মোদির ভাগাভাগির সরকারে কে কী পাচ্ছে

এবারের লোকসভা নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি নরেন্দ্র মোদির দল বিজেপি। ফলে অন্যবার শরিকদের তেমন পাত্তা না দিলেও এবার তাদের বেশ গুরুত্ব দিতে হচ্ছে। সুযোগ বুঝে দরকষাকষি করতেও ছাড়ছেন না শরিক দলের নেতারা। ইতোমধ্যে নতুন মন্ত্রিপরিষদে কোন দল কত মন্ত্রণালয় পাচ্ছে, বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে সে খবর দেয়া শুরু করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।

এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, অন্ধ্রপ্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুর দল টিডিপিকে মোদির নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভায় চারটি পদ দেয়া হবে। অন্যদিকে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের দলকে দুটি পদ দেয়া হবে।

মোদির নতুন সরকারে দায়িত্ব পেতে পারেন এমন চার টিডিপি নেতার মধ্যে তিনজন হলেন- রাম মোহন নাইডু, হরিশ বালাযোগী ও দগ্গুমাল্লা প্রসাদ। অন্যদিকে মন্ত্রী হিসেবে নীতিশ কুমারের জনতা পার্টি (জেডিইউ) দুই সিনিয়র নেতা লালন সিং ও রামনাথ ঠাকুরের নাম প্রস্তাব করেছে। লালন সিং বিহারের মুঙ্গের থেকে লোকসভায় নির্বাচিত হয়েছেন। আর রামনাথ ঠাকুর রাজ্যসভার এমপি। তিনি ভারতরত্ন পুরস্কারপ্রাপ্ত কর্পুরী ঠাকুরের ছেলে।

রোববার (৯ জুন) টানা তৃতীয়বারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন মোদি। একই দিন ভারতীয় নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরাও শপথ নেবেন। তাদের এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের আগে এনডিএ জোটের এক বৈঠকে মন্ত্রণালয় ভাগাভাগির বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সূত্রের বরাতে এনডিটিভি জানিয়েছে, নতুন সরকারে চারটি মন্ত্রণালয় এবং সংসদের স্পিকার পদ দাবি করেছে টিডিপি। অন্যদিকে দুটি মন্ত্রণালয় চেয়েছে জেডিইউ। তবে দুই দলই নিজ নিজ প্রদেশের জন্য বিশেষ মর্যাদা দাবি করেছে। একই সঙ্গে রাজ্যের জন্য বরাদ্দ বাড়ানোর কথাও বলেছেন তারা।

সূত্রের বরাতে এনডিটিভির আরেক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংসদের স্পিকার পদ শরিকদের দেবে না বিজেপি। তার বদলে টিডিপিকে ডেপুটি স্পিকার পদের প্রস্তাব দেয়া হতে পারে।  এ ছাড়া নিরাপত্তা, অর্থ, স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতো চারটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে শরিকদের রাখতে আগ্রহী না বিজেপি। তাই এই চার মন্ত্রণালয় যেভাবেই হোক নিজেদের দখলে রাখবে দলটি।

এর আগে গেল মঙ্গলবার ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হয়। সেখানে দেখা যায়, বিজেপি এককভাবে ২৪০টি আসন পেয়েছে। তবে কংগ্রেসের ইন্ডিয়া জোট ২৩২ আসনে জিতেছে। এ ছাড়া বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের জেডিইউ ১২টি এবং অন্ধ্রপ্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুর তেলুগু দেশম পার্টি বা টিডিপি ১৬টি আসন পেয়েছে।

অন্য বারের মতো সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ২৭২টি আসন পায়নি মোদির বিজেপি। ফলে নির্বাচন পরবর্তী হিসাব-নিকাষে কিংমেকার হিসেবে আবির্ভূত হন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এবং অন্ধ্রপ্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু। তাই এই দুই নেতার সঙ্গে জোট গড়ে সরকারে আসতে হচ্ছে মোদিকে। অবশ্য দল দুটিই বিজেপির এনডিএ জোটের শরিক দল। শরিকদের আসনসহ নির্বাচনে মোট ২৯৩টি আসন পায় এনডিএ জোট।

ট্যাগ:

মুন্সীগঞ্জে জার্মান বিএনপির নেতা দেলোয়ার মোল্লাকে সংবর্ধনা

মোদির ভাগাভাগির সরকারে কে কী পাচ্ছে

প্রকাশঃ 04:14:41 pm, Saturday, 8 June 2024

এবারের লোকসভা নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি নরেন্দ্র মোদির দল বিজেপি। ফলে অন্যবার শরিকদের তেমন পাত্তা না দিলেও এবার তাদের বেশ গুরুত্ব দিতে হচ্ছে। সুযোগ বুঝে দরকষাকষি করতেও ছাড়ছেন না শরিক দলের নেতারা। ইতোমধ্যে নতুন মন্ত্রিপরিষদে কোন দল কত মন্ত্রণালয় পাচ্ছে, বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে সে খবর দেয়া শুরু করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।

এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, অন্ধ্রপ্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুর দল টিডিপিকে মোদির নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভায় চারটি পদ দেয়া হবে। অন্যদিকে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের দলকে দুটি পদ দেয়া হবে।

মোদির নতুন সরকারে দায়িত্ব পেতে পারেন এমন চার টিডিপি নেতার মধ্যে তিনজন হলেন- রাম মোহন নাইডু, হরিশ বালাযোগী ও দগ্গুমাল্লা প্রসাদ। অন্যদিকে মন্ত্রী হিসেবে নীতিশ কুমারের জনতা পার্টি (জেডিইউ) দুই সিনিয়র নেতা লালন সিং ও রামনাথ ঠাকুরের নাম প্রস্তাব করেছে। লালন সিং বিহারের মুঙ্গের থেকে লোকসভায় নির্বাচিত হয়েছেন। আর রামনাথ ঠাকুর রাজ্যসভার এমপি। তিনি ভারতরত্ন পুরস্কারপ্রাপ্ত কর্পুরী ঠাকুরের ছেলে।

রোববার (৯ জুন) টানা তৃতীয়বারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন মোদি। একই দিন ভারতীয় নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরাও শপথ নেবেন। তাদের এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের আগে এনডিএ জোটের এক বৈঠকে মন্ত্রণালয় ভাগাভাগির বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সূত্রের বরাতে এনডিটিভি জানিয়েছে, নতুন সরকারে চারটি মন্ত্রণালয় এবং সংসদের স্পিকার পদ দাবি করেছে টিডিপি। অন্যদিকে দুটি মন্ত্রণালয় চেয়েছে জেডিইউ। তবে দুই দলই নিজ নিজ প্রদেশের জন্য বিশেষ মর্যাদা দাবি করেছে। একই সঙ্গে রাজ্যের জন্য বরাদ্দ বাড়ানোর কথাও বলেছেন তারা।

সূত্রের বরাতে এনডিটিভির আরেক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংসদের স্পিকার পদ শরিকদের দেবে না বিজেপি। তার বদলে টিডিপিকে ডেপুটি স্পিকার পদের প্রস্তাব দেয়া হতে পারে।  এ ছাড়া নিরাপত্তা, অর্থ, স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতো চারটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে শরিকদের রাখতে আগ্রহী না বিজেপি। তাই এই চার মন্ত্রণালয় যেভাবেই হোক নিজেদের দখলে রাখবে দলটি।

এর আগে গেল মঙ্গলবার ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হয়। সেখানে দেখা যায়, বিজেপি এককভাবে ২৪০টি আসন পেয়েছে। তবে কংগ্রেসের ইন্ডিয়া জোট ২৩২ আসনে জিতেছে। এ ছাড়া বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের জেডিইউ ১২টি এবং অন্ধ্রপ্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুর তেলুগু দেশম পার্টি বা টিডিপি ১৬টি আসন পেয়েছে।

অন্য বারের মতো সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ২৭২টি আসন পায়নি মোদির বিজেপি। ফলে নির্বাচন পরবর্তী হিসাব-নিকাষে কিংমেকার হিসেবে আবির্ভূত হন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এবং অন্ধ্রপ্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু। তাই এই দুই নেতার সঙ্গে জোট গড়ে সরকারে আসতে হচ্ছে মোদিকে। অবশ্য দল দুটিই বিজেপির এনডিএ জোটের শরিক দল। শরিকদের আসনসহ নির্বাচনে মোট ২৯৩টি আসন পায় এনডিএ জোট।