নারায়ণগঞ্জে তথাকথিত গডফাদার সহ অনেকেই কিন্তু তৎপরতা চালিয়েছে- আইজিপি

পূজা মন্ডপ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বক্তব্য দিচ্ছেন বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল ময়নুল ইসলাম।



বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম বলেছেন, আমরা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও মুসলমান এবং অন্যান্য ধর্মের যারা রয়েছি সকলে মিলে যে সম্প্রীতির বাংলাদেশ রয়েছি সেই সম্প্রীতির বাংলাদেশের একটা প্রমাণ হলো শারদীয় দুর্গাপূজা।

সারা বাংলাদেশে ৩২ হাজারের অধিক পূজা মন্ডপ রয়েছে। অন্তত উৎসব ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে এবং নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে পূজা উদযাপন হচ্ছে। সকল ধরনের মানুষই তাদের নিজ নিজ ধর্ম পালন করা তাদের সংবিধানিক অধিকার রয়েছে।

বাংলাদেশ পুলিশসহ সকল ধর্মের মানুষ আমরা নিশ্চিত করছি যাতে সবাই তাদের স্ব স্ব ধর্ম পালন করতে পারে। অনেকের মনেই শংকা ছিল, আমরা সেই শংকাকে দূর করেছি।

পূজা নিয়ে কোন ধরনের অপতৎপরতা ও বিশৃঙ্খলা আমরা সহ্য করব না। আপনারা দেখেছেন ইতিপূর্বে ছোট ছোট গুটি কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে সেই ঘটনার পরিপেক্ষিতে আমরা কিন্তু তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছি।

আসামি গ্রেপ্তার থেকে মামলা অজু সকল ধরনের আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পুলিশ ছাড়াও র‌্যাব, বিজেপি, কোস্টগার্ড ও সশস্ত্র বাহিনীসহ সকল বাহিনী মোতায়েন রয়েছে যাতে করে কোন প্রকার বিশৃঙ্খলা হতে না পারে।

আর যারা অপতৎপরতা চালাতে চায় তারা কিন্তু সব সময় আমাদের পাশে থেকে পরীক্ষা করে যে কোন গ্যাপ আছে কিনা। তারা যাতে সেই সুযোগ আর না পায় তার জন্য আমরা যথেষ্ট সজাগ রয়েছি। আপনারাও সজাগ থাকবেন।

আমাদের তাৎক্ষনিক ব্যবস্থার চ্যানেল আছে ৯৯৯, পুলিশ কন্ট্রোল রুম, রেঞ্জ পুলিশের কন্ট্রোল রুম থানা ও জেলা পর্যায়ে রয়েছে। আমাদের এন্টি এমসি তৎপর আছেন। আশা করছি কোথাও কিছু ঘটবে না। যদি কেউ অপ্রীতিকর পরিস্থিতি ঘটাতে চায় তাদের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ ব্যবস্থা নেব।

বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাতটার দিকে নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাড়াস্থ রামকৃষ্ণ মিশন পূজা মন্ডপ ও নিতাইগঞ্জ শ্রী শ্রী বলদেব জিউর আখড়া সার্বজনীন পূজা মন্ডপ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথাগুলো বলেন।

আইজিপি বলেন, এ নারায়ণগঞ্জে তথাকথিত গডফাদারসহ অনেকেই কিন্তু তৎপরতা চালিয়েছে সন্ত্রাসের জনপদ করার জন্য। আমরা সেই গডফাদারদেরকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যারা সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করবে এবং সন্ত্রাসীদেরকে লালন-পালন করবে, চাঁদাবাজি টেন্ডারবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত হবেন তারা যেন এ পথে পা না বাড়ায়। কারণ আমরা ইতিমধ্যে দেখেছি সেই সন্ত্রাসী কি আছে। তারা কি কেউ এখানে আছে কেউ নাই। এই নারায়ণগঞ্জে বিগত সময়ে যারা সন্ত্রাসী করেছে এবং তাদের শেল্টার দাতা গডফাদাররা আজ নারায়ণগঞ্জে নেই।

আপনারা জানেন এ নারায়ণগঞ্জে একটি বড় দুর্ঘটনা লৌহ মানব হত্যার কাহিনী ত্বকি হত্যা। এই ত্বকি হত্যার কার্যক্রম দীর্ঘদিন চেষ্টা করা হয়েছে বন্ধ রাখার। তারা তদন্ত কার্যক্রমকে এগাতে দেয়নি। আমরা সেই তদন্ত পুনরায় চালু করেছি সেই তদন্ত চলছে। আপনাদের সহকর্মী আমাদের প্রিয় সাংবাদিক সাগর-রুমির সেই হত্যার কার্যক্রম কিন্তু আআবারো চালু হয়েছে। মামলা পূর্ণ তদন্ত চলছে।

আমরা চাই যেখানে যে ঘটনা ঘটে সেটাকে প্রতিহত করা তারপরও যেটা ঘটে যায় সেটা যেনো দ্রুত তদন্ত করতে পারি। যারা আসামি এই ঘটনা ঘটাবে তাদেরকে যেন দ্রুত আইনের আওতায় আনতে পারি।

তিনি আরও বলেন, আপনারা জানেন ডিজিটাল মাধ্যম গুলোতে যেমন ভালো কিছু আছে তেমনি অনেকেই আবার সাইবারের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের অপৎপরতা চালাচ্ছে। সাইবারের মাধ্যমে অপৎপরতা ও বিভিন্ন ঘটনাকে অতিরঞ্জিত করে চলছে। তার জন্য কিন্তু আমাদের সাবধানতা হওয়ার দরকার আছে। এব্যাপারে আমরা শক্ত অবস্থানে আছি। রিয়াল ওয়ার্ল্ড ও সাইবার ওয়ার্ল্ড যেখানেই ঘটনা ঘটছে, সব জায়গায় আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি একেএম আওলাদ হোসেন, অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ জাহিদুল হাসান, র‌্যাব-১১’র সিইও তানভীর মাহমুদ পাশা, নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার, নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. তরিকুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, জেলা কমিউনিটি পুলিশিং এর সভাপতি সভাপতি প্রবীর সাহা, চাষাঢ়া রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের অধ্যক্ষ স্বামী একনাথানন্দ, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক শংকর কুমার দে, সাধারণ সম্পাদক শিখণ সরকার শিপন, দেওভোগ নাগমহাশয় মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক তারাপদ আচার্য্য, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বিষ্ণুপদ সাহা, সাধারণ সম্পাদক সুশীল দাস, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের ভাইস চেয়ারম্যান জয় কে রায় চৌধুরী বাপ্পীসহ প্রশাসনের কর্মকর্তা ও পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ।

ট্যাগ:

খেলাধুলার এ চর্চা ধরে রাখতে হবে – রানা

নারায়ণগঞ্জে তথাকথিত গডফাদার সহ অনেকেই কিন্তু তৎপরতা চালিয়েছে- আইজিপি

প্রকাশঃ 06:25:04 pm, Thursday, 10 October 2024



বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম বলেছেন, আমরা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও মুসলমান এবং অন্যান্য ধর্মের যারা রয়েছি সকলে মিলে যে সম্প্রীতির বাংলাদেশ রয়েছি সেই সম্প্রীতির বাংলাদেশের একটা প্রমাণ হলো শারদীয় দুর্গাপূজা।

সারা বাংলাদেশে ৩২ হাজারের অধিক পূজা মন্ডপ রয়েছে। অন্তত উৎসব ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে এবং নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে পূজা উদযাপন হচ্ছে। সকল ধরনের মানুষই তাদের নিজ নিজ ধর্ম পালন করা তাদের সংবিধানিক অধিকার রয়েছে।

বাংলাদেশ পুলিশসহ সকল ধর্মের মানুষ আমরা নিশ্চিত করছি যাতে সবাই তাদের স্ব স্ব ধর্ম পালন করতে পারে। অনেকের মনেই শংকা ছিল, আমরা সেই শংকাকে দূর করেছি।

পূজা নিয়ে কোন ধরনের অপতৎপরতা ও বিশৃঙ্খলা আমরা সহ্য করব না। আপনারা দেখেছেন ইতিপূর্বে ছোট ছোট গুটি কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে সেই ঘটনার পরিপেক্ষিতে আমরা কিন্তু তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছি।

আসামি গ্রেপ্তার থেকে মামলা অজু সকল ধরনের আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পুলিশ ছাড়াও র‌্যাব, বিজেপি, কোস্টগার্ড ও সশস্ত্র বাহিনীসহ সকল বাহিনী মোতায়েন রয়েছে যাতে করে কোন প্রকার বিশৃঙ্খলা হতে না পারে।

আর যারা অপতৎপরতা চালাতে চায় তারা কিন্তু সব সময় আমাদের পাশে থেকে পরীক্ষা করে যে কোন গ্যাপ আছে কিনা। তারা যাতে সেই সুযোগ আর না পায় তার জন্য আমরা যথেষ্ট সজাগ রয়েছি। আপনারাও সজাগ থাকবেন।

আমাদের তাৎক্ষনিক ব্যবস্থার চ্যানেল আছে ৯৯৯, পুলিশ কন্ট্রোল রুম, রেঞ্জ পুলিশের কন্ট্রোল রুম থানা ও জেলা পর্যায়ে রয়েছে। আমাদের এন্টি এমসি তৎপর আছেন। আশা করছি কোথাও কিছু ঘটবে না। যদি কেউ অপ্রীতিকর পরিস্থিতি ঘটাতে চায় তাদের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ ব্যবস্থা নেব।

বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাতটার দিকে নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাড়াস্থ রামকৃষ্ণ মিশন পূজা মন্ডপ ও নিতাইগঞ্জ শ্রী শ্রী বলদেব জিউর আখড়া সার্বজনীন পূজা মন্ডপ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথাগুলো বলেন।

আইজিপি বলেন, এ নারায়ণগঞ্জে তথাকথিত গডফাদারসহ অনেকেই কিন্তু তৎপরতা চালিয়েছে সন্ত্রাসের জনপদ করার জন্য। আমরা সেই গডফাদারদেরকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যারা সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করবে এবং সন্ত্রাসীদেরকে লালন-পালন করবে, চাঁদাবাজি টেন্ডারবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত হবেন তারা যেন এ পথে পা না বাড়ায়। কারণ আমরা ইতিমধ্যে দেখেছি সেই সন্ত্রাসী কি আছে। তারা কি কেউ এখানে আছে কেউ নাই। এই নারায়ণগঞ্জে বিগত সময়ে যারা সন্ত্রাসী করেছে এবং তাদের শেল্টার দাতা গডফাদাররা আজ নারায়ণগঞ্জে নেই।

আপনারা জানেন এ নারায়ণগঞ্জে একটি বড় দুর্ঘটনা লৌহ মানব হত্যার কাহিনী ত্বকি হত্যা। এই ত্বকি হত্যার কার্যক্রম দীর্ঘদিন চেষ্টা করা হয়েছে বন্ধ রাখার। তারা তদন্ত কার্যক্রমকে এগাতে দেয়নি। আমরা সেই তদন্ত পুনরায় চালু করেছি সেই তদন্ত চলছে। আপনাদের সহকর্মী আমাদের প্রিয় সাংবাদিক সাগর-রুমির সেই হত্যার কার্যক্রম কিন্তু আআবারো চালু হয়েছে। মামলা পূর্ণ তদন্ত চলছে।

আমরা চাই যেখানে যে ঘটনা ঘটে সেটাকে প্রতিহত করা তারপরও যেটা ঘটে যায় সেটা যেনো দ্রুত তদন্ত করতে পারি। যারা আসামি এই ঘটনা ঘটাবে তাদেরকে যেন দ্রুত আইনের আওতায় আনতে পারি।

তিনি আরও বলেন, আপনারা জানেন ডিজিটাল মাধ্যম গুলোতে যেমন ভালো কিছু আছে তেমনি অনেকেই আবার সাইবারের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের অপৎপরতা চালাচ্ছে। সাইবারের মাধ্যমে অপৎপরতা ও বিভিন্ন ঘটনাকে অতিরঞ্জিত করে চলছে। তার জন্য কিন্তু আমাদের সাবধানতা হওয়ার দরকার আছে। এব্যাপারে আমরা শক্ত অবস্থানে আছি। রিয়াল ওয়ার্ল্ড ও সাইবার ওয়ার্ল্ড যেখানেই ঘটনা ঘটছে, সব জায়গায় আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি একেএম আওলাদ হোসেন, অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ জাহিদুল হাসান, র‌্যাব-১১’র সিইও তানভীর মাহমুদ পাশা, নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার, নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. তরিকুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, জেলা কমিউনিটি পুলিশিং এর সভাপতি সভাপতি প্রবীর সাহা, চাষাঢ়া রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের অধ্যক্ষ স্বামী একনাথানন্দ, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক শংকর কুমার দে, সাধারণ সম্পাদক শিখণ সরকার শিপন, দেওভোগ নাগমহাশয় মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক তারাপদ আচার্য্য, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বিষ্ণুপদ সাহা, সাধারণ সম্পাদক সুশীল দাস, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের ভাইস চেয়ারম্যান জয় কে রায় চৌধুরী বাপ্পীসহ প্রশাসনের কর্মকর্তা ও পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ।