মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি:
মুন্সীগঞ্জে ধর্ষীতাকে মামলা তুলে নেয়ার হুমকি দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে করে চরম ভাবে আতঙ্কিত হয়ে পরেছে ধর্ষীতা ওই নারী। টঙ্গিবাড়ি উপজেলার নগরকান্দী গ্রামের ওই ধর্ষীতা নারীকে মানিকের বড় ভাই মুঠফোনে মামলা তুলে নেয়ার হুমকি দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে ধর্ষকদের বিরুদ্ধে । এতে করে ধর্ষণের ঘটনার বিচার না পাওয়ার আশঙ্কা করছেন ওই নারী।
জানাগেছে, সদর উপজেলার মিরকাদিম পৌরসভার কমলাঘাট এলাকার মনির হোসেনের ছেলে মানিক (১৮) সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় হয়।
সেই সুবাধে মানিকের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে মানিক ও ধর্ষীতা ওই নারী৷ পরে গত ১৪ অক্টোবর বিকাল ৩ টার দিকে সদর উপজেলার মুক্তারপুর ব্রীজে দেখা করার কথা বলে ওই নারী ডেকে আনে প্রেমিক মানিক ।
সে সময় ফেইসবুক প্রেমিক মানিক ও তার বন্ধু কমলাঘাট এলাকার মাসুম মিয়ার ছেলে রাসেল মিয়া ব্যাটারিচালিত মিশুক যোগে মিরকাদিম পৌর এলাকার জাজিরা কোল্ট স্টোরেজ পাশে নিয়ে যায়। পরে সেখানে অভিযুক্ত রাসেল ওই নারীকে নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশ্রিত জুস পান করায়।
এতে ওই নারী ও প্রেমিক মানিক মাতাল হয়ে পড়লে মানিককে কমলাঘাট বাজারে তেতুল আনতে পাঠায় ধর্ষক রাসেল। এসময় রাসেল ওই নারীর মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ ঘটনার বিচার চেয়ে গত ১৮ অক্টোবর মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় ধর্ষণের সাথে জড়িত রাসেল ও তার সহযোগী মানিককে আসামী লিখিত অভিযোগ দায়ের করে৷
সেই অভিযোগ দায়েরের পর থেকে নানা ভাবে অভিযোগ তুলে নিতে হুমকি দিয়ে আসছে অভিযুক্ত রাসেল ও মানিকের পরিবার। এতে করে চরম ভাবে আতঙ্কিত অবস্থায় রয়েছে ধর্ষীতা ওই নারী।
ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে ধর্ষীতা ওই নারী বলেন,আমার সাথে প্রেমের অভিনয় করে মুক্তারপুর ডেকে নেয় মানিক পরে তার বন্ধু রাসেল সহ দু’জন মিলে আমাকে মিরকাদিমের জাজিরা কোল্ট স্টোরেজের পাশে নিয়ে যায়। পরে সেখানে রাসেল আমাকে ও মানিককে নেশামিশ্রিত জুস পান করায়। এতে তাৎক্ষণিক আমি ও মানিক মাতাল হয়ে পরি৷ পরে মানিককে তেতুল আনতে পাঠিয়ে রাসেল আমাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এঘটনায় আমি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে অভিযুক্তরা বিভিন্ন ভাবে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিয়ে আসছে।
এব্যাপারে হাতিমারা তদন্ত কেন্দ্র সাব ইন্সপেক্টর সমর রায় জানান, ধর্ষণের ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। এছাড়াও তিনি বলেন ঘটনার সাথে জড়িত অভিযুক্তদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে। যদি ভিকটিমকে মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি দিয়ে থাকে সেটাও তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেব।