নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার চানমারী থেকে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণের দাবিতে অপহৃত তিন বছরের শিশু আব্দুর রহমানকে জামালপুর থেকে উদ্ধার করেছে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেন নারায়নগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক অঞ্চল) এস. এম জহিরুল ইসলাম। তবে অপহরণের সাথে জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
এরআগে বুধবার রাতে জামলালপুর জেলা মেলাহন্দ থানা পুলিশের সহায়তায় থানা সীমান্তের কাউটা বাইদ এলাকায় ধানক্ষেতের পাশ থেকে উদ্ধার করে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ। উদ্ধারের পর শিশুটিকে তার বাবা মায়ের নিকট হস্তান্তর করা হয়।
ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার (৭ মে) শিশুটি আপহরণ হয়। অপহরণের পর শিশুটির বাবা রবিন (২৭) বাদী হয়ে তারই সৎ মা মমতাজ বেগম (৫৬) সহ অজ্ঞাত নামা আরও ২/৩ জন কে আসামি করে বুধবার দুপুরে ফতুল্লা মডেল মামলা দায়ের করেন। মামলার সূত্র ধরেই পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় শিশুটিকে উদ্ধার করে।
অপহৃত শিশুটির বাবা রবিন জানায়, তার বাবা ছয় ৬ মাস পূর্বে মামলার এজাহারনামীয় আসামি মমতাজ বেগমকে বিয়ে করে। তার সৎ মা শিশু সন্তানটিকে আদর করতেন। সে শহরের কালিবাজরস্থ একটি মাংসের দোকানে এবং তার স্ত্রী একটি গার্মেন্টেসে কাজ করে চানমারিস্থ আয়েশা বেগমের বাড়ীতে ভাড়ায় বসবাস করতো।
তার সৎ মা একই এলাকার দুলু মিয়ার বাসায় ভাড়ায় বসবাস করে আসছিলো। তারা স্বামী স্ত্রী উভয়েই সকালে নিজ নিক কর্মস্থলে চলে গেলে শিশুটিকে বাদীর সৎ মায়ের নিকট রেখে যায়।
মঙ্গলবার সকালে তারা স্বামী স্ত্রী উভয়েই নিজ নিজ কমস্থলে চলে গেলে শিশুটিকে প্রতিদিনের ন্যায় তার সৎ মায়ের নিকট রেখে যায়। পরে বেলা ১২ টার দিকে রবিনের বাবা তার স্ত্রী আখি কে জানায়, শিশু সহ তার বাদীর সৎ মা সকাল নয়টার সময় বাসা থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি।
তখন বাদী তার সৎ মায়ের নাম্বারে ফোন করলে তা রিসিভ করছিলোনা। এক পর্যায়ে বাদীর সৎ মা বাদীকে ফোন করে ১০ লাখ টাকা দাবি করে অন্যথায় শিশুটিকে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে পাচার করে দিবে বলে জানিয়ে দেয়।
তিনি আরও জানান, ৪-৫ দিন পূর্বে তার বাবার সাথে সৎ মায়ের ঝগড়া ও মন মালিন্য হয়। ধারনা করা হয় তার বাবার উপর অভিমান করে সৎ মা শিশুটিকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক অঞ্চল) এস.এম জহিরুল ইসলাম জানান, ১০ লাখ টাকা মুক্তিপনের দাবিতে শিশুটিকে অপহরণ করলেও শিশুটিকে ভারতে পাচার করে দিতো। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।