, জেলা যুবদলের সাবেক সহ সভাপতি পারভেজ মল্লিক, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) জিয়াউর রহমান জিয়া, সদর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক কাঞ্চন আহমেদ, লিমন ভূঁইয়া, এলকে রনী, জেলা গার্মেন্টস শ্রমিক দলের সভাপতি কাউসার আহমেদ, জেলা মৎস্যজীবী দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মুন্সী মোহাম্মদ শাহজালাল, ফতুল্লা থানা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি সলিমুল্লাহ্ হৃদয়, সাধারণ সম্পাদক জুনায়েদ শুভ, বন্দর উপজেলা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি হাসান মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক মো: রুবেল, সদর থানা গার্মেন্টস শ্রমিক দলের সভাপতি এজাজ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মো: রাসেল বেপারী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ সালেহ্ আহমেদ রনি, সাংগঠনিক সম্পাদক দাদা সুমন, মো: খোকন সরদার, পরিবহন শ্রমিক দল নেতা মো: সুমন, টুক্কু হাসান, জামাই মনির, আয়নাল, মাহি ও শামীমসহ আড়াইহাজার, রূপগঞ্জ ও সোনারগাঁও উপজেলা মৎস্যজীবী দলের নেতৃবৃন্দ।