সাব্বির হত্যা মামলায় তৃতীয় দিনের যুক্তিতর্ক শেষ, মুক্তির দাবিতে শহরে বিশাল মিছিল

টাইমস নারায়ণগঞ্জ : তৈমুর আলম খন্দকার পল্টি দিয়ে সাবেক এমপি শামীম ওসমানের সাথে এক হয়ে মিথ্যা মামলায় জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খানকে গ্রেফতার করিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন আইনজীবী রবিউল হোসেন। আলোচিত সাব্বির আলম হত্যা মামলার তৃতীয় দিনের যুক্তিতর্ক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ আদালত পাড়ায় আসামি পক্ষের আইনজীবী রবিউল হোসেন এসব কথা বলেন। এর আগে, দুপুরে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মমিনুল ইসলামের আদালতে তৃতীয় দিনের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়। এরপর জাকির খানের মুক্তির দাবিতে নগরীতে একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি নারায়ণগঞ্জ আদালত চত্তর থেকে বের হয়ে শহরের আলমাছ পয়েন্ট মার্কেট সংলগ্ন বিএনটি কার্যালয়ে এসে এক সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সমাবেশ করে জাকির থান মুক্তি পরিষদ এর নেতৃবৃন্দ।

এ দিন বাদী পক্ষ ও আসামি পক্ষ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছেন। তবে নিরাপত্তা জনিত কারণে আসামি জাকির খানকে আদালতে আনা হয়নি।এ বিষয়ে আসামি পক্ষের আইনজীবী মো. রবিউল হোসেন বলেন, সাব্বির হত্যা মামলায় দুই পক্ষের যুক্তিতর্ক সম্পন্ন হয়েছে। এখন শুধু রায় ঘোষণার অপেক্ষায় আছি। তবে এই সাব্বির হত্যা মামলায় বাদী (তৈমুর আলম খন্দকার) যেমন একজন হেভিওয়েট খেলোয়াড়, ঠিক তেমনি আসামিও (জাকির খান) একজন হেভিওয়েট ও জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ। জাকির খান জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ছিলেন। তিনি একবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এই ছাত্রনেতার উত্থানে ঈর্ষান্বিত হয়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসাপরায়ন হয়ে তৈমুর আলম খন্দকার তার ভাইয়ের হত্যার মামলা ও বিচারকে পাশ কাটিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের উদ্দেশ্যে বিরাট এক ইতিহাস লিখে আদালতে জমা দিয়েছেন। যে ইতিহাসের পরদে পরদে ছিল মিথ্যা, ভুল ও বিভ্রান্তি ছিল। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আততায়ীদের হাতে তার ভাই নিহত হয়েছে। সেখানে সন্দিহান হিসেবে সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিন, তার শ্যালক, জাকির খান ও তার গ্রুপ সহ সকল বিএনপির লোকজনদের তঠস্থ রাখার জন্য আসামি করেছেন। বিএনপির সকল নেতাকর্মীদের তার হাতে রাখার জন্য কোর্টের উপরে একটা বন্দুক রেখে শিকার করার চেষ্টা করেছে। তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ ২২ বছর আগের এই মামলায় তৈমুর ১২ বছর কিছু্ই করেনি। মামলায় চার্জশীট দেওয়ার পর তিনি নারাজি দিয়ে একটা শুনানি করেন। ৩৪ বার শুনানি না করার কারণে সেটা বাতিল হয়ে গেছে। তারপর একটা সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট হয়েছে। ২০১২ সালে এই মামলার বিচার কার্যক্রম সাক্ষী পর্যায়ে শুরু হয়েছে। তবে মামলার আসামি জাকির খান চিকিৎসাধীন থাকায় তিনি বিদেশে ছিলেন। এ কারণে এই মামলায় তিনি আসতে পারেনি। এর মধ্যে অন্য মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়, তবে গ্রেফতারও তারা করিয়েছে। ।

তৈমুর আলম খন্দকারকে পল্টিবাজ নেতা হিসেবে আখ্যা দিয়ে তিনি আরও বলেন, এই মামলার বাদী অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার রাজনৈতিক পল্টি খেলার মাধ্যমে আওয়ামী লীগের সাথে সমঝোতা করে যখন শামীম ওসমানের সাথে এক হলেন তখন সাথে সাথে জাকির খানকে গ্রেফতার করা হয়েছে মিথ্যা মামলায়। মূলত তাকে গ্রেফতার করিয়েছেন। সেই থেকে আসামি জাকির খান প্রায় ২৬ মাস ধরে জেল-হাজতে রয়েছেন। এরপর সাক্ষী ও সর্বশেষ যুক্তিতর্ক হয়েছে। তবে বাদী পক্ষ এই মামলা প্রসঙ্গে তেমন কিছু বলতে পারেনি। সকল আইনের কাগজ আমরা উপস্থাপন করতে পেরেছি। আমরা আশা করি, আমাদের আসামি অচিরেই খালাস পাবে। এর আগে, গত মঙ্গলবার ও বুধবার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা। আজ বাদী পক্ষ ও আসামি পক্ষ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছেন। প্রসঙ্গত, ২০০৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারী গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন ব্যবসায়ী নেতা সাব্বির আলম খন্দকার । এ হত্যাকান্ডের পর তৎকালীন জেলা বিএনপির সভাপতি ও বর্তমান তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব এবং নিহতের বড় ভাই তৈমুর আলম খন্দকার বাদী হয়ে সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিনকে প্রধান আসামি করে ১৭ জনের নামে ফতল্লা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর মোট ৯ জন তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিবর্তন করা হয়। পরবর্তিতে সিআইডির এএসপি মসিহউদ্দিন দশম তদন্তকারী কর্মকর্তা দীর্ঘ প্রায় ৩৪ মাস তদন্ত শেষে তিনি ২০০৬ সালের ৮ জানুয়ারী আদালতে ৮ জনকে আসামি করে চার্জশীট দাখিল করেন। এতে মামলা থেকে সাবেক এমপি গিয়াসউদ্দিন, তার শ্যালক জুয়েল, শাহীনকে অব্যাহতি দিয়ে সাবেক ছাত্রদল সভাপতি জাকির খান, তার দুই ভাই জিকু খান, মামুন খানসহ মোট ৮ জনকে আসামি উল্লেখ করা হয়। এ চার্জশিটে মামলার প্রধান আসামি গিয়াস উদ্দিনকে মামলা থেকে বাদ দেওয়ায় মামলার বাদী তৈমুর আলম খন্দকার চার্জশিটের বিরুদ্ধে ওই বছরের ২৪ জানুয়ারি আদালতে নারাজি পিটিশন দাখিল করেন। নারাজি পিটিশনে তৈমূর আলম বলেছিলেন, ‘গিয়াসউদ্দিনই সাব্বির আলম হত্যাকাণ্ডের মূল নায়ক। গিয়াসউদ্দিন ও তার সহযোগীদের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়ে তদন্ত কর্মকর্তা একটি গোঁজামিলের চার্জশিট দাখিল করেছেন। এরপর থেকে ৫ বছরের অধিক সময় ধরে নারায়ণগঞ্জ বিচারিক হাকিম আদালতে (ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট) মামলার শুনানি চলে আসছিল। গত ২০১১ সালের অক্টোবর মাসে তৈমুর আলম খন্দকার আদালতে দাখিলকৃত না রাজি পিটিশনটি আবেদন করে প্রত্যাহার করে নেন। নারাজি পিটিশন প্রত্যাহারের কারণে সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিন এখন আর মামলায় অভিযুক্ত নেই। ফলে সিআইডি ২০০৬ সালের ৮ জানুয়ারি আদালতে যে ৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছেন তার উপর ভিত্তি করেই মামলাটি পরিচালিত হচ্ছে

ট্যাগ:

সারাদেশে সাদপন্থীদের কার্যক্রম বন্ধ এবং বিচারের দাবীতে ওলামা মাশায়েখদের সংবাদ সম্মেলন

সাব্বির হত্যা মামলায় তৃতীয় দিনের যুক্তিতর্ক শেষ, মুক্তির দাবিতে শহরে বিশাল মিছিল

প্রকাশঃ 02:54:48 pm, Thursday, 28 November 2024

টাইমস নারায়ণগঞ্জ : তৈমুর আলম খন্দকার পল্টি দিয়ে সাবেক এমপি শামীম ওসমানের সাথে এক হয়ে মিথ্যা মামলায় জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খানকে গ্রেফতার করিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন আইনজীবী রবিউল হোসেন। আলোচিত সাব্বির আলম হত্যা মামলার তৃতীয় দিনের যুক্তিতর্ক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ আদালত পাড়ায় আসামি পক্ষের আইনজীবী রবিউল হোসেন এসব কথা বলেন। এর আগে, দুপুরে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মমিনুল ইসলামের আদালতে তৃতীয় দিনের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়। এরপর জাকির খানের মুক্তির দাবিতে নগরীতে একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি নারায়ণগঞ্জ আদালত চত্তর থেকে বের হয়ে শহরের আলমাছ পয়েন্ট মার্কেট সংলগ্ন বিএনটি কার্যালয়ে এসে এক সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সমাবেশ করে জাকির থান মুক্তি পরিষদ এর নেতৃবৃন্দ।

এ দিন বাদী পক্ষ ও আসামি পক্ষ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছেন। তবে নিরাপত্তা জনিত কারণে আসামি জাকির খানকে আদালতে আনা হয়নি।এ বিষয়ে আসামি পক্ষের আইনজীবী মো. রবিউল হোসেন বলেন, সাব্বির হত্যা মামলায় দুই পক্ষের যুক্তিতর্ক সম্পন্ন হয়েছে। এখন শুধু রায় ঘোষণার অপেক্ষায় আছি। তবে এই সাব্বির হত্যা মামলায় বাদী (তৈমুর আলম খন্দকার) যেমন একজন হেভিওয়েট খেলোয়াড়, ঠিক তেমনি আসামিও (জাকির খান) একজন হেভিওয়েট ও জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ। জাকির খান জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ছিলেন। তিনি একবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এই ছাত্রনেতার উত্থানে ঈর্ষান্বিত হয়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসাপরায়ন হয়ে তৈমুর আলম খন্দকার তার ভাইয়ের হত্যার মামলা ও বিচারকে পাশ কাটিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের উদ্দেশ্যে বিরাট এক ইতিহাস লিখে আদালতে জমা দিয়েছেন। যে ইতিহাসের পরদে পরদে ছিল মিথ্যা, ভুল ও বিভ্রান্তি ছিল। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আততায়ীদের হাতে তার ভাই নিহত হয়েছে। সেখানে সন্দিহান হিসেবে সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিন, তার শ্যালক, জাকির খান ও তার গ্রুপ সহ সকল বিএনপির লোকজনদের তঠস্থ রাখার জন্য আসামি করেছেন। বিএনপির সকল নেতাকর্মীদের তার হাতে রাখার জন্য কোর্টের উপরে একটা বন্দুক রেখে শিকার করার চেষ্টা করেছে। তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ ২২ বছর আগের এই মামলায় তৈমুর ১২ বছর কিছু্ই করেনি। মামলায় চার্জশীট দেওয়ার পর তিনি নারাজি দিয়ে একটা শুনানি করেন। ৩৪ বার শুনানি না করার কারণে সেটা বাতিল হয়ে গেছে। তারপর একটা সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট হয়েছে। ২০১২ সালে এই মামলার বিচার কার্যক্রম সাক্ষী পর্যায়ে শুরু হয়েছে। তবে মামলার আসামি জাকির খান চিকিৎসাধীন থাকায় তিনি বিদেশে ছিলেন। এ কারণে এই মামলায় তিনি আসতে পারেনি। এর মধ্যে অন্য মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়, তবে গ্রেফতারও তারা করিয়েছে। ।

তৈমুর আলম খন্দকারকে পল্টিবাজ নেতা হিসেবে আখ্যা দিয়ে তিনি আরও বলেন, এই মামলার বাদী অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার রাজনৈতিক পল্টি খেলার মাধ্যমে আওয়ামী লীগের সাথে সমঝোতা করে যখন শামীম ওসমানের সাথে এক হলেন তখন সাথে সাথে জাকির খানকে গ্রেফতার করা হয়েছে মিথ্যা মামলায়। মূলত তাকে গ্রেফতার করিয়েছেন। সেই থেকে আসামি জাকির খান প্রায় ২৬ মাস ধরে জেল-হাজতে রয়েছেন। এরপর সাক্ষী ও সর্বশেষ যুক্তিতর্ক হয়েছে। তবে বাদী পক্ষ এই মামলা প্রসঙ্গে তেমন কিছু বলতে পারেনি। সকল আইনের কাগজ আমরা উপস্থাপন করতে পেরেছি। আমরা আশা করি, আমাদের আসামি অচিরেই খালাস পাবে। এর আগে, গত মঙ্গলবার ও বুধবার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা। আজ বাদী পক্ষ ও আসামি পক্ষ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছেন। প্রসঙ্গত, ২০০৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারী গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন ব্যবসায়ী নেতা সাব্বির আলম খন্দকার । এ হত্যাকান্ডের পর তৎকালীন জেলা বিএনপির সভাপতি ও বর্তমান তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব এবং নিহতের বড় ভাই তৈমুর আলম খন্দকার বাদী হয়ে সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিনকে প্রধান আসামি করে ১৭ জনের নামে ফতল্লা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর মোট ৯ জন তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিবর্তন করা হয়। পরবর্তিতে সিআইডির এএসপি মসিহউদ্দিন দশম তদন্তকারী কর্মকর্তা দীর্ঘ প্রায় ৩৪ মাস তদন্ত শেষে তিনি ২০০৬ সালের ৮ জানুয়ারী আদালতে ৮ জনকে আসামি করে চার্জশীট দাখিল করেন। এতে মামলা থেকে সাবেক এমপি গিয়াসউদ্দিন, তার শ্যালক জুয়েল, শাহীনকে অব্যাহতি দিয়ে সাবেক ছাত্রদল সভাপতি জাকির খান, তার দুই ভাই জিকু খান, মামুন খানসহ মোট ৮ জনকে আসামি উল্লেখ করা হয়। এ চার্জশিটে মামলার প্রধান আসামি গিয়াস উদ্দিনকে মামলা থেকে বাদ দেওয়ায় মামলার বাদী তৈমুর আলম খন্দকার চার্জশিটের বিরুদ্ধে ওই বছরের ২৪ জানুয়ারি আদালতে নারাজি পিটিশন দাখিল করেন। নারাজি পিটিশনে তৈমূর আলম বলেছিলেন, ‘গিয়াসউদ্দিনই সাব্বির আলম হত্যাকাণ্ডের মূল নায়ক। গিয়াসউদ্দিন ও তার সহযোগীদের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়ে তদন্ত কর্মকর্তা একটি গোঁজামিলের চার্জশিট দাখিল করেছেন। এরপর থেকে ৫ বছরের অধিক সময় ধরে নারায়ণগঞ্জ বিচারিক হাকিম আদালতে (ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট) মামলার শুনানি চলে আসছিল। গত ২০১১ সালের অক্টোবর মাসে তৈমুর আলম খন্দকার আদালতে দাখিলকৃত না রাজি পিটিশনটি আবেদন করে প্রত্যাহার করে নেন। নারাজি পিটিশন প্রত্যাহারের কারণে সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিন এখন আর মামলায় অভিযুক্ত নেই। ফলে সিআইডি ২০০৬ সালের ৮ জানুয়ারি আদালতে যে ৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছেন তার উপর ভিত্তি করেই মামলাটি পরিচালিত হচ্ছে