ভারতের উত্তর প্রদেশ পুলিশের ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট (ডিএসপি) কৃপা শংকর কানৌজিয়াকে কনস্টেবল পদে পদাবনতি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। একজন নারী কনস্টেবলের সঙ্গে হোটেলে ‘বিব্রতকর অবস্থায়’ ধরা পড়ার তিন বছর পর তাকে এই ‘শাস্তি’ দেয়া হলো।
রোববার (২৩ জুন) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে।
এর আগে উত্তর প্রদেশের উন্নাওয়ের বিঘাপুরের সার্কেল অফিসার (সিও) পদে ছিলেন কৃপা শংকর। তাকে পদাবনতি দিয়ে রাজ্যের গোরখপুরের ২৬তম প্রাদেশিক আর্মড কনস্ট্যাবুলারি (পিএসি) ব্যাটালিয়নে নিযুক্ত করা হয়েছে।
প্রতিবেদন মতে, ঘটনার সূত্রপাত ২০২১ সালের জুলাইয়ে। ওই মাসে কৃপা শংকর ছুটি নিয়েছিলেন। পরে তিনি ‘নিখোঁজ’ হন।
জানা গেছে, পারিবারিক কারণ দেখিয়ে ছুটি নিলেও বাড়ি যাননি কৃপা শংকর। তিনি গিয়েছিলেন রাজ্যের কানপুরের একটি হোটেলে। সেখানে তার সঙ্গে ছিলেন এক নারী কনস্টেবল।
হোটেলে ওঠার সময় কৃপা শংকর তার ব্যক্তিগত ও অফিশিয়াল উভয় মোবাইল নম্বরই বন্ধ রাখেন। ফলে তার হঠাৎ ‘নিখোঁজ’ হওয়ার বিষয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন স্ত্রী। তিনি তার স্বামীর খোঁজ পেতে উন্নাওয়ের এসপির সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
পরে রাজ্য পুলিশের একটি নজরদারি দল উদ্ঘাটন করে, কানপুরের ওই হোটেলটিতে পৌঁছানোর পর কৃপা শংকরের মোবাইল নেটওয়ার্ক কাজ করা বন্ধ করে দেয়। পরে পুলিশ দ্রুত ওই হোটেলটিতে যায় এবং তারা সেখানে কৃপা শংকর ও এক নারী কনস্টেবলকে একসঙ্গে দেখতে পায়।
কৃপা শংকর ও নারী কনস্টেবলের হোটেলে প্রবেশের দৃশ্য সিসিটিভি ক্যামেরায়ও ধরা পড়েছিল। পরবর্তী সময়ে তদন্তের জন্য সেই ফুটেজ গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হিসেবে কাজ করে। ঘটনার পর সরকারের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। প্রতিবেদন পর্যালোচনার পর কৃপা শংকরকে কনস্টেবল পদে পদাবনতির সুপারিশ করে সরকার।
পুলিশের এডিজি (প্রশাসন) অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে একটি আদেশ জারি করেন। ফলে রাজ্যের জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা থেকে কৃপা শংকর এখন কনস্টেবল। সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে