নারায়ণগঞ্জে শারদীয় দূর্গা পূজার অষ্টমীর দিনে জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে অনুষ্ঠিত হলো কুমারী পূজা।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় নারায়ণগঞ্জের রামকৃষ্ণ মিশনে কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হয়। কুমারী পূজার দেখতে এবং কুমারী দেবীর আশীর্বাদ নিতে ভীর জমায় কয়েক হাজার পূর্ণার্থী।
ঢাকঢোল ও শঙ্খ বাজিয়ে অঞ্জলি দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কুমারী দেবীকে বরণ করেন ভক্তরা। এরপর দেবীর কাছে সবাই প্রার্থনা করেন। কুমারী পূজা পরিচালনা করেন নারায়ণগঞ্জ রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের অধ্যক্ষ স্বামী একনাথানন্দ মহারাজ।
এবারের পূজায় কুমারীর আসনের বসেছেন নবাব সিরাজদৌল্লা রোডের নারায়ণগঞ্জ হাই স্কুল হাইস্কুলের শিশু শ্রেণির ছাত্রী সুকন্যা চক্রবর্তী। নগরীর বংশাল রোডের সঞ্জয় চক্রবর্তী এবং দিপাণ্বিতা চক্রবর্তীর মেয়ে সুনন্দা। তাকে দুর্গা প্রতিমার দেবীজ্ঞানে পূজা করা হয়।
হিন্দু ধর্ম মতে, কুমারী হচ্ছে শুদ্ধতার প্রতীক। দেবী দুর্গার আরেক নাম কুমারী। এ পূজার মাধ্যমে স্বয়ং মা দুর্গা মানুষের ভেতরে বিকশিত হন। এ কুমারী পূজার জন্য সৎ বংশজাত গোলককন্যা একজন বালিকাকে নির্বাচিত করা হয়।
কুমারী পূজা সম্পর্কে সাধু নাগমহাশয় মন্দিরের সাধারন সম্পাদক তারাপদ আচার্য বলেন, স্বামী বিবেকানন্দ শারদীয় দুর্গোৎসবে এ কুমারী পূজার প্রচলন শুরু করেন। দেবীকে জাগতিকভাবে পূজা করতে শত বছর ধরে এ কুমারী পূজা পালন করা হচ্ছে। সনাতন ধর্মের নিয়ম অনুসারে দেবীকে শিশুরূপে মায়ের আসনে পূজা করা হয়। অনেক বছর যাবত ধরেই রামকৃষ্ণ মিশনে সাত থেকে আট বছর বয়সীদেরই কুমারী পূজায় বসানো হয়। কারণ বয়স বেশি যাদের তাদেরকে পূজায় বসানো হলে তারা মনে করে তাদেরকে পূজা করছে সবাই। তা এটা কখনো হয় না। তাই বহু বছর ধরেই রামকৃষ্ণ মিশনে ৭ থেকে ৮ বছর বয়সীদের এই এখানে কুমারীর আসনে বসানো হয়।