বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ায় উত্তাল হয়ে উঠেছে কুয়াকাটার সমুদ্রসৈকত। সৈকতে থাকা পর্যটকদেরকে বারবার মাইকিং করে নিরাপদে থাকার নির্দেশ দিচ্ছেন ট্যুরিস্ট পুলিশ, নৌপুলিশ ও কোস্টগার্ড। তবে সবকিছু উপেক্ষা করে আগত পর্যটক মেতেছেন ঢেউয়ের সঙ্গে মিতালিতে।
শনিবার (২৫ মে) সকাল থেকেই উত্তাল ঢেউ উপভোগ করতে অনেক পর্যটক হইহুল্লোড় করছেন সৈকতে। তবে অনেকে নির্দেশনা মেনে বালিয়াড়িতে বসে উল্লাস করছেন।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। বাতাসের চাপ কিছুটা বেড়েছে। স্বাভাবিকের চেয়ে নদ-নদীর পানির উচ্চতা ২ থেকে ৩ ফুট বেড়েছে। এটি শনিবার সকাল ৯টায় পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৪৯০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। রোববার সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টার মধ্যে পটুয়াখালীর উপকূলের স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে আবহাওয়া অফিস।
ঢাকা থেকে আগত পর্যটক আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ‘বন্ধুদের নিয়ে গোসল করছি। উত্তাল ঢেউয়ের সঙ্গে সব বন্ধুরা মিলে অনেক আনন্দ করছি। পুলিশের বারবার মাইকিংয়ের কারণে বেশি দূরে যাচ্ছি না।’
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘ইতোমধ্যে সমুদ্রে নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ায় উত্তাল হয়ে উঠেছে সমুদ্র। তাই পর্যটকদের নিরাপদে থাকার নির্দেশ দিচ্ছি। উত্তাল ঢেউ পেয়ে অনেক পর্যটক গোসলে মেতেছেন। সেজন্য আমরা মাইকিং করছি বারবার। ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে আমাদের টিম টহলে রয়েছে।’
জেলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী বলেন, ‘গভীর নিম্নচাপটি আরও ঘনীভূত হতে পারে এবং উপকূলীয় এলাকা দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই পটুয়াখালীর পায়রা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সকল মাছধরা ট্রলারসমূহকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে অনুরোধ করা হয়েছে।’