হাইওয়ে পুলিশ প্রধান শাহাবুদ্দিন খান বলেন, মহাসড়কে দুর্ঘটনা কমিয়ে আনার জন্য আমরা সবসময় কাজ করে যাচ্ছি। আর ঈদে সবসময় দুর্ঘটনায় একটা শঙ্কা থাকে। এইসময় মহাসড়কে যানবাহন ও যাত্রীর চাপ বেশি থাকে। ঈদের আগের চেয়ে ঈদের পর দুর্ঘটনা বেশি ঘটে থাকে। যানবাহন চালকদের প্রতি আমার অনুরোধ থাকবে তারা যেনো ট্রাফিক নিয়মগুলো মেনে চলে। আমরা দ্রুতগতিতে যেনো চলাচল না করি। মুহূর্তের তাড়াহুড়োর কারণেই যানজট সৃষ্টি হতে পারে আবার দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে।
রোববার (৭ এপ্রিল) দুপুর সোয়া ৩ টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক পরিদর্শন শেষে নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর এলাকায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ঈদের আর মাত্র ২-৩ দিন বাকি থাকলেও এবার স্বাচ্ছন্দময় এক ঈদযাত্রা লক্ষ্য করছি। আমরা এই ধারাবাহিকতাটাই শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতে চাই। আশা করি গতবারের তুলনায় এবারের ঈদযাত্রা আরও নিরাপদ এবং স্বাচ্ছন্দ্যময় হবে। ঈদের দিন পর্যন্ত আমরা সবাই মাঠে কাজ করে যাবো।
তিনি আরও বলেন, ঈদের পর ফাঁকা সময়ে লক্ষ্য করা যায় আমাদের কিশোর ছেলেরা বেপরোয়াভাবে মোটরসাইকেল চালিয়ে থাকে। এর মাধ্যমে অনেক তরুণের কিন্তু প্রাণহানী ঘটে থাকে। যার ড্রাইভিং লাইসেন্স নাই সে যেনো কোনোভাবেই গাড়ি নিয়ে না বের হয়। মহাসড়কে আমরা সবসময় কঠোর থাকবো। যেসব মহাসড়কে যানজট সৃষ্টি হতে পারে সেখানে আমরা সিসি ক্যামেরা বসিয়েছি। সকলের সমন্বয়ে আমরা নিরাপদ ঈদযাত্রা নিশ্চিত করতে চাই।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন হাইওয়ে পুলিশের উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক মো. মাহফুজুর রহমান, হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি নাবিলা জাফরিন, কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল হক, কাঁচপুর হাইওয়ে থানার শিমরাইল ক্যাম্পের টিআই একেএম শরফুদ্দিন প্রমুখ।