রমজান শেষ হওয়ার কয়েকদিন পর থেকেই হুট করে বাজারে শসার দাম কমে গেছে। কয়েক দিন আগে ভালো দাম পেলেও বর্তমানে শসার দাম কমে যাওয়ায় খানসামা উপেজেলার পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে ১ থেকে দেড় টাকায়।
ন্যায্য দাম না পাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন কৃষকেরা। নামমাত্র মূল্যে শসা বিক্রি করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন খানসামা উপজেলার শসা চাষিরা।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে খানসামা উপজেলার পাকেরহাট এলাকার বাজারে গিয়ে দেখা যায়, কৃষকেরা শসা নিয়ে এসেছেন কিন্তু শসা কেনার ক্রেতা নেই। আশপাশ এলাকার ছোট ছোট ব্যবসায়ীরাই মূলত ক্রেতা। বেশিসংখ্যক ক্রেতা না থাকায় অল্প মূল্যে বিক্রি করতে মরিয়া কৃষকেরা।
মহসিন নামে একজন কৃষক জানান, ভ্যানে করে চার বস্তা শসা বাজারে এনেছেন তিনি। উৎপাদন খরচ তো পরের কথা, এখন ভ্যান ভাড়া ওঠানোই দায় হয়ে পড়েছে। তাই তিনি এক টাকা কেজি হিসাবে বিক্রি করে দিতে বাধ্য হয়েছেন।
এই অবস্থা এখানকার সকল শসা কৃষকের। তাদের অভিযোগ, ১০ থেকে ১৫ দিন আগে বাজারে শসার দাম ভালো থাকলেও গত সপ্তাহ থেকে দাম কমতে শুরু করে। রমজানের শুরুতে পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি শসা ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি করলেও কয়েক দিন ধরে প্রতি কেজি শসা এক থেকে দেড় টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে ৮ থেকে ১০ টাকা কেজি দরে। এতে লোকসান গুনতে হচ্ছে শসা চাষিদের।