আন্দোলনে বুকের তাজা রক্তের বিনিময়ে ছাত্র-জনতার অর্জিত স্বাধীনতা প্রাথমিক বিজয়-এড.সাখাওয়াত

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে রক্তদান কর্মসূচী ও ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প এর আয়োজন করা হয়।

রবিবার (২৭ অক্টোবর) সকালে নারায়ণগঞ্জ চাষাড়া শহীদ মিনারে মহানগর যুবদলের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, আমাদের যুদ্ধ শুরু হয়েছে ২০০৯ সাল থেকে, বাংলাদেশের মানুষের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য। সেই আন্দোলনের সমাপ্তি এখনো হয় নি। যুবদলের নেতাকর্মীরা শত বাঁধা উপেক্ষা করে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বুকের তাজা রক্তের বিনিময়ে যে স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে সেটা প্রাথমিক বিজয়। দেশের জনগণ ও গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে দেশী-বিদেশী অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে। সেই ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হলে আমাদেরকে বসে থাকলে চলবেনা। মানুষের ভোটের অধিকার ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত যুবদলকে মাঠে থাকতে হবে। মাঠে থেকে সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে এগিয়ে নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সারাদেশের মানুষ জানে কারা নারায়ণগঞ্জকে সন্ত্রাসের জনপদ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলো। আজকে সেই শামীম ওসমান যাকে মানুষ বোরকা শামীম নামে জানে তারা নারায়ণগঞ্জকে লুটেপুটে, দূর্ণীতি, গুম, খুনের মাধ্যমে একটি ভয়ংকর জনপদে পরিণত করেছিলো তাদের সেই প্রশাসনের অনেক ব্যক্তিই সক্রিয় রয়েছে, তাদের দলের অনেক নেতাকর্মী সক্রিয় রয়েছে। এই বাংলার মাটিতে, নারায়ণগঞ্জের মাটিতে যেভাবে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে সেভাবেই আওয়ামী লীগ ও যুবলীগকে অবিলম্বে নিষিদ্ধ করতে হবে। তাদের বিরুদ্ধে যেসকল হত্যা মামলা হয়েছে প্রশাসনকে বলবো অবিলম্বে তাদেরকে গ্রেফতার করে শাস্তি নিশ্চিত করুন নইলে নারায়ণগঞ্জের মানুষ, গণতন্ত্র নিরাপদ হবেনা। নারায়ণগঞ্জের কোন ব্যবসা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা অন্য কোথাও ফ্যািসবাদীদের স্থান হবেনা। আর যারা তাদের পক্ষপাতিত্ব করবে, স্থান দিবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জনগণকে, যুবসমাজ, ছাত্রসমাজকে সাথে নিয়ে তাদেরকে প্রতিহত করা হবে।
প্রধান বক্তা এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাওয়ার শ্রেষ্ঠ সময় তার। যুব সমাজ প্রস্তুত থাকুন। আগামী দিনের আন্দোলন সংগ্রামে আপনারাই হবেন অগ্রগামী। বিগত দিনগুলোতে কোন অনুষ্ঠান জাঁকজমক ভাবে করতে পারেনি। জিয়া এমন সময় যুবদল গঠন করেছিলেন যখন শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ কামাল দেশের যুব সমাজকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিলো। আমাদেরকে মাদক, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গঠন করতে কাজ করতে হবে।
সদস্য সচিব শাহেদ আহমেদ এর সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন, মহানগরের নেতা ডাঃ মুজিবুর রহমান, মাকিদ মোস্তাকিম শিপলু, গোগনগর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আক্তার হোসেন, মুরাদ মিঠু, যুবদল মহানগরের যুগ্ম আহ্বায়ক সাগর প্রধান, যুবদল নেতা জাকির হোসেন সেন্টু সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

ট্যাগ:

মুন্সীগঞ্জে কম্বল ও সেলাই মেশিনে পেলো হতদরিদ্র ৫ শতাধিক পরিবার

আন্দোলনে বুকের তাজা রক্তের বিনিময়ে ছাত্র-জনতার অর্জিত স্বাধীনতা প্রাথমিক বিজয়-এড.সাখাওয়াত

প্রকাশঃ 12:08:18 pm, Sunday, 27 October 2024

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে রক্তদান কর্মসূচী ও ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প এর আয়োজন করা হয়।

রবিবার (২৭ অক্টোবর) সকালে নারায়ণগঞ্জ চাষাড়া শহীদ মিনারে মহানগর যুবদলের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, আমাদের যুদ্ধ শুরু হয়েছে ২০০৯ সাল থেকে, বাংলাদেশের মানুষের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য। সেই আন্দোলনের সমাপ্তি এখনো হয় নি। যুবদলের নেতাকর্মীরা শত বাঁধা উপেক্ষা করে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বুকের তাজা রক্তের বিনিময়ে যে স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে সেটা প্রাথমিক বিজয়। দেশের জনগণ ও গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে দেশী-বিদেশী অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে। সেই ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হলে আমাদেরকে বসে থাকলে চলবেনা। মানুষের ভোটের অধিকার ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত যুবদলকে মাঠে থাকতে হবে। মাঠে থেকে সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে এগিয়ে নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সারাদেশের মানুষ জানে কারা নারায়ণগঞ্জকে সন্ত্রাসের জনপদ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলো। আজকে সেই শামীম ওসমান যাকে মানুষ বোরকা শামীম নামে জানে তারা নারায়ণগঞ্জকে লুটেপুটে, দূর্ণীতি, গুম, খুনের মাধ্যমে একটি ভয়ংকর জনপদে পরিণত করেছিলো তাদের সেই প্রশাসনের অনেক ব্যক্তিই সক্রিয় রয়েছে, তাদের দলের অনেক নেতাকর্মী সক্রিয় রয়েছে। এই বাংলার মাটিতে, নারায়ণগঞ্জের মাটিতে যেভাবে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে সেভাবেই আওয়ামী লীগ ও যুবলীগকে অবিলম্বে নিষিদ্ধ করতে হবে। তাদের বিরুদ্ধে যেসকল হত্যা মামলা হয়েছে প্রশাসনকে বলবো অবিলম্বে তাদেরকে গ্রেফতার করে শাস্তি নিশ্চিত করুন নইলে নারায়ণগঞ্জের মানুষ, গণতন্ত্র নিরাপদ হবেনা। নারায়ণগঞ্জের কোন ব্যবসা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা অন্য কোথাও ফ্যািসবাদীদের স্থান হবেনা। আর যারা তাদের পক্ষপাতিত্ব করবে, স্থান দিবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জনগণকে, যুবসমাজ, ছাত্রসমাজকে সাথে নিয়ে তাদেরকে প্রতিহত করা হবে।
প্রধান বক্তা এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাওয়ার শ্রেষ্ঠ সময় তার। যুব সমাজ প্রস্তুত থাকুন। আগামী দিনের আন্দোলন সংগ্রামে আপনারাই হবেন অগ্রগামী। বিগত দিনগুলোতে কোন অনুষ্ঠান জাঁকজমক ভাবে করতে পারেনি। জিয়া এমন সময় যুবদল গঠন করেছিলেন যখন শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ কামাল দেশের যুব সমাজকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিলো। আমাদেরকে মাদক, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গঠন করতে কাজ করতে হবে।
সদস্য সচিব শাহেদ আহমেদ এর সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন, মহানগরের নেতা ডাঃ মুজিবুর রহমান, মাকিদ মোস্তাকিম শিপলু, গোগনগর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আক্তার হোসেন, মুরাদ মিঠু, যুবদল মহানগরের যুগ্ম আহ্বায়ক সাগর প্রধান, যুবদল নেতা জাকির হোসেন সেন্টু সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।