৯ মামলায় আসামি ৫৪৪৩, ৭ জনের স্বীকারোক্তি

নারায়ণগঞ্জে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে নাশকতার ঘটনায় ৭ জন স্বীকারোক্তি দিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল।

তিনি বলেন, আমরা প্রথম দিন থেকে নাশকতাকারীদের প্রতিরোধ করে আসছি। গত ৭২ ঘণ্টায় সন্দেহভাজন হিসেবে ৩০৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সেইসঙ্গে জেলার পাঁচ থানায় ৯টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় ৫ হাজার ৪৪৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।

বুধবার (২৪ জুলাই) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পুলিশ সুপার বলেন, গ্রেফতারদের মধ্যে ৭ জন স্বীকার করেছে তারা ধ্বংসযজ্ঞের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল। সেই সঙ্গে তারা স্বীকার করেছে ফতুল্লা থানা জামায়াতের আমির মাসুদ মেম্বার, ফতুল্লা থানা যুবদল নেতা মামুনের নির্দেশে তারা এ কাজ করেছে।

তাদের ওপর নির্দেশদাতা হচ্ছে জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন, সিটি করপোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক মশিউর রহমান রনি, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল আলম সজল। তারা প্রত্যেকেই ঘটনাস্থলে প্রত্যক্ষভাবে উপস্থিত থেকে এ ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কোটাবিরোধী আন্দোলনের নামে দুষ্কৃতিকারীরা বিভিন্নভাবে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। ১৮-১৯ জুলাই বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি স্থাপনা পুড়িয়েছে। ছাত্র আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে দুষ্কৃতিকারী ও নাশকতাকারীরা শহরের চাষাঢ়া মোড়, ২ নম্বর রেলগেট, সদর থানা, পিবিআই অফিস, পাসপোর্ট অফিস, নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। এছাড়াও এসবি গার্মেন্টস, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ লাইন, বিজিবি ক্যাম্প, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, সিটি করপোরেশন, হাইওয়ে পুলিশ বক্স, ধামগড় ফাঁড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এসব ঘটনায় আরও মামলা হবে। আমাদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ট্যাগ:

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত

৯ মামলায় আসামি ৫৪৪৩, ৭ জনের স্বীকারোক্তি

প্রকাশঃ 10:05:51 pm, Wednesday, 24 July 2024

নারায়ণগঞ্জে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে নাশকতার ঘটনায় ৭ জন স্বীকারোক্তি দিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল।

তিনি বলেন, আমরা প্রথম দিন থেকে নাশকতাকারীদের প্রতিরোধ করে আসছি। গত ৭২ ঘণ্টায় সন্দেহভাজন হিসেবে ৩০৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সেইসঙ্গে জেলার পাঁচ থানায় ৯টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় ৫ হাজার ৪৪৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।

বুধবার (২৪ জুলাই) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পুলিশ সুপার বলেন, গ্রেফতারদের মধ্যে ৭ জন স্বীকার করেছে তারা ধ্বংসযজ্ঞের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল। সেই সঙ্গে তারা স্বীকার করেছে ফতুল্লা থানা জামায়াতের আমির মাসুদ মেম্বার, ফতুল্লা থানা যুবদল নেতা মামুনের নির্দেশে তারা এ কাজ করেছে।

তাদের ওপর নির্দেশদাতা হচ্ছে জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন, সিটি করপোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক মশিউর রহমান রনি, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল আলম সজল। তারা প্রত্যেকেই ঘটনাস্থলে প্রত্যক্ষভাবে উপস্থিত থেকে এ ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কোটাবিরোধী আন্দোলনের নামে দুষ্কৃতিকারীরা বিভিন্নভাবে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। ১৮-১৯ জুলাই বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি স্থাপনা পুড়িয়েছে। ছাত্র আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে দুষ্কৃতিকারী ও নাশকতাকারীরা শহরের চাষাঢ়া মোড়, ২ নম্বর রেলগেট, সদর থানা, পিবিআই অফিস, পাসপোর্ট অফিস, নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। এছাড়াও এসবি গার্মেন্টস, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ লাইন, বিজিবি ক্যাম্প, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, সিটি করপোরেশন, হাইওয়ে পুলিশ বক্স, ধামগড় ফাঁড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এসব ঘটনায় আরও মামলা হবে। আমাদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।