আসন্ন নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতি নির্বাচনে বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রধান নির্বাচন কমিশনার এড.বেনজীর আহমেদের উপর নানা অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) বার নির্বাচনের মনোনয়নপত্র ক্রয় ও জমা দেওয়ার শেষ সময় থাকলেও সকাল থেকে বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থীরা প্রধান নির্বাচন কমিশনার এড.বেনজীর আহমেদের কাছ থেকে মনোনয়ন পত্র ক্রয় ও জমা দেওয়ার কোনো সুযোগ পায়নি।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টা থেকে বেলা ২:১৫ মিনিট পর্যন্ত জেলা আইনজীবী সমিতির বার ভবনের দেখা মিলে নি প্রধান নির্বাচন কমিশনার, সহকারী নির্বাচন কমিশনার, ও নির্বাচন এর দায়িত্বে থাকা সকল সদস্যদের।
এ সময় স্বতন্ত্র থেকে সভাপতি পদপ্রার্থী এড.রেজাউল করিম খান রেজা ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী এড.শেখ মো: গোলাম হোসেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এড.বেনজীর আহমেদের উপর অভিযোগ তুলে বলেন, আগে যারা আইনজীবী সমিতির নেতৃত্বে ছিল তারা একচেটিয়াভাবে সব করেছিল। যার কারণে সব আইনজীবী তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। বর্তমানে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরাও একচেটিয়াভাবে সব করতে চাচ্ছেন। যদি আইনজীবী সমিতিতে সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে হয় তাহলে সবার সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে।
এদিকে অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত খানকে হুঁশিয়ারি দিয়ে এড.গোলাম হোসেন বলেন, অবিলম্বে সাখাওয়াত খানকে বলবো আপনি নির্বাচনের ব্যবস্থা করেন আপনার ভিতরে যদি সৎ সাহস থাকে দূরে থেকে কলকাঠি নাড়িয়ে গডফাদারের ভূমিকা পালন করছেন এটা ভালো হবে না আমরা ফরম পাইনা এটা ভালো হবে না এটা ভালো লক্ষণ না এটা গণতন্ত্র না। ছাত্র-জনতারায় এজন্য দেশ স্বাধীন করে নাই দ্বিতীয়বার এটা আপনার জন্য ভালো হবে না যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন তাদেরকে আমি বলে দিতে চাই আমার জীবন হুমকির মুখে যেকোনো সময় আমার জীবনের ক্ষতি করতে পারে সাখাওয়াত হোসেন খান। স্বৈরাচারী কায়দায় আগাইতাছে বারটাকে ধ্বংস করতে চাচ্ছে এটা ভালো লক্ষণ না।যারা স্বৈরাচারী ভাবে আগে আইছে তাদের খেসারত তারা দিয়েছে আপনিতো এর মাসুল দিবেন না দেব তো জেলা আইনজীবী সমিতি দিবে,আইনজীবী ফোরামের আইনজীবী। ইতিহাস আপনাকে কোনদিনও ক্ষমা করবে না আপনি সবাইকে যেভাবে ডমিনেট করতে চাচ্ছেন এটা নারায়নগঞ্জপাড়া আইনজীবী কোনভাবে মেনে নেবে না। স্বাধীন রাখেন আপনার জন্য ভালো হবে।