আমার জামিন হয়েছে, আমার জামিন হয়েছে বলতে বলতে একজন লোক হাতে হ্যান্ডকাপ পড়া অবস্থায় কোর্ট থেকে বের হয়ে লিংক রোডে একটি ট্রাকে উঠে সাইন বোর্ডের দিকে চলে যায়। এর অনেক সময় পর কোর্ট পুলিশ সেই ব্যক্তিকে খুঁজতে ছুটাছুটি শুরু করেন এমনি তথ্য জানান নারায়ণগঞ্জ আদালত পাড়ায় উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শীরা।
বুধবার (৩ এপ্রিল) বেলা ১১টায় পালিয়ে যাওয়ার পর দুপুর ২টায় দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানা পুলিশ চেক পোস্টে তল্লাশি করার সময় হাতে হ্যান্ডকাপ দেখে তাকে আটক করে।
মায়ের দায়ের করা চুরির মামলায় খালাশের রায় শুনে আনন্দ করতে করতে হ্যান্ডকাপসহ নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়া থেকে পালিয়ে যায় রাজু ওরফে রনি (২৭) নামের এক যুবক।
দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মামুনুর রশিদ জানান, চেক পোস্টে বিভিন্ন যানবাহন তল্লাশি করছিল পুলিশ। এ সময় ট্রাকের ওপর এক ব্যক্তিকে হ্যান্ডকাপ পড়া অবস্থায় দেখে তাকে আটক করে। এসময় আটক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি জানান, নারায়ণগঞ্জ কোর্ট থেকে এসেছে। এরপর নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশকে জানানো হলে তারা এসে আটক ব্যক্তিকে হ্যান্ডকাপসহ থানা থেকে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান দাবি করেছেন, আমাদের কোর্ট পুলিশ রনিকে কোর্টের আশপাশ থেকে তাৎক্ষণিক আটক করেছে। সে মানসিক ভারসম্যহীন। এজন্য ২০২০ সালে নারায়ণগঞ্জ কোর্টে তার মা একটি চুরির মামলা দায়ের করে। সেই মামলায় নারায়ণগঞ্জ কারাগার থেকে সকালে রনিকে কোর্ট হাজতে আনা হয়। এরপর কনস্টেবল আখতার ফারুক কোর্ট হাজত থেকে তাকে আদালতে নিয়ে যায়। আদালত তাকে খালাশ প্রদান করেন। রায় শুনে সে পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়া রাজু ওরফে রনি বন্দর থানার পূর্ব কুশিয়ারা গ্রামের মোতালেব হোসেনের ছেলে।