ভারত থেকে শিক্ষা নিয়ে হাসিনা স্বৈরাচারী শাসন কায়েম করেছে : জাকির হোসাইন

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসের শূরা সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ জেলা সেক্রেটারী মো. জাকির হোসাইন বলেছেন, অনেক আদর্শ ও চেতনার কথা বলা হয়, এই আদর্শ ও চেতনার কথা বলে সাধারণ জনগণকে একদিকে মুখ ফিরিয়ে রাখা হয়। তোমরা শেখ মুজিবের চেতনা আর আদর্শে আদর্শিত। শেখ মুজিব ক্ষমতায় এসেই সেই বাকশাল গঠন করেছিল। গণতন্ত্রের দোহাই দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল। অথচ সে এসেই সেই গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করেছিল। আবার সেই স্বৈরাশাসকের মেয়ে যিনি দীর্ঘ বছর ভারতে কাটিয়েছেন, ওখান থেকে শিক্ষা নিয়ে বাংলাদেশে এসে আবার সেই স্বৈরাচারী শাসন কায়েম করেছে, আবার সেই চেতনা ও আদর্শের কথা বলেছে। এই দেশের জনগণ তোমাদের এই আদর্শ ও চেতনা বুঝে ফেলেছে, তোমাদের এই চেতনায় জনগণ আর মুখ ফেরাবেনা।

শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সিদ্ধিরগঞ্জ পশ্চিম থানা শাখার আয়োজনে ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর আওয়ামীলীগের লগি-বৈঠার তান্ডবে পৈশাচিক হত্যাকান্ডের বিচারের দাবিতে এক প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

জাকির হোসেন আরো বলেন, আমরা ৫ আগষ্ট পুনরায় স্বাধীনতা লাভ করেছি। স্বৈরাচারী শাসককে বাংলাদেশ থেকে উৎখাত করে দিয়ে বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীনতা পেয়েছে।

২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী পল্টন ময়দানে সমাবেশ ডেকেছিলো। সেই সমাবেশে পাল্টা সমাবেশ ডেকেছিলো স্বৈরাচারী হাসিনা। সেই গুন্ডা বাহিনী লগি-বৈঠা নিয়ে সমাবেশ ঢাকার আহ্বান করেছিল। আমাদের যুবক, ছাত্র ভাইদের পিটিয়ে হত্যা করেছে। আমরা আজও পর্যন্ত তার বিচার পাই নাই। ইনশাআল্লা বাংলার জমিনে এর বিচার হবে।

আমার ছোট ভাই ফয়সাল সহ আমরা একই মিছিলে ছিলাম। ফয়সালকে ওরা হত্যা করলো, তারা এই এলাকার (সিদ্ধিরগঞ্জ) লোকজন। অথচ তারা আজও স্বাধীনভাবে ঘোরাফেরা করছে, এটা হতে দেওয়া যাবে না। সিদ্ধিরগঞ্জে ফয়সালের রক্ত ঝড়েছে, যেখানে শহীদের রক্ত ঝড়ে সেই স্থান উর্বর হয়ে যায়। সুতরাং এই নারায়ণগঞ্জ সহ সারা বাংলাদেশে আল্লাহর দ্বীন কায়েম হবে ইনশাআল্লাহ।

সিদ্ধিরগঞ্জ পশ্চিম থানার আমীর মাহবুব আলমের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানের সঞ্চালনায় উক্ত প্রতিবাদ সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা আইনজীবি সমিতির সহ-সভাপতি এড. মাইন উদ্দিন, মহানগর কর্মপরিষদের সদস্য মাওলানা সাহাবউদ্দিন, মহানগর ব্যবসায়ী ফোরামের সভাপতি আলহাজ আব্দুর রহমান, সিদ্ধিরগঞ্জ দক্ষিণ শাখার আমীর কফিল আহমেদ, উত্তর শাখার সেক্রেটারি সাইদুল হক, এনায়েত উল্লাহ আলী, মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন প্রমুখ।

ট্যাগ:

মুন্সীগঞ্জে কম্বল ও সেলাই মেশিনে পেলো হতদরিদ্র ৫ শতাধিক পরিবার

ভারত থেকে শিক্ষা নিয়ে হাসিনা স্বৈরাচারী শাসন কায়েম করেছে : জাকির হোসাইন

প্রকাশঃ 03:50:32 pm, Friday, 25 October 2024

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসের শূরা সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ জেলা সেক্রেটারী মো. জাকির হোসাইন বলেছেন, অনেক আদর্শ ও চেতনার কথা বলা হয়, এই আদর্শ ও চেতনার কথা বলে সাধারণ জনগণকে একদিকে মুখ ফিরিয়ে রাখা হয়। তোমরা শেখ মুজিবের চেতনা আর আদর্শে আদর্শিত। শেখ মুজিব ক্ষমতায় এসেই সেই বাকশাল গঠন করেছিল। গণতন্ত্রের দোহাই দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল। অথচ সে এসেই সেই গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করেছিল। আবার সেই স্বৈরাশাসকের মেয়ে যিনি দীর্ঘ বছর ভারতে কাটিয়েছেন, ওখান থেকে শিক্ষা নিয়ে বাংলাদেশে এসে আবার সেই স্বৈরাচারী শাসন কায়েম করেছে, আবার সেই চেতনা ও আদর্শের কথা বলেছে। এই দেশের জনগণ তোমাদের এই আদর্শ ও চেতনা বুঝে ফেলেছে, তোমাদের এই চেতনায় জনগণ আর মুখ ফেরাবেনা।

শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সিদ্ধিরগঞ্জ পশ্চিম থানা শাখার আয়োজনে ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর আওয়ামীলীগের লগি-বৈঠার তান্ডবে পৈশাচিক হত্যাকান্ডের বিচারের দাবিতে এক প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

জাকির হোসেন আরো বলেন, আমরা ৫ আগষ্ট পুনরায় স্বাধীনতা লাভ করেছি। স্বৈরাচারী শাসককে বাংলাদেশ থেকে উৎখাত করে দিয়ে বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীনতা পেয়েছে।

২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী পল্টন ময়দানে সমাবেশ ডেকেছিলো। সেই সমাবেশে পাল্টা সমাবেশ ডেকেছিলো স্বৈরাচারী হাসিনা। সেই গুন্ডা বাহিনী লগি-বৈঠা নিয়ে সমাবেশ ঢাকার আহ্বান করেছিল। আমাদের যুবক, ছাত্র ভাইদের পিটিয়ে হত্যা করেছে। আমরা আজও পর্যন্ত তার বিচার পাই নাই। ইনশাআল্লা বাংলার জমিনে এর বিচার হবে।

আমার ছোট ভাই ফয়সাল সহ আমরা একই মিছিলে ছিলাম। ফয়সালকে ওরা হত্যা করলো, তারা এই এলাকার (সিদ্ধিরগঞ্জ) লোকজন। অথচ তারা আজও স্বাধীনভাবে ঘোরাফেরা করছে, এটা হতে দেওয়া যাবে না। সিদ্ধিরগঞ্জে ফয়সালের রক্ত ঝড়েছে, যেখানে শহীদের রক্ত ঝড়ে সেই স্থান উর্বর হয়ে যায়। সুতরাং এই নারায়ণগঞ্জ সহ সারা বাংলাদেশে আল্লাহর দ্বীন কায়েম হবে ইনশাআল্লাহ।

সিদ্ধিরগঞ্জ পশ্চিম থানার আমীর মাহবুব আলমের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানের সঞ্চালনায় উক্ত প্রতিবাদ সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা আইনজীবি সমিতির সহ-সভাপতি এড. মাইন উদ্দিন, মহানগর কর্মপরিষদের সদস্য মাওলানা সাহাবউদ্দিন, মহানগর ব্যবসায়ী ফোরামের সভাপতি আলহাজ আব্দুর রহমান, সিদ্ধিরগঞ্জ দক্ষিণ শাখার আমীর কফিল আহমেদ, উত্তর শাখার সেক্রেটারি সাইদুল হক, এনায়েত উল্লাহ আলী, মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন প্রমুখ।