নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এড.সরকার হুমায়ুন কবির বলেন, ৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে নারায়ণগঞ্জ ২নং রেলগেইটে ১লা ডিসেম্বর পুলিশের গুলিতে নিহত হয় শহীদ রবিউল। আজ ৩৪ হয়ে গেছে সে আমাদের মাঝে নাই
রবিবার (১লা ডিসেম্ব) শহীদ রবিউল স্মৃতি সংসদের আয়োজনে এ স্মরনসভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, এখানে (আলী আহমেদ চুনকা পাঠাগার) পৌর পাঠাগার ছিল আমরা মহানগর বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল তখন ডিসি কোর্টে স্মারক লিপি দিতে যাব তখন সবাই এখানে ঝরো হয়েছিলাম। এ রবিউল ছোট্ট শিশুটি আমাদের সাথে ছিল। আমার শোভাগ্য সে দিন আমি রবিউলকে দেখতে পেয়েছিলম। আমরা যখন রাজপথে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন সংগ্রাম করেছিলাম। স্বৈরাচারী এরশাদ হটানোর আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নারায়ণগঞ্জে গত ৯০ এর এই দিনে রবিউল (১৪) প্রাণ হারায়। ২৭ নভেম্বর এরশাদ সারা দেশে জরুরী অবস্থা ঘোষণা করে। এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের আপামর জনতা, ছাত্র ও শ্রমিকরা প্রতিদিন বিক্ষোভ মিছিল বের করে। বিক্ষোভ মিছিলকে ছত্রভঙ্গ করার জন্যে ১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭ টায় পুলিশ শহরের ২ নং রেল গেটের কাছে মিছিলে গুলি করে। গুলিতে মিছিলের অগ্রভাগের দর্জি শ্রমিক রবিউল আহত হলে সে মারা যায়।
নিহত রবিউলের পিতা আনোয়ার দেওয়ানের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এড. সরকার হুমায়ূন কবির, কেন্দ্রীয় জাসসের সাবেক সদস্য হাজী শাহিন,জেলা জাসসের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, মহানগরের জাসসের সভাপতি স্বপন চৌধুরী, সদর থানা জাসসের সভাপতি ঝিকু খান, সাধারন সম্পাদক এড.গার্লিভ, আওলাদ হোসেন, দেলোয়ার, নুর ইসলাম, আলিফ হাবিব জর্দান,মনির সহ অন্যান্যরা।