নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৫ চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ১১ জনের প্রার্থিতা যাচাই-বাছাই শেষে বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) জেলা নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রার্থীদের উপস্থিতিতে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই সম্পন্ন হয়। এ সময় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে আরেক প্রার্থীর আনা অভিযোগ শুনানি শেষে খারিজ হয়ে যায়।
চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন- বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান এমএ রশিদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম আবু সুফিয়ান, বন্দর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আতাউর রহমান মুকুল, জাতীয় পার্টির নেতা ও মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন এবং তার ছেলে মাহমুদুল হাসান।

ভাইস চেয়ারম্যান পদের চার প্রার্থী হলেন- উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ সানু, এড: আলমগীর হোসেন, মোশাঈদ রহমান ও শাহিদুল ইসলাম জুয়েল।

নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন হলেন- মাহমুদা আক্তার ও বর্তমান নারী ভাইস চেয়ারম্যান ছালিমা হোসেন।

যাচাই-বাছাইয়ের শুরুতে রিটার্নিং কর্মকর্তা কাজী মো. ইস্তাফিজুল হক আকন্দ নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন। মনোনয়নপত্রে সাথে সংযুক্ত কাগজপত্রে কোনও রকম ত্রুটি এবং কারও কোনও অভিযোগ না থাকায় পরবর্তীতে ভাইস চেয়ারম্যান পদে চার প্রার্থীকেই একে একে বৈধ ঘোষণা করা হয়।

সবশেষ চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইকালে প্রথমেই আতাউর রহমান মুকুলের জমা দেওয়া কাগজ-পত্র যাচাই করা হয়। দাখিল করা কাগজে ত্রুটি না থাকলেও তার বিরুদ্ধে একদিন আগে জমা পরা একটি অভিযোগ নিয়ে শুনানি করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা কাজী মো. ইস্তাফিজুল হক আকন্দ। প্রায় আধাঘণ্টা শুনানি শেষে অভিযোগকারী আরেক চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহমুদুল হাসানের অভিযোগ খারিজ করে আতাউর রহমান মুকুলের প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করা হয়।

পরবর্তীতে চেয়ারম্যান প্রার্থী একেএম আবু সুফিয়ানে প্রার্থিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে অভিযোগটি খারিজ করে তাকেও বৈধ ঘোষণা করা হয়। সুফিয়ানের বিরুদ্ধেও মাহমুদুল হাসান অভিযোগ জমা দিয়েছিলেন। পরে মনোনয়নপত্রে কোন ধরণের ত্রুটি এবং কারও কোন আপত্তি না থাকায় একে একে চেয়ারম্যান প্রার্থী এমএ রশিদ, মাকসুদ হোসেন ও তাঁর ছেলের মাহমুদুল হাসানের প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করা হয়।

রিটার্নিং কর্মকর্তা কাজী মো. ইস্তাফিজুল হক আকন্দ প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আজকে প্রার্থীদের প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করলেও কারও কোন আপত্তি থাকলে আমার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ১৮ থেকে ২০ এপ্রিলের মধ্যে আপিল করা যাবে। যা নিষ্পত্তি হবে ২১ এপ্রিল।

প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ব্যাপারে তিনি বলেন, কোন প্রার্থী যদি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে চান, তাহলে তাকে সশরীরে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে এসে আবেদন জমা দিতে হবে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২২ এপ্রিল। ২৩ এপ্রিল জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করা হবে। যেহেতু একাধিক প্রার্থী একই রকম প্রতীক চেয়েছেন তাই নির্বাচনী বিধির মাধ্যমে তাদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করা হবে।

মনোনয়নপত্র যাাচাই-বাছাইকালে রিটার্নিং কর্মকর্তা কাজী মো. ইস্তাফিজুল হক আকন্দের সাথে উপস্থিত ছিলেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা রিয়াজ আহমেদ ও আফরোজা আক্তার।

আগামী ৮ মে বন্দর উপজেলা পরিষদের ভোটগ্রহণ। ৫৪টি ভোট কেন্দ্রে মোট ভোটারের সংখ্যা ১ লাখ ৩১ হাজার ৫শ ৬৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬৭ হাজার ৫শ, নারী ভোটার ৬৪ হাজার ৬২ এবং উভয় লিঙ্গের ভোটার ২ জন।

By admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *