শনি. সেপ্টে ২১, ২০২৪

সমুদ্রসৈকতে ভেসে আসছে বিষধর সাপ

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ভেসে এসেছে ইয়েলো বেলিড সি প্রজাতির বিষধর সামুদ্রিক সাপ। এ নিয়ে এক সপ্তাহে জোয়ারের পানিতে ৩টি সাপ ভেসে এলো। এর মধ্যে একটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে পর্যটকরা, বাকি দুটি সাপকে বালিচাপা দেয়া হয়েছে। জল ও স্থলের সর্বাধিক বিষাক্ত সাপগুলোর তালিকায় ইয়েলো বেলিড সি সাপ বিশ্বের চতুর্থ বিষধর সাপের মধ্যে একটি।

বুধবার কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে জোয়ারের পানিতে ভেসে আসে হলুদ পেটযুক্ত ইয়েলো বেলিড সি স্নেক। মে মাসের শেষের দিকে ভেসে আসে একই প্রজাতির আরও দুটি সাপ।

জানা গেছে, মাথা লম্বা-আকৃতিতে দেহ থেকে ভিন্ন। শরীরের উপরিভাগের অর্ধেক কালো, গাঢ় নীলাভ ও বাদামি রঙের। নিম্নাংশ হলুদাভ চিত্রিত। পুরোটা দেখে মনে হতে পারে রঙিলা কোনো বিশেষ বস্তু। আসলে এটি বিষাক্ত ‘ইয়েলো বেলিড’ সাপ। যাদের বসবাস প্রশান্ত মহাসগরে পানির ওপরের স্তরে। এসব সাপ সচরাচর উপকূলে দেখা মেলে না।

সম্প্রতি সেই বিরল দৃশ্য দেখা গেছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে। এক সপ্তাহের মধ্যে অন্তত ৩ ইয়েলো বেলিড সাপ কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ভেসে এসেছে। এদের মধ্যে একটি সাপ পর্যটকরা পিটিয়ে মেরে ফেলেছে, বাকি দুটি সাপকে বালিচাপা দিয়েছে বীচ কর্মীরা।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সমুদ্রবিজ্ঞানী সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর বলেন, হলুদ-পেটযুক্ত বা ইয়েলো বেলিড সাপ প্রশান্ত মহাসাগরীয় এবং ভারত মহাসাগরের গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলে ১৮-২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় বসবাস করে। এটি বিশ্বের সবচেয়ে বিস্তৃত সাপ। স্বাভাবিকভাবে আমাদের সাগরেও এটির বিস্তৃতি রয়েছে। এই সাপটি সাধারণত সৈকত থেকে দূরে সাগরের মুক্ত জলে সাঁতার কাটে। এরা সাগরের উপরের স্তরে বসবাস করে। সাগর তলে এদের দেখা পাওয়া যায় না।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়ামিন হোসেন বলেন, পর্যটকদের বিভিন্ন সতর্কতা দেওয়া হয়েছে। বিচ কর্মীরা মাইকিং করে, হোটেল ও সৈকতের প্রবেশদ্বারে ডিজিটাল ডিসপ্লেতে নানা নির্দেশনা দেওয়া হয়। যেহেতু সৈকতে বর্ষা মৌসুমে সামুদ্রিক সাপের দেখা মিলছে তাই এ ব্যাপারে নির্দেশনার পাশাপাশি মাইকিং করা হবে। এসব সাপের ব্যাপারে পর্যটকদের আরো সতর্ক করা হবে।

By admin

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *