আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেবে না বিএনপি। দলের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির ভার্চ্যুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এমনটি জানায় বিএনপি।
বিবৃতিতে বলা হয়, স্থায়ী কমিটির সভায় নির্বাচন কমিশন ঘোষিত উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচনের বিষয়ে আলোচনা হয়। সভা মনে করে, ইতোপূর্বে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন বিষয়ে দলের যে সিদ্ধান্ত, তা পরিবর্তনের কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি। সভা মনে করে, এ অবৈধ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে সুষ্ঠু ও অবাধ হতে পারে না। সুতরাং এ উপজেলা নির্বাচনে দলীয়ভাবে অংশ নেওয়ার সুযোগ নেই।
সভায় বিএনপি নেতারা বলেন, বর্তমান সরকার ও এর সাজানো নির্বাচন কমিশনের অধীনে এবং প্রশাসন ও পুলিশের প্রকাশ্য একপেশে ভূমিকার জন্য আগে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন বর্জন করেছে বিএনপি। এ সরকার ভোট, সংবিধান, ভিন্নমত প্রকাশ, বহুদলের অংশগ্রহণে নির্বাচনসহ মানুষের সহজাত অধিকারগুলোকে নির্দয় দমনের কষাঘাতে বিপর্যস্ত করেছে।
তারা বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতির একমাত্র ভিত্তি হলো মানুষকে ভয় দেখিয়ে ক্ষমতা ধরে রাখা। তাই সহিংস সন্ত্রাসের ব্যাপক বিস্তারের ফলে এ অবৈধ সরকারের অপরাজনীতি ও নির্বাচনী প্রহসনের অংশীদার না হওয়ার বিষয়ে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ বিএনপি আগামী ৮ মে থেকে শুরু হওয়া সব ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।