বুধ. নভে ১৩, ২০২৪

ডিম কেনা ১৩ টাকা ডিম ভাঁজতে লাগে ১২ টাকা

নারায়ণগঞ্জের ২নং রেলগেট এলাকায় অবস্থিত বিরিয়ানির দোকানগুলোতে প্রতিদিন সকালে রুটি, পরোটা, সবজি, ঢাল, নেহারি, সুপ সহ ডিমের ভাজি, ডিম অমলেট এর প্রচলন অনেক। সকালে শরীর স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে হাটা হাটি করেন অনেকেই। হাটা হাটি শেষে বাসার জন্য অথবা নিজের ভোজনের জন্য দোকানে বসে রুটি, পরোটা, সবজি, ঢাল, নেহারি, সুপ সহ ডিমের ভাজি, ডিম অমলেট অনেকে খেয়ে থাকেন। স্বচারাচর ডিমের ভাজি, ডিম অমলেট ২০ টাকা করে বিক্রি করে দোকানিরা। ডিমের দাম খুচরা ১০ টাকা বা ১৫ টাকা হলেও তারা ২০ টাকায় সকল দোকানীরা ডিমের ভাজি, ডিম অমলেট বিক্রি করে থাকে।

এদিকে ২নং রেলগেইট এলাকার আল্লাহর দান, আজমেরী বিরিয়ানী, ফুড গার্ডেন রেস্টুরেন্ট, মনির হোটেলে সাদা কাগজে ডিম ভাজি ২৫ টাকা ও ডিমের তরকারী ৩৫ টাকা চার্ট টানিয়ে দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে পাশের হোটেল শরীফ রেস্তোরার মালিক জামাল হোসেন জানান, আমার দোকানেও চার্ট দিয়ে গিয়েছে আমি জানি না আমার নজরে পরার সাথে সাথে সে চার্ট ছিরে ফেলেছি। কারন এতো লাভ আমার দরকার নেই৷ আজ আমি ৩০টি ডিম এনেছি তার মূল্য ছিল ৪শত টাকা যা ডিমের পারপিছ ১৩.৩৩ টাকা পরেছে আমার পেয়াজ, মরিচ, তেল খরচ দিয়ে একটি ডিম ২০টাকা বিক্রি করলে ৩ টাকার উপর লাভ থাকে। তাহলে কেন অতিরিক্ত টাকা নিবো। আর পাবলিক এখন বোকা না। এ চার্ট টানানোর কারন জানতে চাইলে বলেন, এটি দোকান মালিক সমিতির সভাপতি লাগিয়েছে।

এদিকে ২৫ টাকা ডিম ভাজি খেতে আসা কাস্টমারাও মূল্য তালিকা দেখে হতভাগ। তারা বলেন এখনো সিন্ডিকেট ভাঙা হয়নি। দেশ কোথায় আছে কেউ বলতে পারেনা।

এ বিষয়ে জানতে দোকান মালিক সমিতির সভাপতি ও ১৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক এবং সাবেক নাসিক কাউন্সিলর মনির হোসেনের সাথে একাদিক বার যোগাযোগ করতে চাইলে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরী বলেন, এ বিষয়টি আমি এই প্রথম শুনলাম হতভাগ হওয়ার মত ঘটনা। এটা কখনোই সম্ভব না ১৩ টাকা কেনা ডিমে ভাজতে ১২ টাকা লাগে। আমি তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

By admin

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *