নারায়ণগঞ্জ শহরে বিএনপির র্যালিতে যুবদলের দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় উভয়পক্ষের অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন।
শবিবার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে শহরের মিশনপাড়া ও উকিলপাড়া এলাকায় দুই দফায় এই হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে শহরে আতঙ্ক ও তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে শনিবার বিকেলে শহরের মিশনপাড়া এলাকায় নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির উদ্যোগে র্যালির প্রস্তুতি চলছিল। সেই লক্ষ্যে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের আয়োজন করা হয়। র্যালিতে যোগ দিতে বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে বিএনপি, ছাত্রদল ও যুবদলসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে এসে সেখানে জড়ো হন। এ সময় বন্দর থানা বিএনপির সভাপতি শাহেন শাহ’র নেতৃত্বে একটি মিছিল এসে সমাবেশ স্থলে উপস্থিত হয়। শাহেন শাহ’র অনুসারীরা আগের অবস্থানে থাকা নেতাদের সরিয়ে নিজেরা জায়গা দখল করে নেন।
পরবর্তীতে মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল ও সদস্য সচিব শাহেদ আহমেদের নেতৃত্বে মিছিল আসলে তারাও শাহেন শাহ’র লোকদের সরিয়ে দেয়। এ নিয়ে যুবদলের দুপক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি ও ধস্তাধস্তি হলে উভয়পক্ষের পাঁচজন আহত হন।
এরপর র্যালি বের হয়ে শহরের বঙ্গবন্ধু রোডে নারায়ণগঞ্জ ক্লাব মার্কেটের সামনে পৌঁছালে যুবদলের কিছু সমর্থক মহানগর যুবদল নেতা মাজহারুল ইসলাম জোসেফকে ধাক্কা দেন। এ সময় জোসেফের অনুসারীরা তাদের মারধর করলে দুই গ্রুপের মধ্যে দ্বিতীয় দফায় হাতাহাতি হয়। সেখানে মাসুম নামে এক কর্মী জখম হন।
পরে মহানগর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপুসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। এরপর আহত মাসুমকে শহরের জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব শাহেদ আহমেদ জানান, শহরের কিছু যুবদল নেতাকর্মীর সঙ্গে বন্দরের কিছু যুবদল নেতাকর্মীর মধ্যে বাকবিতণ্ডার জের ধরে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। পরে বিষয়টি আমরা সমাধান করে দিয়েছি।
এ বিষয়ে মহানগর যুবদল নেতা মাজাহারুল ইসলাম জোসেফ জানান, নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝিকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি সমাধান করা হয়েছে।