শনি. সেপ্টে ২১, ২০২৪

কোটার বিষয়টি আদালতে গিয়েই সমাধান করতে হবে: জনপ্রশাসনমন্ত্রী

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সচিবালয়ের নিজ দফতরের করিডোরে সাংবাদিকদের এ সব কথা বলেন তিনি।

কোটা নিয়ে জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, সরকারও চায় বিষয়টি নিষ্পত্তি হোক তবে আদালতকে আমরা সন্মান ও শ্রদ্ধা করি। আদালতের বিষয়টি আদালতের গিয়েই সমাধান করতে হয়। শিক্ষার্থীদের রাস্তায় না থেকে এ বিষয়টি আদালতে গিয়ে নিষ্পত্তি করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সচিবালয়ের নিজ দফতরের করিডোরে কোটার বিষয়টি নিয়ে কথা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন কোটা নিয়ে জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। ছবিটি ভিডিও থেকে নেয়া

জনপ্রশাসনমন্ত্রী বলেন, আমি একজন শিক্ষক হিসেবে শিক্ষার্থীদের বলবো, বিষয়টি নিয়ে রাস্তায় না থেকে এটি নিয়ে আদোলতে গিয়ে নিষ্পত্তি করা। ২০১৮ সালে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল, সেই আলোকে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বা অন্যরা মনে করেছেন তারা বঞ্চিত হয়েছেন। এরপর তারা ২১ সালে হাইকোর্টে একটি রিট করেন। সেই চলমান প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে ৫ জুন একটা রায় দিয়েছেন আদালত। তারই পরিপ্রেক্ষিতে গতদিনও (১০ জুলাই) শুনানির পরে আদালত স্থগিতাদেশ দিয়েছেন।

আমি আরও বলতে চাই যেটি যেখানে নিষ্পত্তি করা প্রয়োজন, সেটি সেখানেই নিষ্পত্তি করতে হবে। আমরাও চাই বিষয়টি সুন্দরভাবে নিষ্পত্তি হোক। কারণ মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের কথা শুনে আদালত যে রায় দিয়েছেন, এখন এখানে কিন্তু সুযোগ রয়ে গেছে এবং এখনো সুযোগ আছে বলেও জানান তিনি।

তিনি আবারও বলেন, সরকারও চায় বিষয়টি নিষ্পত্তি হোক। কিন্তু যেখানে যে বিষয়টি নিষ্পত্তি হওয়া দরকার, সেখানেই তা নিষ্পত্তি হতে হবে। রাস্তা অবরোধ করে, জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করার চেয়ে আদালতে যাওয়াই যৌক্তিক। ওখানে গিয়ে যৌক্তিকভাবে সব তুলে ধরলে একটি সহজ সমাধান হবে।

সরকার মানুষের জন্য যে উন্নয়ন ও কল্যাণ করছে, একটি গোষ্ঠী সরকারের এসব উন্নয়নের সমালোচনা করছে। সহজ সমাধান হওয়ার পরিবর্তে এটি নিয়ে জটিল জায়গা কেন বেছে নেয়া হচ্ছে এমন প্রশ্ন রেখে জনপ্রশাসনমন্ত্রী আরও বলেন,

দুর্ভোগ থেকে জনগণকে মুক্তি দিয়ে আদালতে এসেই এটি সমাধান করলে ভালো হয়। আলোচনার ভিত্তিতে একটা বিষয় হতে পারে, সেটি হচ্ছে কোটা কতটুকু থাকবে। কাদের জন্য কত শতাংশ কোটা রাখা যাবে। নারী কোটা তুলে দেয়ায় অনেক ক্ষেত্রেই নারীরা এগিয়ে আসতে পারেনি। কোটা বাতিল না হয়ে সংস্কার হওয়া উচিত। তবে কত শতাংশ কোটা থাকতে পারে, সেটি আদালতের বিষয়।

যারা এদেশের মানুষের কল্যাণ চায় না, আওয়ামী লীগ সরকার নিম্ন আয়ের দেশ থেকে উন্নয়ন করে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে চায়, এটি যারা চায় না তারাই এসব আন্দোলনে ইন্ধন জোগাচ্ছে। একটি কুচক্রী মহলের ইন্ধনেই কোটা বিষয়টিকে জটিল করে তোলা হচ্ছে। আন্দোলন পরিহার করে, বিষয়টি নিয়ে শিক্ষার্থীদের আদালতে সমাধানের আহ্বানও জানান মন্ত্রী।

By admin

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *