মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি:
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মুন্সিগঞ্জে নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে করা মামলার,এজাহার ভুক্ত এক আসামিকে জামিন দেয়ার প্রতিবাদে ‘জজ কোর্ট’ ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা।
এ সময় আদালত প্রাঙ্গণে আইনজীবীদের সাথে হট্টগোল সৃষ্টি হলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে,পরে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ধস্তাধস্তি হয় শিক্ষার্থীদের সাথে। এ সময় উত্তেজিত এক আইনজীবীর হামলায় আহত হয় আজিম (২৪) ও জিহাদ (২৩) নামের দুই শিক্ষার্থী।
বুধবার দুপুর ১টার দিকে মুন্সিগঞ্জের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বর থেকে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মুন্সিগঞ্জ-এর ব্যানার নিয়ে জেলার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা ও দায়রা জজ আদালত ঘেরাও করে,মামলার মূল আসামিদের জামিন দেয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় দেড় শতাধিক আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রী।
এ সময় মামলার এজাহার ভুক্ত আসামিদের জামিন না মঞ্জুর করে আইনগত কঠোর শাস্তি দাবি জানান। পাশাপাশি পলাতক বাকি আসামীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে নিহতদের পরিবারের প্রতি সুবিচার নিশ্চিত করার জোরালো তোলেন শিক্ষার্থীরা।
একই সময় শীঘ্রই দাবি আদায় না হলে আগামীতে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দেয়া হয় বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে।
উল্লেখ্য: গত ৪ আগস্ট মুন্সিগঞ্জ শহরের সুপারমার্কেট এলাকায়,বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ডিপজল ও সজল মোল্লা নিহতের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার আসামি,সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান সোহেলকে বুধবার দুপুরে জামিনের আদেশদেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক কাজী মোহাম্মদ হান্নান।
পরে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ক্ষোভে ফেটে পড়েন শিক্ষার্থীরা,এরপর তাৎক্ষণিক দেয়া হয় জজ কোর্ট ঘেরাও কর্মসূচী। পরে দুপুর তিনটার দিকে সিনিয়র আইনজীবী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আশ্বাসে আদালত চত্বরে বিক্ষোভ থেকে সরে দাঁড়ান শিক্ষার্থীরা। এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে মোতায়েন করা হয় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের।
বিষয়টি নিশ্চিত করে,কোর্ট ইন্সপেক্টর মো: জামাল জানান,পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আদালত চত্বরে অবস্থান নিয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ইশতিয়াক সম্রাট নামের এক আইনজীবির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে,জেলা আইনজীবী সমিতির সংশ্লিষ্টদের কাছে। ফলে পরবর্তী পরিস্থিতি শান্ত থাকতে ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ।