টিকটকার মামুনের রিমান্ড নামঞ্জুর, কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ

 
বান্ধবী লায়লা আক্তার ফারহাদের (৪৮) করা ধর্ষণ মামলায় টিকটকার আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনের (২৫) রিমান্ড নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মামুনুর রশিদ এ আদেশ দেন।

এর আগে তাকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ক্যান্টনমেন্ট থানার এসআই মুহাম্মদ শাহাজাহান।

অপরদিকে, তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। পরে উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার রিমান্ড ও জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে সোমবার (১০ জুন) রাত পৌনে ১০টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার দাউদকান্দি টোল প্লাজা থেকে তাকে গ্রেফতার করে দাউদকান্দি থানা পুলিশ। এরপর তাকে ক্যান্টনমেন্ট থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

গত ৯ জুন মামুনের বিরুদ্ধে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি মামলা করেন লায়লা।  

মামলার অভিযোগে লায়লা উল্লেখ করেন, মামলার বিবাদী আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনের সঙ্গে তার গত তিন বছর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়। পরিচয়ের একপর্যায়ে মামুন তাকে বিয়ে করবে মর্মে প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করেন। তার ঢাকায় থাকার মতো নিজস্ব কোনো বাসা ছিল না।

তাই প্রেমের সম্পর্ক সৃষ্টি হওয়ায় এবং মামুন লায়লাকে বিয়ে করবে জানালে তাকে নিজ বাসায় থাকার অনুমতি দেন তিনি (লায়লা)।

পরে ২০২২ সালের ৭ জানুয়ারি মামুন তার মাকে সঙ্গে নিয়ে ওই বাসায় বসবাস করতে থাকেন। সেখানে লায়লার বাসায় তার সঙ্গে একই রুমে থাকতে শুরু করেন মামুন। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার শারীরিক সর্ম্পক করেন তিনি। মামুন তার বাসায় থাকাকালে তার বাবা-মা মাঝেমধ্যেই ওই বাসায় গিয়ে থাকতেন।

লায়লা মামুনকে একাধিকবার বিয়ের বিষয় বললে তিনি বিভিন্ন অজুহাতে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। সর্বশেষ চলতি বছরের ১৪ মার্চ মামুন আবার তাকে ধর্ষণ করেন। পরবর্তী সময়ে তিনি মামুনকে বিয়ের বিষয়ে বললে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং তাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন।

ট্যাগ:

বন্দরে মেধাবৃত্তি পুরস্কার বিতরণীতে বক্তারা বন্দরের শিক্ষাঙ্গনে সোহরাব মিয়া অমর হয়ে থাকবেন

টিকটকার মামুনের রিমান্ড নামঞ্জুর, কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ

প্রকাশঃ 10:40:48 am, Tuesday, 11 June 2024

 
বান্ধবী লায়লা আক্তার ফারহাদের (৪৮) করা ধর্ষণ মামলায় টিকটকার আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনের (২৫) রিমান্ড নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মামুনুর রশিদ এ আদেশ দেন।

এর আগে তাকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ক্যান্টনমেন্ট থানার এসআই মুহাম্মদ শাহাজাহান।

অপরদিকে, তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। পরে উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার রিমান্ড ও জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে সোমবার (১০ জুন) রাত পৌনে ১০টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার দাউদকান্দি টোল প্লাজা থেকে তাকে গ্রেফতার করে দাউদকান্দি থানা পুলিশ। এরপর তাকে ক্যান্টনমেন্ট থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

গত ৯ জুন মামুনের বিরুদ্ধে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি মামলা করেন লায়লা।  

মামলার অভিযোগে লায়লা উল্লেখ করেন, মামলার বিবাদী আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনের সঙ্গে তার গত তিন বছর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়। পরিচয়ের একপর্যায়ে মামুন তাকে বিয়ে করবে মর্মে প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করেন। তার ঢাকায় থাকার মতো নিজস্ব কোনো বাসা ছিল না।

তাই প্রেমের সম্পর্ক সৃষ্টি হওয়ায় এবং মামুন লায়লাকে বিয়ে করবে জানালে তাকে নিজ বাসায় থাকার অনুমতি দেন তিনি (লায়লা)।

পরে ২০২২ সালের ৭ জানুয়ারি মামুন তার মাকে সঙ্গে নিয়ে ওই বাসায় বসবাস করতে থাকেন। সেখানে লায়লার বাসায় তার সঙ্গে একই রুমে থাকতে শুরু করেন মামুন। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার শারীরিক সর্ম্পক করেন তিনি। মামুন তার বাসায় থাকাকালে তার বাবা-মা মাঝেমধ্যেই ওই বাসায় গিয়ে থাকতেন।

লায়লা মামুনকে একাধিকবার বিয়ের বিষয় বললে তিনি বিভিন্ন অজুহাতে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। সর্বশেষ চলতি বছরের ১৪ মার্চ মামুন আবার তাকে ধর্ষণ করেন। পরবর্তী সময়ে তিনি মামুনকে বিয়ের বিষয়ে বললে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং তাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন।