মুন্সীগঞ্জে এক সপ্তাহের ব্যবধানে সবজির দাম বেড়েছে প্রায় তিনগুণ। কৃষকদের দাবি, এবার ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সবজি ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে সবজির দামে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সদর উপজেলার বজ্রযোগিনী বটতলা, বজ্রযোগিনী বাজার, টঙ্গীবাড়ি বাজার ও বড়লিয়া এলাকার সবজির আড়তগুলোতে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে করলা, চিচিঙ্গা, ধুন্দুল বিক্রি হচ্ছে।
জালি কুমড়া ও লাউ প্রতি পিস ২৫ থেকে ৩০ টাকা দরে। অথচ এক সপ্তাহ আগেও করলা ১৫ টাকা কেজি, জালি কুমড়া ও লাউ ১০ থেকে ১২ টাকা পিস এবং চিচিঙ্গা, বেগুন ও ধুন্দুল ৮ থেকে ১০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছিল।
এ ব্যাপারে ধলাগাও বাজারেরৗয়াজল শিকদার বলেন, এ বছর টানা অনেক দিন খরা ছিল। আর পরে বৃষ্টিতে সব ভাসিয়ে নিয়ে গেল। এ কারণে সবজির উৎপাদন অনেক কমে গেছে। যার প্রভাব পড়ছে দামে। কৃষক আনার শেখ বলেন, ‘কয়দিন আগে বৃষ্টিতে সব লইয়া গেছে। এখন আর জমিতে সবজি নাই। বিক্রি করমু কই থেইকা।
সবজি ব্যবসায়ী শামসুল হালদার বলেন, আমি এখানের আড়ত থেকে সবজি নিয়ে ঢাকার শ্যামবাজারে বিক্রি করি। এক সপ্তাহে আগের তুলনায় সবজির দাম বেড়ে তিনগুণ হয়ে গেছে। আগে জালি কিনতাম ৮ থেকে ১০ টাকা পিস আজ কিনছি ২৫ থেকে ৩০ টাকা পিস।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, রেমালের প্রভাবে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার বজ্রযোগিনী, মহাকালী ও রামপাল ইউনিয়নের এখনো কিছু কিছু কৃষি জমি পানিতে তলিয়ে রয়েছে। তবে অধিকাংশ জমি পানি থেকে ভেসে উঠলেও জমির গাছগুলো লালচে রং ধারণ করেছে।
টঙ্গিবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জয়নুল আবেদিন বলেন, এ বছর টঙ্গিবাড়ী উপজেলায় ৮১১ হেক্টর জমিতে সবজি আবাদ করা হয়। এর মধ্যে রেমালের সময় বৃষ্টিতে ৬০০ হেক্টর সবজি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, রেমালের সময় বৃষ্টিতে অনেক সবজি ক্ষেত তলিয়ে যায়। সদর উপজেলার ৯০ হেক্টর জমির সবজি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।