টাইমস নারায়ণগঞ্জ:
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা মডেল থানাধীন কাশিপুর খিলমার্কেট এলাকার চিহ্নিত প্রতারক নাসির উদ্দিনকে জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে বিজ্ঞ বিচারক।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) সকাল ১১ টায় চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিজ্ঞ বিচারক কাউছার শেখ জামিন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার বাদী সুস্মিতার আইনজীবী এসএম ওয়াজেদ আলী খোকন সাংবাদিকদের বলেন, আদালতে বাদী সুস্মিতা সেন বিবাদী নাসির উদ্দিন, তার স্ত্রী নাসিমা বেগম, পুত্র মোহাম্মদ সামিকে আসামি করে একটি প্রতারণা মামলা দায়ের করেন।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেন তারা ২ কোটি ৬৭ লাখ টাকা মূল্যে একটা বহুতল ভবন প্রতারক নাসিরুদ্দিনের নিকট হতে ক্রয় করেন এবং প্রতারক নাসির উদ্দিন তার স্ত্রী নাসিমা বেগম ও ছেলে মোঃ সামি দুই কোটি টাকা গ্রহণ করে।
টাকা নেওয়ার পর হতে জমির ক্রেতা আনসারকে সাব রেজিষ্ট্রি বায়নাকৃত বিল্ডিং ও জমি বুঝিয়ে না দিয়ে তালবাহানা করতে থাকেন। এতে করে জমির মালিক আনসার এর পক্ষে সুস্মিতা বাদী হয়ে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত নারায়ণগঞ্জে সিআর মামলা নম্বর ২৮১/২৪ দায়ের করেন।
সে মামলায় আদালত আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করে। এর আগে পিবিআই মামলা তদন্ত করে টাকা নেওয়ার ঘটনা ও ডকুমেন্ট সংগ্রহ করে সত্যতা পান।
গত ১৪ ফেব্রæয়ারী বৃহস্পতিবার প্রতারক নাসির উদ্দিন বিজ্ঞ আদালতে জামিন চাইতে গেলে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
অদ্য (২০ মার্চ) বৃহস্পতিবার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে পুনরায় জামিন চাইলে বিজ্ঞ বিচারক জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আসামিকে আদালত থেকে বের করে গারদ খানায় নেওয়ার সময় উপস্থিত সাংবাদিকরা ছবি তুলতে গেলে কোর্ট পুলিশ সাংবাদিকদের বাধা দেন।
মামলার বাদী সুস্মিতা বলেন,নাসিরউদ্দিনের ৮০ বছর হয়ে গেলেও তিনি বৃদ্ধ বয়সে এসে এভাবে আমাদের সাথে প্রতারণা করবেন আমরা তা ভাবতে পারিনি।
ভেবেছি উনি দ্রæত আমাদের চুক্তি মোতাবেক ভবন ও জমি বুঝিয়ে দেবেন কিন্তু তিনি তা না করে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে আমাদের হয়রানি করতে থাকেন। আমরা বাধ্য হয়ে আদালতের শরনাপন্ন হয়েছি। অপরদিকে প্রতারক নাসির উদ্দিনের জামিন না মঞ্জুর হওয়ায় খুশি বাদী সুস্মিতা।