শনি. সেপ্টে ২১, ২০২৪

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি ও মিছিল

টাইমস নারায়ণগঞ্জ: ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালিয়ে হত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ তার খুনি দোসরদের বিচারের দাবিতে দু’দিনের কর্মসূচি প্রথম দিনে শহরে অবস্থান কর্মসূচি ও মিছিল করেছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি।

বুধবার ( ১৪ আগষ্ট ) বিকেল তিনটার দিকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে শ্লোগানে শ্লোগানে মিশন পাড়া হোসিয়ারি সমিতির সামনে মহানগর বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে এসে জড়ো হতে থাকে।

পরে বিকেল চারটার দিকে নারায়ণগঞ্জ শহরে মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি চাষাড়া চত্বর হয়ে বিবি সড়ক দিয়ে কালীরবাজার মোড় হয়ে দুই নং রেলগেইট হয়ে ডিআইটি দিয়ে মন্ডলপাড়া ব্রীজ হয়ে নগর ভবনের সামনে দিয়ে নিতাইগঞ্জ হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ কওে ফের চাষাঢ়ায় এসে শেষ হয়।

এসময়ে মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীরা শ্লোগান দেয় হৈ হৈ রৈ রৈ, খুনি শেখ হাসিনা গেলি কই”। “পালাইছেরে পালাইছে, শেখ হাসিনা পালাইছে”। “শেখ হাসিনার দালালেরা হুশিয়ার সাবধান ” শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে পুরো শহর।

এ সময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক এডভোকেট সাখাওয়ঢাত হোসেন খান বলেন, খুনি হাসিনা সরকার নির্বিচারে গুলি চালিয়ে এদেশের কয়েক হাজার ছাত্র জনতাকে হত্যা করেছে। সেই রক্তের দাগ এখনো শুকায়নি। এই খুনি চক্র ১৫ আগষ্ট উপলক্ষে আবারো অরাজকতার চেষ্টা করছে কিন্তু আমরা দেশের ছাত্র জনতাকে সাথে নিয়ে তাদেরকে প্রতিহত করবো। এবার কোনো বিশৃঙ্খলা করলে তাদেও স্থান হবে জেলখানায়।

তিনি আরো বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় নারায়ণগঞ্জে খুনি শামীম ওসমান, তার ছেলে অয়ন ওসমান ও ভাতিজা আজমেরী ওসমান প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে অসংখ ছাত্র জনতাকে হত্যা করেছে। বন্দওে ছাত্রদল নেতা সাজনকেও তারা গুলি কওে হত্যা করেছে। আমরা খৃুব শিঘ্রই তাদেও বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করবো। পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জের মেধাবী শিক্ষার্থী ত্বকী ও সাংবাদিক দম্পতি সাগর রুনি হত্যার সুষ্ঠ তদন্ত ও বিচার দাবি করছি।

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুর নেতৃত্বে এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুগ্ম আহ্বায়ক এড. জাকির হোসেন, এড. সরকার হুমায়ূন কবির, মনির হোসেন খান, আনোয়ার হোসেন আনু, ফতেহ রেজা রিপন, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এড. রফিক আহমেদ, ডা. মজিবুর রহমান, মাসুদ রানা, এড. এইচএম আনোয়ার প্রধান, বরকত উল্লাহ, ফারুক হোসেন, হাবিবুর রহমান মিঠু, রাশিদা জামাল, বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ, সাধারণ সম্পাদক হারুন উর রশিদ লিটন, বন্দর থানা বিএনপি’র সভাপতি শাহেন শাহ্ আহমেদ, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল, সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শাখাওয়াত ইসলাম রানা, সদস্য সচিব মমিনুর রহমান বাবু, মহানগর শ্রমিকদলের আহ্বায়ক এস এম আসলাম, সদস্য সচিব ফারুক হোসেন, বিএনপি নেতা আবুল হোসেন রিপন, শেখ সেলিম, নাজমুল হক, চঞ্চল মাহমুদ, মহিউদ্দিন শিশির, নজরুল ইসলাম সরদার, শাহাদুল্লাহ মুকুল, আল আমিন প্রধান, সাইফুল ইসলাম বাবু, হিরা সরদার, ইকবাল হোসেন, সোহেল খান বাবু, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শাহাদুল্লাহ মুকুল, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, গোগনগর বিএনপির সভাপতি আক্তার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন মিয়াজী, আলীরটেক ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আঃ রহমান, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তাঁরা মিয়া, সাধারণ সম্পাদক শাহিন আহমেদ, ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জাহিদ খন্দকার, সাধারণ সম্পাদক মহসিন মিয়া, মদনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মামুন ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক শাহেন শাহ্ মিঠু, বন্দর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রাজু আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা, মহানগর মহিলা দলের সভানেত্রী দিলারা মাসুদ ময়না, মহানগর ছাত্রদলের ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুর রহমান সাগর,সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহাজাদা আলম রতন, মহানগর ওলামা দলের সভাপতি হাফেজ মামুনসহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

By admin

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *