বাজারে এখনো ঈদের আমেজ!

ঈদের ছুটি শেষে খুলেছে ব্যাংক, বীমা ও শেয়ারবাজারসহ সব আর্থিক প্রতিষ্ঠান। ত‌বে রাজধানীর নিত্যপণ্যের বাজারে এখনও বিরাজ করছে ঈদের আমেজ; নেই চিরচেনা প্রাণচাঞ্চল্য ও ব্যস্ততা।

শুক্রবার (২১ জুন) কেরানীগঞ্জের আগানগর ও জিনজিরা এবং রাজধানীর নয়াবাজার, কারওয়ান বাজার, নিউমার্কেট ও হাতিরপুল কাঁচাবাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্রই দেখা যায়।

রাজধানীর কারওয়ান বাজার। দিন-রাত মিলে প্রায় ২৪ ঘণ্টাই সরগরম থাকে এ বাজারের কোনো না কোনো অংশ। আড়তদার, পাইকার, খুচরা ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের হাঁক-ডাকে মুখর সেই চিরচেনা বাজারে এখনও নেই তেমন কর্মচাঞ্চল্য।

একই অবস্থা রাজধানীর নিউমার্কেট কাঁচাবাজারসহ অন্য বাজারগুলোতেও; নেই কোলাহল, নেই ব্যস্ততা। পণ্যের পসরা সাজিয়ে অলস সময় পার করছেন বিক্রেতারা। তারা বলছেন, ঈদ শেষে এখনও মানুষ রাজধানীতে ফিরছেন। তাই এখনও জমে ওঠেনি বাজার। তাদের আশা, শুক্র ও শনিবারের সাপ্তাহিক ছুটি শেষে রোববার থেকে বাজারগুলোতে ভিড় বাড়তে শুরু করবে।

আর ক্রেতারা জানান, ঈদের পর বাজার এখনও জমে ওঠেনি। তবুও দাম ছাড়ছেন না ব্যবসায়ীরা। সবজির দাম সামান্য কমলেও এখন পর্যন্ত তা নাগালের বাইরে। মাছ-মাংসসহ অন্যান্য পণ্যের দামও বাড়তি।

বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি বেগুন ৬০-৮০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৩০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, শসা ৫০-৬০ টাকা ও লতি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া, প্রতি কেজি পেঁপে ৪০-৫০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, টমেটো ৮০ টাকা, কাঁকরোল ৬০ টাকা ও পটোল বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়।

আর প্রতি কেজি আলু ৫৫-৬০ টাকা, ধনেপাতা ২০০ টাকা, কহি ৩০ টাকা, আর চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। এছাড়া প্রতি পিস লাউয়ের জন্য গুনতে হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা। আর বাজারে লালশাকের আঁটি ১৫ টাকা, পাটশাক ১৫ টাকা, পুঁইশাক ২০ টাকা, লাউশাক ৩০ টাকা, কলমি ১৫ টাকা ও পালংশাক ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

জাভেদ নামে এক ক্রেতা বলেন, ঈদের অজুহাত দেখিয়ে সবজির দাম এখনও নাগালের বাইরে। দু-একটির দাম সামান্য কমেছে। তবে বেশিরভাগ সবজির দাম ৫০ টাকার ওপরে।

তবে বিক্রেতাদের দাবি, কমতে শুরু করেছে সবজির দাম। সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিপ্রতি সবজির দাম ১০-২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। কোনো কোনো সবজিতে আরও বেশি কমেছে।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা আনিস জানান,
বাজারে একদম ক্রেতা নেই। তবে কমছে সবজির দাম। ঈদের আগে চড়া হওয়া শসার দাম এখন নেমে এসেছে ৫০ টাকায়। ঈদের সময় যেটি ১২০-১৪০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। সরবরাহ স্বাভাবিক হলে দাম আরও কমবে।

এদিকে, বাজারে দাম বেড়েছে কাঁচা মরিচের; পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে ২২০-২৪০ টাকায়, আর খুচরা পর্যায়ে ৩০০-৩২০ টাকায়। বিক্রেতারা জানান, বাজারে কাঁচামরিচ কম আসায় দাম বাড়ছে।

ঈদের পরপর বাজার কিছুটা নিম্নমুখী হলেওতিনদিনের ব্যবধানে ফের বাড়ছে মুরগির দাম। কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৯০-২০০ টাকা, দেশি মুরগি ৭০০-৭৩০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৯০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকায়। আর প্রতি কেজি সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩২০ টাকায়।

বিক্রেতারা বলছেন, ঈদের পর এখন পর্যাপ্ত বাজারে তেমন মুরগি আসেনি; তাই দাম বাড়ছে। কেরানীগঞ্জের আগানগর বাজারের মুরগি ব্যবসায়ী রিপন বলেন,

বাজারে মুরগি কম থাকায় পাইকারিতে দাম বেড়েছে। গতকাল যে মুরগি ১৭৫ টাকায় কিনেছি, আজ (শুক্রবার) সেটি কিনতে হচ্ছে ১৮০-১৮৫ টাকায়। এ প্রভাব খুচরা বাজারেও পড়েছে।
বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০-৮৫০ টাকায়। এছাড়া, প্রতি কেজি খাসির মাংস এক হাজার ৫০ টাকা থেকে এক হাজার ২০০ টাকা ও ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকায়।

এদিকে, স্বস্তির খবর নেই মাছের বাজারেও। প্রায় সব ধরনের মাছে কেজিতে দাম বেড়েছে ২০-৫০ টাকার মতো। বিক্রেতাদের অজুহাত, ঈদের কারণে মাছ কম আসায় বাড়ছে দাম।

বাজারে প্রতি কেজি তেলাপিয়া ২০০-২৩০ টাকা, চাষের পাঙাশ ২০০-২৪০ টাকা, চাষের শিং ৫৫০ টাকা, চাষের মাগুর ৬৫০ টাকা ও চাষের কৈ বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩২০ টাকায়। এছাড়া, আকারভেদে প্রতি কেজি রুই ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকা, কাতলা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, কোরাল ৭০০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, বোয়াল ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা ও আইড় ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তবে কেজিতে ২০০ টাকা পর্যন্ত কমেছে ইলিশের দাম। এ মুহূর্তে প্রতি কেজি ইলিশের দাম পড়ছে ১৫০০-১৬০০ টাকা। যদিও ৮০০-৯০০ গ্রাম ইলিশ ১৩০০-১৪০০ টাকা ও ৬০০-৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১১০০-১২০০ টাকায়।

ঝাঁজ কমেনি মসলার বাজারেও। এখনও বিক্রি হচ্ছে আগের বাড়তি দামেই। বিক্রেতাদের দাবি, ঈদের পর এখনও নতুন মসলা আসেনি। আগের বেশি দামে কেনা মসলাগুলোই এখন বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। নতুন মসলা এলে দাম কিছুটা কমতে পারে।

বাজারে দারুচিনি ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা, জিরা ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা, এলাচ প্রকারভেদে ৩২০০ থেকে ৪০০০ টাকা, সাদা গোলমরিচ ১৪০০ টাকা, কালো গোলমরিচ ৯০০ থেকে ১০০০ টাকা, লবঙ্গ ১৬০০ থেকে ১৬৫০ টাকা ও তেজপাতা ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

আর দেশি শুকনো মরিচ মানভেদে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা, ইন্ডিয়ান শুকনা মরিচ ৩৮০ থেকে ৪২০ টাকা, আলুবোখারা ৯৫০ টাকা, কাজুবাদাম ১২৫০ থেকে ১৩০০ টাকা, কাঠবাদাম ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা, হলুদ ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা, পাঁচফোড়ন ১৮০ থেকে ২০০ টাকা ও ধনিয়া ২২০ থেকে ২৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে, বাজারে আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে আদা, রসুন ও পেঁয়াজ। প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকায়। আর প্রতি কেজি দেশি রসুন ২৩০-২৪০ টাকা ও আমদানি করা রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৬০-২৮০ টাকায়। এছাড়া, মানভেদে প্রতি কেজি আদা বিক্রি হচ্ছে ২৬০-৩০০ টাকায়।

নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের দাবি ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়েরই। ক্রেতারা বলছেন, নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হয় না। এতে বিক্রেতারা ইচ্ছেমতো দাম বাড়ানোর সুযোগ পায়।

আর বিক্রেতারা বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ইচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছে। বাজারে নিয়মিত অভিযান চালালে অসাধুদের দৌরাত্ম্য কমবে।

ট্যাগ:

মুন্সীগঞ্জে জার্মান বিএনপির নেতা দেলোয়ার মোল্লাকে সংবর্ধনা

বাজারে এখনো ঈদের আমেজ!

প্রকাশঃ 05:38:27 am, Friday, 21 June 2024

ঈদের ছুটি শেষে খুলেছে ব্যাংক, বীমা ও শেয়ারবাজারসহ সব আর্থিক প্রতিষ্ঠান। ত‌বে রাজধানীর নিত্যপণ্যের বাজারে এখনও বিরাজ করছে ঈদের আমেজ; নেই চিরচেনা প্রাণচাঞ্চল্য ও ব্যস্ততা।

শুক্রবার (২১ জুন) কেরানীগঞ্জের আগানগর ও জিনজিরা এবং রাজধানীর নয়াবাজার, কারওয়ান বাজার, নিউমার্কেট ও হাতিরপুল কাঁচাবাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্রই দেখা যায়।

রাজধানীর কারওয়ান বাজার। দিন-রাত মিলে প্রায় ২৪ ঘণ্টাই সরগরম থাকে এ বাজারের কোনো না কোনো অংশ। আড়তদার, পাইকার, খুচরা ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের হাঁক-ডাকে মুখর সেই চিরচেনা বাজারে এখনও নেই তেমন কর্মচাঞ্চল্য।

একই অবস্থা রাজধানীর নিউমার্কেট কাঁচাবাজারসহ অন্য বাজারগুলোতেও; নেই কোলাহল, নেই ব্যস্ততা। পণ্যের পসরা সাজিয়ে অলস সময় পার করছেন বিক্রেতারা। তারা বলছেন, ঈদ শেষে এখনও মানুষ রাজধানীতে ফিরছেন। তাই এখনও জমে ওঠেনি বাজার। তাদের আশা, শুক্র ও শনিবারের সাপ্তাহিক ছুটি শেষে রোববার থেকে বাজারগুলোতে ভিড় বাড়তে শুরু করবে।

আর ক্রেতারা জানান, ঈদের পর বাজার এখনও জমে ওঠেনি। তবুও দাম ছাড়ছেন না ব্যবসায়ীরা। সবজির দাম সামান্য কমলেও এখন পর্যন্ত তা নাগালের বাইরে। মাছ-মাংসসহ অন্যান্য পণ্যের দামও বাড়তি।

বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি বেগুন ৬০-৮০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৩০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, শসা ৫০-৬০ টাকা ও লতি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া, প্রতি কেজি পেঁপে ৪০-৫০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, টমেটো ৮০ টাকা, কাঁকরোল ৬০ টাকা ও পটোল বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়।

আর প্রতি কেজি আলু ৫৫-৬০ টাকা, ধনেপাতা ২০০ টাকা, কহি ৩০ টাকা, আর চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। এছাড়া প্রতি পিস লাউয়ের জন্য গুনতে হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা। আর বাজারে লালশাকের আঁটি ১৫ টাকা, পাটশাক ১৫ টাকা, পুঁইশাক ২০ টাকা, লাউশাক ৩০ টাকা, কলমি ১৫ টাকা ও পালংশাক ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

জাভেদ নামে এক ক্রেতা বলেন, ঈদের অজুহাত দেখিয়ে সবজির দাম এখনও নাগালের বাইরে। দু-একটির দাম সামান্য কমেছে। তবে বেশিরভাগ সবজির দাম ৫০ টাকার ওপরে।

তবে বিক্রেতাদের দাবি, কমতে শুরু করেছে সবজির দাম। সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিপ্রতি সবজির দাম ১০-২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। কোনো কোনো সবজিতে আরও বেশি কমেছে।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা আনিস জানান,
বাজারে একদম ক্রেতা নেই। তবে কমছে সবজির দাম। ঈদের আগে চড়া হওয়া শসার দাম এখন নেমে এসেছে ৫০ টাকায়। ঈদের সময় যেটি ১২০-১৪০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। সরবরাহ স্বাভাবিক হলে দাম আরও কমবে।

এদিকে, বাজারে দাম বেড়েছে কাঁচা মরিচের; পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে ২২০-২৪০ টাকায়, আর খুচরা পর্যায়ে ৩০০-৩২০ টাকায়। বিক্রেতারা জানান, বাজারে কাঁচামরিচ কম আসায় দাম বাড়ছে।

ঈদের পরপর বাজার কিছুটা নিম্নমুখী হলেওতিনদিনের ব্যবধানে ফের বাড়ছে মুরগির দাম। কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৯০-২০০ টাকা, দেশি মুরগি ৭০০-৭৩০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৯০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকায়। আর প্রতি কেজি সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩২০ টাকায়।

বিক্রেতারা বলছেন, ঈদের পর এখন পর্যাপ্ত বাজারে তেমন মুরগি আসেনি; তাই দাম বাড়ছে। কেরানীগঞ্জের আগানগর বাজারের মুরগি ব্যবসায়ী রিপন বলেন,

বাজারে মুরগি কম থাকায় পাইকারিতে দাম বেড়েছে। গতকাল যে মুরগি ১৭৫ টাকায় কিনেছি, আজ (শুক্রবার) সেটি কিনতে হচ্ছে ১৮০-১৮৫ টাকায়। এ প্রভাব খুচরা বাজারেও পড়েছে।
বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০-৮৫০ টাকায়। এছাড়া, প্রতি কেজি খাসির মাংস এক হাজার ৫০ টাকা থেকে এক হাজার ২০০ টাকা ও ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকায়।

এদিকে, স্বস্তির খবর নেই মাছের বাজারেও। প্রায় সব ধরনের মাছে কেজিতে দাম বেড়েছে ২০-৫০ টাকার মতো। বিক্রেতাদের অজুহাত, ঈদের কারণে মাছ কম আসায় বাড়ছে দাম।

বাজারে প্রতি কেজি তেলাপিয়া ২০০-২৩০ টাকা, চাষের পাঙাশ ২০০-২৪০ টাকা, চাষের শিং ৫৫০ টাকা, চাষের মাগুর ৬৫০ টাকা ও চাষের কৈ বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩২০ টাকায়। এছাড়া, আকারভেদে প্রতি কেজি রুই ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকা, কাতলা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, কোরাল ৭০০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, বোয়াল ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা ও আইড় ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তবে কেজিতে ২০০ টাকা পর্যন্ত কমেছে ইলিশের দাম। এ মুহূর্তে প্রতি কেজি ইলিশের দাম পড়ছে ১৫০০-১৬০০ টাকা। যদিও ৮০০-৯০০ গ্রাম ইলিশ ১৩০০-১৪০০ টাকা ও ৬০০-৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১১০০-১২০০ টাকায়।

ঝাঁজ কমেনি মসলার বাজারেও। এখনও বিক্রি হচ্ছে আগের বাড়তি দামেই। বিক্রেতাদের দাবি, ঈদের পর এখনও নতুন মসলা আসেনি। আগের বেশি দামে কেনা মসলাগুলোই এখন বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। নতুন মসলা এলে দাম কিছুটা কমতে পারে।

বাজারে দারুচিনি ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা, জিরা ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা, এলাচ প্রকারভেদে ৩২০০ থেকে ৪০০০ টাকা, সাদা গোলমরিচ ১৪০০ টাকা, কালো গোলমরিচ ৯০০ থেকে ১০০০ টাকা, লবঙ্গ ১৬০০ থেকে ১৬৫০ টাকা ও তেজপাতা ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

আর দেশি শুকনো মরিচ মানভেদে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা, ইন্ডিয়ান শুকনা মরিচ ৩৮০ থেকে ৪২০ টাকা, আলুবোখারা ৯৫০ টাকা, কাজুবাদাম ১২৫০ থেকে ১৩০০ টাকা, কাঠবাদাম ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা, হলুদ ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা, পাঁচফোড়ন ১৮০ থেকে ২০০ টাকা ও ধনিয়া ২২০ থেকে ২৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে, বাজারে আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে আদা, রসুন ও পেঁয়াজ। প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকায়। আর প্রতি কেজি দেশি রসুন ২৩০-২৪০ টাকা ও আমদানি করা রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৬০-২৮০ টাকায়। এছাড়া, মানভেদে প্রতি কেজি আদা বিক্রি হচ্ছে ২৬০-৩০০ টাকায়।

নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের দাবি ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়েরই। ক্রেতারা বলছেন, নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হয় না। এতে বিক্রেতারা ইচ্ছেমতো দাম বাড়ানোর সুযোগ পায়।

আর বিক্রেতারা বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ইচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছে। বাজারে নিয়মিত অভিযান চালালে অসাধুদের দৌরাত্ম্য কমবে।