আজ শুভ বিজয়া দশমী, শারদীয় দুর্গোৎসবের শেষ দিন। এ দিন সবাইকে কাঁদিয়ে কৈলাসে স্বামীগৃহে ফিরে যাবেন দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গা। বিজয়া দশমীতে দেবী বিসর্জনের আগে সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠেন ভক্তরা। ঢাক, বাদ্য আর উলু ধ্বনির শব্দে একে অপরকে সিঁদুর পরিয়ে দেন।
রবিবার (১৩ অক্টোবর) বিকালে নারায়ণগঞ্জ শহরের রাম কৃষ্ণ মিশন আশ্রমে সিঁদুর খেলার মাধ্যমে মা দূর্গাকে বিদায় জানান।
হিন্দু ধর্মের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। কয়েক দিনব্যাপী এই পূজায় পালিত হয়েছে নানা রকমের অনুষ্ঠান।
সিঁদুর খেলা শেষে অবন্তিকা চক্রবর্তী বলেন, মা দূর্গার কাছে আশির্বাদ চাইলাম। মা দূর্গার কাছে দেশের শান্তি ও মঙ্গল কামনা করা হয়েছে। যাতে দেশের মানুষ ও আমরা ভালো থাকি। এবং বাংলাদেশ থেকে যে অমঙ্গল চলে যায়।
সিঁদুর খেলা হিন্দুদের রঙ খেলার থেকে কিছুটা ভিন্ন বৈশিষ্ট্য ধারণ করে। এর প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এই খেলা কেবল বিবাহিত নারীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ। এই বৈশিষ্ট্যের কারণ হলো সিঁদুর বিবাহিত নারীদের প্রতীক। তাই অবিবাহিত নারী ও বিধবাদের জন্য এ খেলার ক্ষেত্রে বিশেষ নিষেধ রয়েছে। বিজয়া দশমীতে মা দুর্গাকে বিদায় জানানোর দিন। এই দিনটি শেষ হয় মহাআরতির মাধ্যমে। এর মধ্য দিয়ে দুর্গাপূজার সব কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।
শীতল ভোগের আয়োজন করা হয় সেদিন, যার মধ্যে থাকে কচুশাক, পান্তা ভাত এবং ইলিশ মাছ ভাজা। এরপর, পণ্ডিত পূজা শুরু করেন।
বাঙালি হিন্দু নারীরা তাদের প্রথাগত ও ঐতিহ্যবাহী কাপড় পরে দুর্গার পায়ে সিঁদুর মাখেন। এরপর নিজেদের মুখে মাখেন। তাদের স্বামীর দীর্ঘ জীবন ও সুখ-শান্তি কামনা করেন। এভাবে পালিত হয় তাঁদের সিঁদুর খেলা। আর এই খেলা হিন্দুধর্মাম্বলীদের জন্যে প্রয়োজনীয়, কারণ তাঁদের মতে জীবনসঙ্গিনীর দীর্ঘ জীবন কামনা এই পূজার মাধ্যমে সম্পন্ন হয়।