সাবেক সেনাপ্রধান আজিজের জামাতার পরিচয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের গায়ে হাত

ছবি:সংগৃহীত

কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের গায়ে হাত তুলেছেন সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের জামাতা পরিচয় দেওয়া মাইনুদ্দিন নামের এক ব্যক্তি।

বুধবার (১০ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর গুলিস্তানের জিরোপয়েন্ট-পল্টন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, বিকেল ৩টার দিকে গুলিস্তানের জিরোপয়েন্ট-পল্টন দখল করে আন্দোলন করে কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীরা। এ সময় মাইনুদ্দিন নামের এক ব্যক্তি সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের মেয়ের জামাই হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীদের গায়ে হাত তুলে বসেন তিনি। পরে শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে পড়লে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে তাদেরকে শান্ত করেন। পুলিশের কাছে মাইনুদ্দিন নিজেকে প্রবাসী এবং আজিজ আহমেদের মেয়ের জামাই বলে দেওয়া পরিচয়টি ভুয়া বলে স্বীকার করেন। এরপর শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চেয়ে পুলিশকে মুচলেকা দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন তিনি।

এদিকে রাজধানীতে গাড়ির চাকা স্থাবর থাকলেও ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স ও বয়স্কদের চলাচলে বাধা দেননি আন্দোলনকারীরা।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, আমরা মনে করি একটি স্বাধীন জাতি কখনো বৈষম্যের শৃঙ্খলে আবদ্ধ থাকতে পারে না। তাই আমরা ছাত্র জনতা এক হয়ে যতদিন পর্যন্ত আমাদের দাবি আদায় না হবে, আন্দোলন করে যাবো। কোটা সংস্কারে আমাদের দাবি সরকার শিগগিরই মেনে নেবে বলে আমরা আশা করছি। সূত্র:আরটিভি।

ট্যাগ:

গজারিয়ায় রেনেসাঁ ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে মাদক বিরোধী র‍্যালী

সাবেক সেনাপ্রধান আজিজের জামাতার পরিচয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের গায়ে হাত

প্রকাশঃ 04:24:33 pm, Wednesday, 10 July 2024

কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের গায়ে হাত তুলেছেন সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের জামাতা পরিচয় দেওয়া মাইনুদ্দিন নামের এক ব্যক্তি।

বুধবার (১০ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর গুলিস্তানের জিরোপয়েন্ট-পল্টন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, বিকেল ৩টার দিকে গুলিস্তানের জিরোপয়েন্ট-পল্টন দখল করে আন্দোলন করে কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীরা। এ সময় মাইনুদ্দিন নামের এক ব্যক্তি সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের মেয়ের জামাই হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীদের গায়ে হাত তুলে বসেন তিনি। পরে শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে পড়লে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে তাদেরকে শান্ত করেন। পুলিশের কাছে মাইনুদ্দিন নিজেকে প্রবাসী এবং আজিজ আহমেদের মেয়ের জামাই বলে দেওয়া পরিচয়টি ভুয়া বলে স্বীকার করেন। এরপর শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চেয়ে পুলিশকে মুচলেকা দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন তিনি।

এদিকে রাজধানীতে গাড়ির চাকা স্থাবর থাকলেও ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স ও বয়স্কদের চলাচলে বাধা দেননি আন্দোলনকারীরা।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, আমরা মনে করি একটি স্বাধীন জাতি কখনো বৈষম্যের শৃঙ্খলে আবদ্ধ থাকতে পারে না। তাই আমরা ছাত্র জনতা এক হয়ে যতদিন পর্যন্ত আমাদের দাবি আদায় না হবে, আন্দোলন করে যাবো। কোটা সংস্কারে আমাদের দাবি সরকার শিগগিরই মেনে নেবে বলে আমরা আশা করছি। সূত্র:আরটিভি।