হঠাৎ মিয়ানমার সীমান্তে সশস্ত্র টহল এবং আকাশ-স্থলে যৌথ মহড়া চালানোর ঘোষণা দিয়েছে বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি চীন। সোমবার (২৬ আগস্ট) দেশটির সামরিক বাহিনী এই তথ্য জানিয়েছে। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
চীনের সামরিক বাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই টহল মূলত রুইলি, ঝেনকাং এবং অন্যান্য সীমান্তবর্তী এলাকায় পরিচালিত হবে।
মিয়ানমারের কাচিন ও শান রাজ্যে বড় ধরনের সংঘর্ষ হয়েছে। ফলে চীনের দিকে কামানের গোলা পড়ে কিছু লোক আহত ও সম্পদের ক্ষতি হয়েছে। পাশাপাশি চীনের অবকাঠামো প্রকল্পগুলোর ওপরও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। মিয়ানমারে সামরিক জান্তা ও বিদ্রোহীদের মধ্যে সংঘর্ষ বৃদ্ধি পাওয়ায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। চীনের সেনাবাহিনী পিপলস লিবারেশন আর্মির বা পিএলএ সাউদার্ন থিয়েটার আর্মি ইউনিটগুলোকে দ্রুত সরানো, বাধা প্রদান ও আক্রমণের সক্ষমতা পরীক্ষা করার জন্য এবং সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এই মহড়ার আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে।
দেশটির সেনাবাহিনীর অপর একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ২৭-২৯ আগস্ট চীন-মিয়ানমার সীমান্তের চীনা অংশে সশস্ত্র মহড়া অনুষ্ঠিত হবে। রুইলির দক্ষিণ, ঝেনকাং কাউন্টি এবং পশ্চিম ইউনান প্রদেশের জেংমা দাই ও ভা স্বায়ত্তশাসিত কাউন্টির আশপাশের এলাকাতে এই মহড়া পরিচালিত হবে। কারণ মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাত চীন-মিয়ানমার সীমান্তে স্থিতিশীলতা ও সামাজিক শৃঙ্খলার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। বেইজিং মিয়ানমারে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার জন্য নিজের প্রতিশ্রুতি বজায় রাখবে।