মুন্সীগঞ্জে হামলার পর মামলা দিয়ে হয়রানি বাড়িঘরে হামলা ভাংচুর, আতঙ্কে বিএনপির নেতাকর্মীরা


মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ বিএনপির সভা থেকে ফেরার পথে হামলার পরে মামলা দিয়ে হয়রানি অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পাল্টাপাল্টি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে দুই গ্রুপ। ঘটনাটি ঘটেছে সদর উপজেলার চরাঞ্চলের আধারা ইউনিয়নের সোলারচর গ্রামে।

সেখানে গত ১০ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবসের সভা থেকে ফেরার পথে হামলার শিকার হয় বিএনপি,ছাত্রদল ও যুবদলের নেতাকর্মীরা। এঘটনায় দুই জন গুলিবিদ্ধ ও দুই জন ককটেল বিস্ফোরণর গুরুতর সহ ৬ জন আহত হয়। সে ঘটনায় জিহাদ (২২) নামের এক বিএনপি কর্মী গুরুতর আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্চা লড়ছেন।

হামলা বিচার চেয়ে থানা লিখিত অভিযোগ দায়ের করায় কাউন্টার মামলা সহ হামলার শিকার হচ্ছে আহতরা।
আহত ও স্থানীয়দের থেকে জানাগেছে, গত ১০ নভেম্বর মুন্সীগঞ্জ শহরের জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে থেকে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের সমাবেশ শেষ করে বাড়ি ফিরছিলেন আধারা ইউনিয়নের সোলারচর ও বকুলতলা গ্রামের বিএনপি যুবদল ও ছাত্রদলের কর্মী সর্মথকরাম।

এসময় পথি মধ্যে সোলারচর গ্রামের উত্তর প্রান্তে পৌছালে সাবেক সাংসদ ফয়সাল বিপ্লবের সর্মথক আহাদুলের সর্মথকের পূর্বশ্রতুতার জের ধরে বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর অর্তকিত হামলা চালিয়ে ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলি চালিয়ে ৬ জনকে গুরুতর জখম করে।

পরে হামলা কারীদের বিরুদ্ধে আসলাম কাজী বাদী নামের এক ভুক্তভোগী সদর থানার লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। সেই মামলাকে ধামাচাপা দিতে মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) গর্ভীর রাতে পাল্টা লিখিত অভিযোগ দায়ের করে হামলা কারিরা।

এঘটনায় সোলাচর ও বকুলতলা গ্রামে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ইতিমধ্যে হামলাকারিরা বুধবার রাতে বিএনপি সর্মথকদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর চালিয়ে মামলা তুলে নেয়ার ভয় দেখায়।

মামলার বাদি আসলাম কাজী জানান, সোলাচর গ্রামের উত্তর প্রান্তে আহাদুলের বাড়ি হওয়ার সুযোগে এই রোডে কেউ যাতায়াত করতে পারছিনা।

কেউ গেলেই গাড়ি থেকে নামিয়ে তল্লাশী চালিয়ে বিএনপির নেতাকর্মী দেখলে মারধর করে হোক নারী বা পুরুষ তারা কাউকে ছাড় দিচ্ছেনা।

এছাড়াও আমাদের দায়ের কৃত মামলা তুলে নিতে হুমকির পাশাপাশি বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে লুটপাট চালাচ্ছে।

সোলারচর গ্রামের জান্নাত বেগম নামের এক নারী জানান, আহাদুল এর আগে সাবেক এমপি মৃণাল কান্তি দাস এবং সর্বশেষ ফয়সার বিপ্লবের দল করে এখন আবার নব্য বিএনপি হয়ে উঠছে তাদের অত্যাচরে এখান করার বিএনপির নেতাকর্মীরা আতংকে থাকে। আমরা কেউ মুন্সীগঞ্জ শহরের যেতে পারছিনা। গেলেই গাড়ি থেকে নামি আমাদের মারধর ও লুটপাট করে।

এ ঘটনার ব্যাপারে অভিযুক্ত আহাদুলের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি খলিলুর রহমান বলেন,সোলারচর গ্রামের মারামারি ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুটি লিখত অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।

ট্যাগ:

সারাদেশে সাদপন্থীদের কার্যক্রম বন্ধ এবং বিচারের দাবীতে ওলামা মাশায়েখদের সংবাদ সম্মেলন

মুন্সীগঞ্জে হামলার পর মামলা দিয়ে হয়রানি বাড়িঘরে হামলা ভাংচুর, আতঙ্কে বিএনপির নেতাকর্মীরা

প্রকাশঃ 11:25:30 am, Thursday, 14 November 2024


মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ বিএনপির সভা থেকে ফেরার পথে হামলার পরে মামলা দিয়ে হয়রানি অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পাল্টাপাল্টি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে দুই গ্রুপ। ঘটনাটি ঘটেছে সদর উপজেলার চরাঞ্চলের আধারা ইউনিয়নের সোলারচর গ্রামে।

সেখানে গত ১০ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবসের সভা থেকে ফেরার পথে হামলার শিকার হয় বিএনপি,ছাত্রদল ও যুবদলের নেতাকর্মীরা। এঘটনায় দুই জন গুলিবিদ্ধ ও দুই জন ককটেল বিস্ফোরণর গুরুতর সহ ৬ জন আহত হয়। সে ঘটনায় জিহাদ (২২) নামের এক বিএনপি কর্মী গুরুতর আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্চা লড়ছেন।

হামলা বিচার চেয়ে থানা লিখিত অভিযোগ দায়ের করায় কাউন্টার মামলা সহ হামলার শিকার হচ্ছে আহতরা।
আহত ও স্থানীয়দের থেকে জানাগেছে, গত ১০ নভেম্বর মুন্সীগঞ্জ শহরের জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে থেকে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের সমাবেশ শেষ করে বাড়ি ফিরছিলেন আধারা ইউনিয়নের সোলারচর ও বকুলতলা গ্রামের বিএনপি যুবদল ও ছাত্রদলের কর্মী সর্মথকরাম।

এসময় পথি মধ্যে সোলারচর গ্রামের উত্তর প্রান্তে পৌছালে সাবেক সাংসদ ফয়সাল বিপ্লবের সর্মথক আহাদুলের সর্মথকের পূর্বশ্রতুতার জের ধরে বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর অর্তকিত হামলা চালিয়ে ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলি চালিয়ে ৬ জনকে গুরুতর জখম করে।

পরে হামলা কারীদের বিরুদ্ধে আসলাম কাজী বাদী নামের এক ভুক্তভোগী সদর থানার লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। সেই মামলাকে ধামাচাপা দিতে মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) গর্ভীর রাতে পাল্টা লিখিত অভিযোগ দায়ের করে হামলা কারিরা।

এঘটনায় সোলাচর ও বকুলতলা গ্রামে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ইতিমধ্যে হামলাকারিরা বুধবার রাতে বিএনপি সর্মথকদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর চালিয়ে মামলা তুলে নেয়ার ভয় দেখায়।

মামলার বাদি আসলাম কাজী জানান, সোলাচর গ্রামের উত্তর প্রান্তে আহাদুলের বাড়ি হওয়ার সুযোগে এই রোডে কেউ যাতায়াত করতে পারছিনা।

কেউ গেলেই গাড়ি থেকে নামিয়ে তল্লাশী চালিয়ে বিএনপির নেতাকর্মী দেখলে মারধর করে হোক নারী বা পুরুষ তারা কাউকে ছাড় দিচ্ছেনা।

এছাড়াও আমাদের দায়ের কৃত মামলা তুলে নিতে হুমকির পাশাপাশি বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে লুটপাট চালাচ্ছে।

সোলারচর গ্রামের জান্নাত বেগম নামের এক নারী জানান, আহাদুল এর আগে সাবেক এমপি মৃণাল কান্তি দাস এবং সর্বশেষ ফয়সার বিপ্লবের দল করে এখন আবার নব্য বিএনপি হয়ে উঠছে তাদের অত্যাচরে এখান করার বিএনপির নেতাকর্মীরা আতংকে থাকে। আমরা কেউ মুন্সীগঞ্জ শহরের যেতে পারছিনা। গেলেই গাড়ি থেকে নামি আমাদের মারধর ও লুটপাট করে।

এ ঘটনার ব্যাপারে অভিযুক্ত আহাদুলের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি খলিলুর রহমান বলেন,সোলারচর গ্রামের মারামারি ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুটি লিখত অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।