খ্রিস্টান ধর্মের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব ইস্টার সানডে আজ। খ্রিস্টধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, এই দিনে মৃত্যু থেকে পুনরুত্থান হয় যিশুখ্রিস্টের। খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের জন্য দিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, সংবেদনশীল ও আনন্দের। পুণ্য শুক্রবার বা গুড ফ্রাইডেতে বিপথগামী ইহুদি শাসকগোষ্ঠী তাদের কুসংস্কারাচ্ছন্ন শাসনব্যবস্থা অক্ষুণ্ন রাখার স্বার্থে যিশুখ্রিস্টকে অন্যায়ভাবে ক্রুশবিদ্ধ করে হত্যা করেছিল।
দিনটি উপলক্ষ্যে ভোরে প্রাতঃকালীন প্রার্থনা হয় রাজধানীর মিরপুরে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ধর্মমন্ত্রীও। এমসয় শত শত মানুষের সম্মিলিত প্রার্থনায় মুখরিত হয়ে ওঠে ওয়াই এমসিএ প্রাঙ্গন।
সরেজমিন দেখা যায়, ‘মৃত্যুর বাঁধন ছিন্ন হলো; রুদ্ধ কবর খুলে গেলো; যীশু মৃত্যুঞ্জয়ী উঠিলেন আজি, জয়োল্লাসে গাহি জয় গান…’ এভাবেই গান ও প্রার্থনায় প্রভু যীশু খ্রিস্টকে স্মরণ করছেন খ্রিস্টার ধর্মাবলম্বীরা।
তবে, বড়দিনের মতো ইস্টার সানডে পালনের নির্দিষ্ট কোনো দিন নেই। ২১ মার্চের পর আকাশে প্রথম পূর্ণ চাঁদ দেখা দেয়ার পরের রোববারই পালন করা হয় ইস্টার সানডে।
সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশের খ্রিস্টান সম্প্রদায়ও এ দিনটি যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদায় উদযাপন করবে। প্রতিটি চার্চ অপরূপ সাজে সজ্জিত করা হবে। আজ সকালে দেশের সব চার্চেই বিশেষ খ্রিস্টযোগ ও প্রার্থনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
প্রার্থনা অনুষ্ঠান ছাড়াও বিভিন্ন খ্রিস্টীয় সামাজিক, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এই বিশেষ দিনটি পালনের জন্য নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। খ্রিস্টভক্তরা চার্চে গিয়ে উপস্থিত হয়ে গভীর রাত পর্যন্ত অবস্থান করবেন। তারা পরস্পরের সঙ্গে ইস্টার সানডের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।