শুক্র. সেপ্টে ২০, ২০২৪

বাংলাদেশের দেড় লাখ ভিডিও সরিয়ে নিলো ইউটিউব

সংগৃহীত ছবি

কমিউনিটি গাইডলাইন না মানায় ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে আপলোড হওয়া প্রায় দেড় লাখ ভিডিও সরিয়ে নিয়েছে ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউব।

পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয়ে ব্যবহারকারীদের করা মন্তব্যও মুছে ফেলা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ডিসমিসল্যাবের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

গুগলের ট্রান্সপারেন্সি প্রতিবেদন অনুসারে, গত বছরের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর প্রান্তিকে ইউটিউব সারা বিশ্ব থেকে ৯০ লাখের বেশি ভিডিও সরিয়ে নিয়েছে। তালিকায় থাকা মোট ৩০টি দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভিডিও অপসারণ করা হয়েছে ভারতের। তবে সংখ্যা বিবেচনায় বাংলাদেশের অবস্থান অষ্টম।

ডিসমিসল্যাবের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, যেসব কমিউনিটি গাইডলাইন লঙ্ঘনের জন্য ভিডিও সরানো হয়েছে সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছিল ক্ষতিকর বা বিপজ্জনক কনটেন্ট– যার হার ৩৯ দশমিক ২ শতাংশ। সহিংসতা ছড়ানো বা তাৎক্ষণিক ক্ষতির ঝুঁকি থাকায় কনটেন্টগুলো অপসারণ করা হয়।

এরপরই সবচেয়ে বেশি সরানো হয়েছে শিশুদের নিরাপত্তার জন্য উদ্বেগজনক হতে পারে এমন ভিডিও। এর হার ছিল ৩২ দশমিক ৪ শতাংশ। শিশুদের হয়রানি ও তাদের কেন্দ্র করে নানা অনলাইন অপব্যবহার রোধে ভিডিওগুলো সরানো হয়।

তৃতীয় যে শ্রেণির ভিডিও সরানো হয়েছে সবচেয়ে বেশি সেগুলো ছিল হিংসাত্মক বা গ্রাফিক কনটেন্ট। এর হার ছিল সাড়ে ৭ শতাংশ। মানুষের মনে আতঙ্ক বা উদ্বেগ ছড়াতে পারে এমন সংবেদনশীল দৃশ্য যেমন দাঙ্গা, রক্তপাত ইত্যাদিকে হিংসাত্মক বা গ্রাফিক কনটেন্ট হিসেবে সংজ্ঞায়িত করে ইউটিউব।

ইউটিউব ব্যক্তিমানুষ ও মেশিন লার্নিং অ্যালগরিদম তথা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এই দুইয়ের প্রয়োগ ঘটিয়ে নীতিমালা লঙ্ঘনের বিষয়গুলো যাচাই করে।

তবে মুছে ফেলা এসব ভিডিওর ৯৬ শতাংশের ক্ষেত্রেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে এআই। বাকি ৪ শতাংশ ভিডিও অপসারণে ইউটিউবের সাধারণ ব্যবহারকারী ও ‘প্রায়োরিটি ফ্ল্যাগার প্রোগ্রামের’ সদস্যদের অভিযোগ বা পরামর্শ বিবেচনা করা হয়েছে।

By admin

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *