সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে চাঁদপুরের পাঁচটি উপজেলার অর্ধশত গ্রামে আগামীকাল বুধবার (১০ এপ্রিল) পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করা হবে। ইতোমধ্যে ঈদের জামাতের নানান প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছেন মুসল্লিরা। আজ মঙ্গলবার এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাদরা দরবার শরীফের পীরজাদা ড. বাকীবিল্লাহ মিশকাত চৌধুরী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদগরা, সমেশপুর, অলিপুর, বলাখাল, মনিহার, জাকনী, প্রতাপপুর, বাসারা; ফরিদগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মীপুর, কামতা, গল্লাক, ভুলাচোঁ, সোনাচোঁ, উভারামপুর, উটতলি, মুন্সিরহাট, কাইতাড়া, মূলপাড়া, বদরপুর, আইটপাড়া, সুরঙ্গচাইল, বালিথুবা, পাইকপাড়া, নূরপুর, সাচনমেঘ, শোল্লা, হাঁসা, গোবিন্দপুরের মুসল্লিরা সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে ঈদ পালন করবেন। এ ছাড়া মতলব উত্তর উপজেলার সাড়ে পাঁচানী, দেওয়ানকান্দি পাঁচানী, সাতানী, লতুরদী, মোহাম্মদপুর, মোহনপুর, এখলাশপুর, দশানী, নায়েরগাঁও, বেলতলীসহ শাহরাস্তি উপজেলার কয়েকটি গ্রামে এ রীতিতে ঈদ উদযাপন করবেন মুসল্লিরা।
আগামীকাল বুধবার হাজীগঞ্জের সাদরা দরবার শরীফ জামে মসজিদে সকাল ৯টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এই ঈদ জামাতে ইমামতি করবেন বর্তমান পীর মুফতি আল্লামা যাকারিয়া চৌধুরী আল মাদানী। এ ছাড়া হাজীগঞ্জের সাদরা দরবার শরীফ সংলগ্ন সাদরা হামিদিয়া ফাজিল মাদরাসা মাঠে সকাল সাড়ে ৯টায় আরেকটি ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এতে ইমামতি করবেন সাদরা দরবারের পীর মাওলানা আরিফ বিল্লাহ চৌধুরী। হাজীগঞ্জের পীরের অনুসারী হিসেবে ১৯২৮ সাল থেকে তার পরিবারের সদস্যরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করে আসছেন।
সাদরা দরবার শরীফের পীরজাদা ড. বাকীবিল্লাহ মিশকাত চৌধুরী বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার সংবাদ নিশ্চিত ভিত্তিতে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন হয়ে থাকে। হানাফী, মালেকি, হাম্বলি মাযহাবের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পৃথিবীর এক প্রান্তে চাঁদ দেখা গেলে সব প্রান্তে তার ওপর আমল করতে হয়। বুধবার পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মুসলমানরা ঈদ উদযাপন করবেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে সাদরা দরবার শরীফের সব অনুসারীরা তাদের সঙ্গে একত্রে ঈদ উদযাপন করবেন।’