গত অর্থ বছরে দেড় হাজার কোটি টাকার পাট রফতানি হয়েছে: ফরহাদ আহমেদ

গত অর্থ বছরে বাংলাদেশ থেকে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার পাট বিদেশে রফতানি হয়েছে বলে জানিয়েছেন কাঁচা পাট রফতানিকারকদের জাতীয় সংগঠন বাংলাদেশ জুট অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান ফরহাদ আহমেদ আকন্দ।

সরকার সহযোগিতা করলে এবং প্রতিবন্ধকতাগুলো দূর করলে আগামি অর্থ বছরে পাট রফতানির পরিমাণ আরও বাড়বে বলে আশা করছেন তিনি।

শনিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ায় সংগঠনের নিজস্ব কার্যালয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ৫৭তম বার্ষিক সাধারণ সভায় বাংলাদেশ জুট অ্যাসোসিয়েশনের (বিজেএ) চেয়ারম্যান এসব কথা জানান।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ জুট অ্যাসোসিয়েশন দেশের সবচেয়ে প্রাচীন রফতানিকারক সংগঠন। আমরা কাঁচা পাট বিদেশে রফতানি করে থাকি। যার মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রচুর পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে। অতীতে বিভিন্ন সময় সরকারের কিছু ভুল সিদ্ধান্তের কারণে আমরা পাট রফতানিকারক ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। সেই ক্ষতি মেনে নিয়ে লোকসান দিয়েই আমরা দেশের স্বার্থে পাট রফতানি অব্যাহত রেখেছি। ফলে বাংলাদেশ প্রচুর পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে।’
বাংলাদেশ জুট অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান ফরহাদ আহমেদ আকন্দ বেশ কিছু সমস্যা তুলে ধরে বলেন, ‘পাট রফতানি খাতে বাংলাদেশের এখনও উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। গত অর্থ বছরে আমরা সাড়ে ১৪শ’ কোটি টাকার ১৩ লাখ বেল পাট বিদেশে রফতানি করেছি। সরকার সহযোগিতা করলে আগামীতেও আমরা রফতানির পরিমাণ বাড়াতে চাই। তাই পাটের বীজ উৎপাদন করতে আমরা কৃষকদের নানাভাবে উদ্বুদ্ধ করছি। তবে আমাদের দেশে পাট পঁচনের সহজ কোন পদ্ধতি না থাকায় এটি এখন সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া অন্যান্য রপ্তানি খাতে সরকার ভ্যাট, ট্যাক্স কমানো সহ ভর্তুকি দিলেও আমরা পাট রফতানিকারকরা এসব সুযোগ সুবিধা কখনই পান নি। এখনও পাচ্ছি না।’

তিনি বলেন, ‘এ সমস্যাগুলোর বিষয়ে আমরা ইতিমধ্যে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে বেশ কিছু দাবি উত্থাপন করেছি এবং এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে আলোচনাও চলছে। সরকার আমাদের সমস্যাগুলো সমাধানের ব্যবস্থা করলে পাট রফতানি খাত আরও গতিশীল হবে এবং দেশের অর্থনীতির অবস্থারও উন্নতি হবে বলেও আমরা মনে করি।

বাংলাদেশ জুট এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান ফরহাদ আহমেদ আকন্দের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বার্ষিক সাধারণ সভায় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কার্য নির্বাহী পরিষদের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান গোপাল চন্দ্র তালুকদারসহ কমিটির সদস্য, সাধারণ সদস্য ও কর্মকর্তারা।

ট্যাগ:

সারাদেশে সাদপন্থীদের কার্যক্রম বন্ধ এবং বিচারের দাবীতে ওলামা মাশায়েখদের সংবাদ সম্মেলন

গত অর্থ বছরে দেড় হাজার কোটি টাকার পাট রফতানি হয়েছে: ফরহাদ আহমেদ

প্রকাশঃ 04:09:00 pm, Saturday, 30 November 2024

গত অর্থ বছরে বাংলাদেশ থেকে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার পাট বিদেশে রফতানি হয়েছে বলে জানিয়েছেন কাঁচা পাট রফতানিকারকদের জাতীয় সংগঠন বাংলাদেশ জুট অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান ফরহাদ আহমেদ আকন্দ।

সরকার সহযোগিতা করলে এবং প্রতিবন্ধকতাগুলো দূর করলে আগামি অর্থ বছরে পাট রফতানির পরিমাণ আরও বাড়বে বলে আশা করছেন তিনি।

শনিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ায় সংগঠনের নিজস্ব কার্যালয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ৫৭তম বার্ষিক সাধারণ সভায় বাংলাদেশ জুট অ্যাসোসিয়েশনের (বিজেএ) চেয়ারম্যান এসব কথা জানান।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ জুট অ্যাসোসিয়েশন দেশের সবচেয়ে প্রাচীন রফতানিকারক সংগঠন। আমরা কাঁচা পাট বিদেশে রফতানি করে থাকি। যার মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রচুর পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে। অতীতে বিভিন্ন সময় সরকারের কিছু ভুল সিদ্ধান্তের কারণে আমরা পাট রফতানিকারক ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। সেই ক্ষতি মেনে নিয়ে লোকসান দিয়েই আমরা দেশের স্বার্থে পাট রফতানি অব্যাহত রেখেছি। ফলে বাংলাদেশ প্রচুর পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে।’
বাংলাদেশ জুট অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান ফরহাদ আহমেদ আকন্দ বেশ কিছু সমস্যা তুলে ধরে বলেন, ‘পাট রফতানি খাতে বাংলাদেশের এখনও উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। গত অর্থ বছরে আমরা সাড়ে ১৪শ’ কোটি টাকার ১৩ লাখ বেল পাট বিদেশে রফতানি করেছি। সরকার সহযোগিতা করলে আগামীতেও আমরা রফতানির পরিমাণ বাড়াতে চাই। তাই পাটের বীজ উৎপাদন করতে আমরা কৃষকদের নানাভাবে উদ্বুদ্ধ করছি। তবে আমাদের দেশে পাট পঁচনের সহজ কোন পদ্ধতি না থাকায় এটি এখন সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া অন্যান্য রপ্তানি খাতে সরকার ভ্যাট, ট্যাক্স কমানো সহ ভর্তুকি দিলেও আমরা পাট রফতানিকারকরা এসব সুযোগ সুবিধা কখনই পান নি। এখনও পাচ্ছি না।’

তিনি বলেন, ‘এ সমস্যাগুলোর বিষয়ে আমরা ইতিমধ্যে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে বেশ কিছু দাবি উত্থাপন করেছি এবং এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে আলোচনাও চলছে। সরকার আমাদের সমস্যাগুলো সমাধানের ব্যবস্থা করলে পাট রফতানি খাত আরও গতিশীল হবে এবং দেশের অর্থনীতির অবস্থারও উন্নতি হবে বলেও আমরা মনে করি।

বাংলাদেশ জুট এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান ফরহাদ আহমেদ আকন্দের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বার্ষিক সাধারণ সভায় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কার্য নির্বাহী পরিষদের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান গোপাল চন্দ্র তালুকদারসহ কমিটির সদস্য, সাধারণ সদস্য ও কর্মকর্তারা।