শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৩ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে মহানগর বিএনপির বৃহত্ত অংশের উদ্যোগে মিলাদ, দোয়া ও প্রীতি ভোজের আয়োজন করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) বাদ যোহর নাসিক ২৩নং ওয়ার্ডস্থ কবিলের মোড় এলাকায় এ আয়োজন করা হয়।
মিলাদ, দোয়া ও প্রীতি ভোজের পুর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম-আহবায়ক ও বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এমন একজন ব্যক্তি ছিলেন যিনি একটি তলাবিহীন দেশের হাল ধরে ছিলেন। দেশের মানুষ এখন সব ভুলে যাচ্ছে, ২৬শে মার্চ যদি জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষনা না দিতো তাহলে দেশ আজকে স্বাধীন হতো না।
সেই সময় আওয়ামীলীগের অনেক বড় বড় নেতা ছিলো কিন্তু কেউ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার ঘোষনার দ্বায়িত্ব নেন নি। কিন্তু শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়ে বসে থাকেননি তিনি রনাঙ্গনে যুদ্ধ করেছেন। আর তা যদি না হয়ে থাকে তাহলে কেন ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয়।
১৯৭৫ সালে যখন দেশে কোন সরকার ছিলো না তখনও তিনি এদেশের মেহনতি মানুষের ভালবাসায় সিক্ত হয়ে তলাবিহিন দেশের হাল ধরে ছিলেন। শুধু তাই নয় তার বিচক্ষনতা দিয়ে আর্ন্তজাতিক পর্যায়ের নেতা হয়ে গিয়ে ছিলো। তার নেতৃত্বেই এদেশে আবারো বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়ে ছিলো। তার আর্দশে অনুপ্রাণিত হয়েই আমরা বিএনপির রাজনীতি করি।
এসময় তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান শহীদ হওয়ার পর তার সহধর্মীনী, আপোষহীন নেত্রী, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য আমাদের নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনবারের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরেও অন্যায়ের কাছে আপোষ না করায় মিথ্যা মামলায় আজ তিনি কারাগারে। বিএনপি এদেশের মেহনতি আপামর জনতার অধিকারের পক্ষের শক্তি। তাই মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য বিএনপির নেতৃত্বে রাজপথে ছিলাম, আছি এবং থাকবো।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মহানগর বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু বলেন, ১৯৭৫ সালে এদেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করা হয়েছিলো, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরন করা হয়েছিলো। সে সময় দিশেহারা জাতির পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলো শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান।
ঠিক একইভাবে শাসক গোষ্ঠির হাত থেকে নির্যাতিত জাতিকে রক্ষার জন্য ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়েছিলেন। শুধু তাই নয় ঘোষনা দিয়ে শাসক গোষ্ঠির অধিনে কর্মরত থেকেও তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে দেশকে স্বাধীন করেছিলেন। আমরা সেই আর্দশের নেতার রাজনীতি করি।
বিএনপি এমন একটি দল যারা নির্যাতিত মানুষের পক্ষে রাজপথে থেকে মিথ্যা মামলা, হামলা, গুম, খুনের মত অন্যায়ের শিকার হওয়ার পরেও জাতির অধিকার আদায়ে রাজপথে আছে এবং থাকবে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, সদর থানা বিএনপির আহবায়ক হাজ্বী ফারুক হোসেন, সদস্য সচিব আওলাদ হোসেন, যুগ্ম-আহবায়ক এড. আবুল কালাম আজাদ, রাশেদ আহম্মেদ টিটু, বন্দর থানা বিএনপির আহবায়ক হান্নান সরকার, সদস্য সচিব এড. শরীফুল ইসলাম শিপলু, যুগ্ম-আহবায়ক সুলতান আহম্মেদ, মোস্তাক আহম্মেদ, আল-মামুন, বন্দর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক এড. বিল্লাল,
কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শহীদ মেম্বার, সাংগঠনিক সম্পাদক স্বপন মাহমুদ, ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল হামিদ ভাষানী, সাধারণ সম্পাদক আমির হামজা, বন্দর থানা বিএনপি নেতা হুমায়ুন মোল্লা, ফারুক চৌধুরী, মহিবুল, রোমান চৌধুরী, আলম, জিপু সহ মহানগর বিএনপির বিভিন্ন থানা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের নেতৃবৃন্দ।