শোকাবহ আগষ্ট উপলক্ষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে একই ফুলের তোড়ায় শ্রদ্ধা জানিয়ে মহানগর আওয়ামী লীগ ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ। বৃহস্পতিবার (০১ আগষ্ট) বিকালে শহরের ২নং রেলগেটস্থ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে এ শ্রদ্ধা জানানো হয়।
এর আগে মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিএম আরাফাতের সভাপতিত্বে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। পরে আরাফাতের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু প্রতিকৃতিত্বে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয়। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা সাগরসহ আরও অনেকে।
একই সময় ওই ফুলের তোড়া নিয়েই বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ। এসময় উপস্থিত ছিলেন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশী জামিল হোসেন রনি ওরফে ভিপি রনি, বাবু, রাসেল, রাকিব প্রমূখ।
এদিকে এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মনে নিন্দার ঝড় বইতে দেখা গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক নেতাকর্মীরা এ ঘটনাকে নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাদের কাছে যদি ফুলেল তোড়া কিনতে টাকা না থাকে তাহলে আমাদের কাছে বলতো আমরা ব্যবস্থা করতাম। তারা আবার নেতা হতে চায়? এরা এসেছে মূলত দলকে ভাঙ্গিয়ে খেতে। দলকে ব্যবহার করে এরা লাভবান হওয়ার জন্যই মূলত আওয়ামী লীগের সাথে মিশে আছে। তাদের আসলে কোন লজ্জাশরম বলতে কিছু নাই। লজ্জা থাকলে এমন কাজ তারা কখনোই করতো না।
তারা আরও বলেন, আসলে এদের নিয়ে মন্তব্য করতেও আমাদের লজ্জা লাগে। দলের জন্য এঁরা একটি টাকাও খরচ করতে চায় না। দলের দুর্দিনে এদেরকে খোঁজেও পাওয়া যায় না। সেদিন আওয়ামী লীগ অফিসে যখন হামলা চালালো কোথায় ছিলো এরা। তখনতো দেখলাম, লেজ গুটিয়ে তাদের পালিয়ে যেতে। আবার বড় বড় কথা বলে। এরা মূলত ফটোসেশনের রাজনীতি করেন। কয়েকটা ছবি তোলে হোয়াটসঅ্যাপে কেন্দ্রে নেতাদের কাছে পাঠিয়ে দেন। আর কেন্দ্রের নেতারাও প্রায় সময় না বুঝে এসব ছবি বিশ্বাস করেন। তাই কেন্দ্রীয় নেতাদের এসব ফটোসেশনের রাজনীতি যারা করেন, তাদের বিষয়ে অধিকতর খোঁজখবর নেয়া উচিত। তাহলে কর্মীরা সঠিক নেতৃত্ব পাবে এবং দলও হবে শক্তিশালী