ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেছেন, মাঠ পর্যায়ে পরিদর্শনের অনেক সুফল রয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়ন অফিস আমাদের নজরে আছে। সব জায়গায় হয়ত যাওয়া সম্ভব না। তবে আমরা যেকোন সময় যেকোন জায়গা পরিদর্শনে যেতে পারি। তোমরা প্রস্তুত থেকো।
শনিবার (২ নভেম্বর) রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জনবান্ধন ভূমিসেবা প্রদানে মাঠ প্রশাসনের ভূমিকা ও ভূমিসেবা অটোমেশনে ডেটা এন্ট্রির গুরুত্ব শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, জরিপ করতে গেলেই এখানে ভূমি রেকর্ড জনিত সমস্যা সৃষ্টি হয়। পরিবারের ভেতরে সমস্যা হয়। সেগুলো মামলা হয় এবং আদালত পর্যন্ত গড়ায়। এই বিষয়গুলো নিয়ে আমরা আলোচনার মধ্যে আছি। এগুলো বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। তারই অংশ হল এই অটোমেটিক ভূমি জরিপ।
তিনি আরও বলেন, আপনারা নিজেদের অর্জন ব্যাক্ত করেছেন। দুয়েকটি ব্যতিক্রম সমস্যা সামনে এসেছে। সেগুলো সমাধানের জন্য পথ খুঁজতে হবে। আমাদের মন্ত্রণালয়ের লোকজনও আছে এখানে। তারা পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে কাজ করছে।
এখানে মধ্যসত্ব ভোগীদের উৎপাতের কথা সামনে এসেছে। আশা করি সেটাও আমরা রোধ করতে পারবো যখন সব কাজ সম্পন্ন হবে। এসকল অস্বচ্ছতা দূর করতে হবে। আপনারা স্বচ্ছ ভাবে দায়িত্ব পালন করলে এসকল মধ্যস্বত্ব ভোগীদের দৌরাত্ম্য থাকবে না।
তিনি বলেন, আমরা অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছি এখানে দুজন সেবাপ্রার্থীর বক্তব্য শুনে। ভূমির ক্ষতিপূরণ পাওয়ায় জায়গাটা অত্যন্ত অস্বচ্ছ। হয়রানি হয়, বছরের পর বছর পার হয়ে যায়। কিন্তু তারা ক্ষতিপূরণের টাকাটা পান না। তবে এখানে দুজনের কথা শুনলাম। তারা যথাসময়ে টাকা পেয়েছেন এবং একটি টাকাও কম পাননি।